ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর বিশ্বাস

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভাল করবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ভাল করবে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নয় বছর আগে ২০০৮ সালে সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এবার আবার যাচ্ছে। পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনবারই প্রোটিয়াদের বিপক্ষে জিতেনি বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে বাজেভাবেই হেরেছে। এবার সফরে ভাল করবে বাংলাদেশ। এমনটাই বিশ্বাস প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করবেন নান্নু। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ‘নয় বছর আগের আর এখনকার ক্রিকেটের মধ্যে কিন্তু পার্থক্য রয়েছে। এখন টিম অনেক পরিণত, অনেক বেশি টেস্ট খেলেছে। পাশাপাশি ওয়ানডে এবং টি২০ খেলেছে। এই খেলোয়াড়দের থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েছি গত কিছু বছর ধরে। টেস্ট ক্রিকেটে এক বছরের ধারাবাহিকতায় আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা ভাল করব।’ অবশ্য সফর যে চ্যালেঞ্জিং তাও ভাল করে জানেন নান্নু। বলেছেন, ‘আমরা যে ধরনের ক্রিকেট খেলে থাকি সেদিক থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা কিন্তু পুরোপুরি ভিন্ন। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন সম্পর্কে আমাদের সবারই একটা ধারণা রয়েছে। বাউন্সি এবং ফাস্ট ট্র্যাকে খেলতে হয়। অবশ্যই আমাদের জন্য এটা চ্যালেঞ্জিং সিরিজ। আমরা হোপফুল। আমরা এক-দেড় বছরে যেভাবে ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলছি আমরা আশাবাদী দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ভাল ক্রিকেট খেলতে পারব।’ টপঅর্ডার নিয়ে আছে চিন্তা। দেশের মাটিতেই ভাল ব্যাটিং করা যায়নি। দক্ষিণ আফ্রিকায় কী করবেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা? নান্নু আশাবাদী, ‘আমি মনে করি যেহেতু আমরা হোম সয়েলে ভিন্ন কন্ডিশনে খেলেছি, এখানেও পারফর্ম করা কঠিন ছিল। আমরা যতই স্পিনিং ট্র্যাক বানাই এখানে খেলাও কিন্তু কঠিন ছিল। ওখানে বাউন্সের পাশাপাশি অনেক গতিসম্পন্ন উইকেটে খেলা হবে। আমাদের টপঅর্ডারে যারা আছে তাদের ক্যাপাবিলিটি আছে ভাল করার। আমি হোপফুল তারা শীঘ্রই রানে ফিরে আসবে।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পর দেশের মাটিতে অনুশীলন নেই। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে রওনা দিয়ে রবিবারই অনুশীলন শুরু করে দেবে বাংলাদেশ। চারদিন অনুশীলন শেষে ২১ সেপ্টেম্বর সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে তিনদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে। এরপর আবার চারদিন অনুশীলন আছে। ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সেদিন পোচেফস্ট্রমে প্রথম টেস্ট দিয়ে সিরিজ শুরু হবে। এরপর ৬ অক্টোবর ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। টেস্ট সিরিজ শেষে ১৫ অক্টোবর প্রথম, ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয়, ২২ অক্টোবর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৬ অক্টোবর প্রথম ও ২৯ অক্টোবর দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেও ১২ অক্টোবর সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে একদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। অনুশীলনেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেবেন দলের ক্রিকেটাররা। আর প্রস্তুতি ম্যাচেই ব্যাটিং পজিশন বোঝা যাবে। নান্নু যেমন বললেন, ‘এখানে এ মুহূর্তে এভাবে (ব্যাটিং পজিশন) বলা ঠিক না। টিমের একটা কম্বিনেশন আছে। একটা পরিকল্পনা আছে। আমাদের ওখানে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ আছে। ওখানে কিন্তু তাড়াতাড়ি এ্যাডজাস্ট করার জন্য সুযোগ রয়েছে। এর আগে চারদিনের একটা অনুশীলন সেশন আছে। ১৭ তারিখ থেকে। আমি মনে করি ওখানে এ্যাডজাস্ট করার যথেষ্ট সামর্থ্য আমাদের খেলোয়াড়দের রয়েছে। তারা এবারও পারবে আশাকরি।’ মরনে মরকেল ও ডেল স্টেইনের মতো পেসাররা আছেন। যদিও স্টেইন টেস্টে খেলবেন না। কিন্তু নির্ধারিত ওভারে খেলবেন। বিশ্বমানের বোলার তারা। বাংলাদেশের আছেন মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও শুভাশীষ রায়। এ বোলারদেরও বিশ্বমানের খেতাব দিচ্ছেন নান্নু, ‘আমাদের ফাস্ট বোলাররা বিশ্বমানের, অন্যান্য দেশের যারা আছে তাদের কাছাকাছিই আছে। অভিজ্ঞতার পার্থক্য আছে। এখন যত খেলবে তত অভিজ্ঞতা বাড়বে। আমার বিশ্বাস এবং আপনারাও দেখেন দল কেমন করে। সবার জন্য সুযোগ আছে। যে পাঁচজন ফাস্ট বোলার আছে তাদের জন্য যথেষ্ট সুযোগ আছে ভালভাবে পারফর্ম করার। দিন শেষে পারফর্মেন্স এ্যানালাইস করতে হয়। নামে কোন কাজে আসে না। সে হিসেবে যে যখন সুযোগ পাবে তখন তাকে সুযোগটি ভালভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের পেসাররা এখন যথেষ্ট পরিণত। তারা ভাল করতে পারবে।’ টেস্ট সিরিজে সাকিব নেই। তার অভাববোধ যে হবে তা নান্নুও জানেন। তবে তার অভাব মোটিভেশনেরও কাজ করবে বলেই জানিয়েছেন, ‘অবশ্যই। কাজ করবে। খেলোয়াড়দের যদি কোন জায়গায় গ্যাপ থাকে, খেলোয়াড়দের মধ্যে এ মোটিভেশনটা অবশ্যই আসবে যে ওই ঘাটতি যেন পুষিয়ে নিতে পারি। সে হিসেবে মনে করি খেলোয়াড়রা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ভাল ক্রিকেটটা খেলার জন্য মুখিয়ে আছে।’
×