ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাচার সিন্ডিকেট ॥ হুমকির মুখে সুন্দরবনের বনজসম্পদ

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পাচার সিন্ডিকেট ॥ হুমকির মুখে সুন্দরবনের বনজসম্পদ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা, মংলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা করাতকলে চলছে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ চোরাইয়ের কাজ। স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকায় গড়ে ওঠা পাচারকারীদের একটি সিন্ডিকেট প্রতিনিয়ত ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবনের সুন্দরী, গড়ানসহ কর্তন নিষিদ্ধ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পাচার করে চোরাই করছে এসব স-মিলগুলোতে। আর এ অবৈধভাবে সুন্দরবনের গাছ পাচার ও চোরাইয়ের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সুন্দরবনের বনজ সম্পদ। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের হিসাব মতে, সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার পরিবেশগত সংঙ্কটাপন্ন এলাকার মধ্যে শরণখোলায় ৪২টি, মোরেলগঞ্জ ২২টি ও মংলা উপজেলায় ৯টি করাতকল রয়েছে। আর বেসরকারী হিসেব মতে, এ সংখ্যা আরও বেশি। বিভিন্ন সময় পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে নামে মাত্র কয়েকটি করাতকল সিলগালাসহ মালামাল জব্দ করে তাদের দায় সারলেও রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পুরনায় চালু হচ্ছে সুন্দরবনের কোলঘেঁষে অবস্থিত এই করাতকলগুলো। তবে সম্প্রতি চলতি মাসের ১০ তারিখে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের পক্ষ থেকে এসব অবৈধ করাতকলগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে অবৈধ করাতকলগুলোতে বিদ্যুত বিছিন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুত বিভাগকে চিঠি দেয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুন্দরবনসংলগ্ন এলাকা বাগেরহাটের শরণখোলা, মংলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার বন সন্নিহিত ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শতাধিক অবৈধ করাতকল বা স-মিল রয়েছে। এসব করাতকল বা স-মিলের মালিকদের অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদফতর ও স্থানীয় প্রশাসন এসব অবৈধ করাতকলের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন না। এ কারণে সুন্দরবনের আকর্ষণ কর্তন নিষিদ্ধ সুন্দরীসহ নানা প্রজাতির গাছ পাচার নির্মূল করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
×