নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১৪ সেপ্টেম্বর ॥ আদিতমারী উপজেলা সদরের বুড়িরবাজারে ঈদগাহ মাঠ জোরপূর্বক দখল করে টিনের চালা উত্তোলন করেন একটি স্বার্থান্বেষী মহল। আর এ ঘটনায় ঈদগাহ মাঠের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা আজিম মিয়া ইউএনও বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার অনুলিপি প্রেসক্লাবসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরে প্রেরণ করা হয়েছে। স্বার্থান্বেষী মহলটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা আজিম মিয়াকে জখম করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা আজিম মিয়া বৃহস্পতিবার দুপুরে আদিতমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্তমানে ওই মুক্তিযোদ্ধা ও ঈদগাহ মাঠের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আদিতমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর আদিতমারী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে একটি স্বার্থান্বেষী মহল জোরপূর্বক একটি টিনের ঘর উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় আজিম মিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের পর থেকে উপজেলা সদরের ভাদাই ইউনিয়নের মালেকুল ইসলাম কেচুর ছেলে মামুন তাকে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে বুধবার রাতে মুক্তিযোদ্ধা আজিম মিয়া এশার নামাজ শেষে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথে ভাদাই জিএস মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন গেটের সামনে পৌঁছলে তাকে লক্ষ্য করে ইটের টুকরা দিয়ে মাথায় ঢিল ছোড়া হয়। ঢিলটি মাথায় না লেগে কপালের ওপর লেগে রক্তাক্ত জখম হন। এ ঘটনার জন্য তিনি মামুনকেই দায়ী করছেন। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আজিম মিয়াকে উদ্ধার করে রাতেই আদিতমারী হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে মামুন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের জায়গায় ৮ দোকানদারকে জায়গা দিয়েছেন দোকানঘর তোলার জন্য অথচ ওই মুক্তিযোদ্ধা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ না দিয়ে আমার বাবার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, মুক্তিযোদ্ধা আজিম মিয়া একের পর এক অভিযোগ দিয়েই চলেছেন। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছেন।