ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিল্পকলায় আজ মহাকালের ‘শিবানী সুন্দরী’

প্রকাশিত: ০৭:০৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শিল্পকলায় আজ মহাকালের ‘শিবানী সুন্দরী’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের নন্দিত প্রযোজনা ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকের ২৩তম প্রদর্শনী হবে আজ। ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকটি মহাকালের ১৭তম প্রযোজনা। দল সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। সালাম সাকলাইন রচিত ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন দিবাশীষ ঘোষ। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আবার নাটকটি মঞ্চে নিয়মিত প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকে অভিনয় করেনÑ সুরেলা নাজিম, বেবী শিকদার, ফারুক আহমেদ সেন্টু, বাবু স্বপ্নওয়ালা, সম্রাট, মানিক চন্দ্র দাশ, জেরিন তাসনীম এশা, শিবলী সরকার, মুনীর হাসান, মনিরুল আলম কাজল, বাহার সরকার, সুমাইয়া তাইয়ুম নিশা, সেজুথী খন্দকার, তারকেশ্বর তারোক, শাহরিয়ার হোসেন পলিন, কবির আহমেদ, সামিউল জীবন, আসাদুজ্জামান রাফিন, ইকবাল চৌধুরী, ফারাবী আকন্দ হীরা, আসাদুজ্জামান কলিন্স, নাসিম মিয়া, হুমায়ূন কবির ও মীর জাহিদ হাসান। নাটকের পুতুল নাচ নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণে খেলু মিয়া, মঞ্চ পরিকল্পনায় যুনায়েদ ইউসুফ, সুর, গান রচনা ও আবহ সঙ্গীত পরিকল্পনায় শিশির রহমান, প্রপস পরিকল্পনা ও নির্মাণ পলাশ হেনড্রি সেন, আলোক পরিকল্পনা কামরুজ্জামান সবুজ, পোশাক পরিকল্পনায় শিশির সবুজ, কোরিওগ্রাফি ফারাবী আকন্দ হীরা, রূপসজ্জা পরিকল্পনা ও প্রয়োগ শুভাশীষ দত্ত তন্ময়। নাটকের প্রযোজনা অধিকর্তা মীর জাহিদ হাসান। ‘শিবানী সুন্দরী’ নাটকের গল্পে দেখা যাবে সোনামতি শহরে বণিক মনোহরের কন্যা রূপেগুণে অনন্যা শিবানী সুন্দরী। সে ভালবাসে ঋষি সদানন্দের ছেলে নন্দকুমারকে। কিন্তু ঋষি সদানন্দ এই সম্পর্কের কথা জেনে ভীষণ ?দ্ধ হন। কারণ, তার ইচ্ছে নন্দ তারই মতো সন্ন্যাস ধর্ম পালন করে আশ্রমের সেবা করুক। এই নিয়ে পিতা-পুত্রের মধ্যে বাগ্বিত-া হয়। নন্দ ঋষির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঋষি তাকে আশ্রম থেকে বিতাড়িত করেন, নন্দ মনের কষ্টে ঋষি এবং শিবানী থেকে অনেক দূরে জঙ্গলে চলে যায়। এদিকে শিবানী এই সংবাদ পেয়ে নন্দকে খুঁজতে নিজের রাজ্য ত্যাগ করে। সঙ্গে নেয় দেহরক্ষী ভীমকে। নন্দকুমার জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে অসুস্থ হয়ে পরে। সেই সময় একদল পরী আকাশ পথে উড়ে যাচ্ছিল পরীকন্যা কুন্তি নন্দকুমারকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু সমস্যা হলো পরীরা মানুষকে ভালবাসতে পারে না। তখন পরীকন্যা মানুষ হয়ে পৃথিবীতে থেকে যায়। কিন্তু নন্দ এসবের কিছুই জানতে পারে না। অন্যদিকে শিবানী নন্দকে পথে পথে খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত হয়ে যখন বিশ্রাম নিচ্ছিল তখন ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিল জাদুকর। সে শিবানীর রূপে পাগল হয়ে তাকে পাওয়ার জন্যে অস্থির হয়ে ওঠে। মন্ত্রবলে সে শিবানীর বিস্তারিত জানতে পারে। তখন সে ঋষির ছদ্মবেশে শিবানীর কাছে এসে নন্দ কোথায় আছে জানায়। শিবানী জাদুকরের কথা মতো ভীমকে নিয়ে নন্দের কাছে যায়। এদিকে পরীকন্যা কুন্তি নন্দের জন্য ওষুধ সংগ্রহ করতে জঙ্গলে গেলে জাদুকর তাকে জানায় শিবানী কথা। এই শুনে কুন্তি জাদুকরের সহযোগিতায় নন্দকে শিবানীর থেকে দূরে সরাতে পরিকল্পনা করে। কিন্তু জাদুকর শেষ পর্যন্ত নন্দকে অদৃশ্য করে দেয়। কুন্তিকে বানায় বাঘ এবং ভীমকে পাথর বানিয়ে শিবানীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় নাগমণি শহরে। অন্যদিকে ওসমান সওদাগরের ছেলে মমিন সওদাগর শিবানীর রূপের বর্ণনা শুনে বন্ধু আমির আলিকে সঙ্গে নিয়ে সপ্তডিঙ্গা ভাসায় সমুদ্রে শিবানীকে পাওয়ার আশায়। পথে দেখা হয় কুন্তি ও ভীমের সঙ্গে তাদের সহযোগিতায় তারা যায় নাগমণি শহরে। সেখানে গিয়ে জাদুকরের কাছ থেকে শিবানীকে উদ্ধার করে। মমিন শিবানীকে তার মনোবাসনা ব্যক্ত করে। কিন্তু শিবানী নন্দকে ভুলতে পারে না। তাই সে মমিনের আহ্বানে সারা দেয় না। মমিন বলে, আমি অপেক্ষা করব তোমার জন্য। যদি কোন দিন আমার কথা মনে পড়েÑ তাহলে আমায় ডেকো। আমি তোমার অপেক্ষায় থাকলাম। এর মধ্যে জাদুকর তার মন্ত্রবলে হাজির হয় শিবানী ও মমিনের সামনে। মমিন শিবানীকে উদ্ধারের জন্য জাদুকরের সঙ্গে শক্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়। একপর্যায়ে দুইজনেই হত হয়। তবে মৃত্যুর আগে জাদুকর বলে যায় নন্দকে খুঁজে পাওয়ার ঠিকানা। শিবানী নন্দকে খুঁজতে বেরিয়ে পরে যদি কোন দিন নন্দকে খুঁজে পায়।
×