ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাগে পেয়েও মোহামেডানকে হারাতে পারলো না রহতমগঞ্জ

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাগে পেয়েও মোহামেডানকে হারাতে পারলো না রহতমগঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগের মতো শক্তি আর জৌলুস নেই ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’ খ্যাত ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের। তারপরও এমন দলকে হারাতে পারলে বর্তে যাবে যে কোন দলই। বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এমন বর্তে যাবার সুযোগ পেয়েছিল ‘আইলো’ এবং ‘ডাইলপট্টি’ খ্যাত রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। কিন্তু সেই সুযোগটি কড়ায়-গ-ায় কাজে লাগাতে পারেনি তারা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে দিনের প্রথম এই ম্যাচটি ড্র হয় গোলশূন্য স্কোরলাইনে। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে এটা ১৯৭৭ সালে লীগের রানার্সআপ এবং ‘জায়ান্ট কিলার’ খ্যাত রহমতগঞ্জের চতুর্থ ড্র। পয়েন্ট ১০। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান আগের মতোই পঞ্চম। পক্ষান্তরে একধাপ উন্নতি হয়েছে ১২ বারের লীগ শিরোপাধারী মোহামেডানের। অষ্টম ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় ড্র। পয়েন্ট ৮। শেখ রাসেলকে টপকে একধাপ ওপরে উঠে এলো তারা (ষষ্ঠ), রহমতগঞ্জের ঠিক পেছনেই আছে তারা। রাসেলেরও পয়েন্ট ৮। তবে গোল গড়ে পিছিয়ে তারা (-১, মোহামেডানের +১)। গত লীগে প্রথম মোকাবেলাতেও দু’দল ড্র করেছিল (১-১)। ফিরতি সাক্ষাতে অবশ্য ২-১ গোলে জিতেছিল মোহামেডানই। বুধবারের খেলায় তাদের বাগে পেয়েও হারাতে না পেরে বদলা নিতে না পারা রহমতগঞ্জ নিশ্চয়ই আক্ষেপে পুড়বে। দুই দলই শুরুতে বৃষ্টিভেজা ও কাদামাখা মঠে গতিশীল ফুটবল খেলার চেষ্টা করে। কিন্তু বারবার বল কাদায় আটকে যাওয়ায় এবং খেলোয়াড়রা পিচ্ছিল খেলার মাঠে পড়ে যাওয়ায় তাদের বেশিরভাগ আক্রমণই আলোর মুখ দেখেনি। শুরুতে দুই দল দুই রকম ফর্মেশনে খেলে। মোহামেডান ৪-৪-২, রহমতগঞ্জ ৪-৩-৩। প্রথম মিনিটেই একটা সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক-ডিফেন্ডার ফয়সাল মাহমুদ। বাঁপ্রান্ত দিয়ে সতীর্থের উদ্দেশে বল বাড়ান। কিন্তু বল পেয়ে যান রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডাররা। পরের মিনিটেই ডানপ্রান্ত থেকে রহমতগঞ্জের অধিনায়ক-ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদের পা থেকে বল পেয়ে অপর ফরোয়ার্ড রাশেদুল ইসলাম শুভ পোস্টের কাছে বল পেয়েও গোল করতে পারেননি। ২২ মিনিটে বল নিয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন শুভ। গোলরক্ষককে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে পেয়েও যান। কিন্তু পোস্ট লক্ষ্য করে শট নিতেই মোহামেডানের ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন মিন্টু শেখ। পা দিয়ে বল সরিয়ে দিয়ে দলকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন এই ডিফেন্ডার। ৩০ মিনিটে দারুণ একটা পাস বাড়িয়ে দেন রহমতগঞ্জের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা। বক্সে ছিলেন ফরোয়ার্ড রাশেদুল ইসলাম শুভ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। ৪১ মিনিটে দশ জনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। বল নিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছিলেন ফয়সাল আহমেদ। তাকে অবৈধভাবে ট্যাকল করেন মোহামেডানের মিডফিল্ডার অনিক হোসেন। এরপর বলের দখল নেন শুভ। দৌড়ে এসে তাকেও মারাত্মক ফাউল করেন অনিক। এরপর রেফারি জালাল উদ্দিনের সঙ্গেও তর্কে জড়িয়ে পড়েন। অনিককে লালকার্ড না দেখিয়ে আর কোন উপায় ছিল না রেফারির। ফলে ম্যাচের বাকি প্রায় ৪৯ মিনিট দশজন নিয়েই খেলতে হয়েছে সাদা কালোদের। তবে দশজনের এ্যাডভান্টেজটা প্রথমার্ধে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে কামাল বাবুর শিষ্যরা। গোলশূন্য থেকেই বিশ্রামে গেছে দুই দল। দশজন নিয়েও ম্যাচের শেষ পর্যন্ত সাদাকালোরা সমানতালেই খেলে গেছে। মনেই হয়নি তাদের শক্তি খর্ব হয়েছে।
×