ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধুর পলাতক ৬ খুনীকে ধরতে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর পলাতক ৬ খুনীকে ধরতে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি

সংসদ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারবর্গের হত্যাকারী সাজাপ্রাপ্ত বিদেশে পলাতক ৬ আসামির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি হয়েছে। খুনীদের দেশে ফিরিয়ে আনা ত্বরান্বিত করতে টাস্কফোর্স হতে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করতে ইন্টারপোল সদস্যভুক্ত দেশসমূহের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। যাদের নামে রেড নোটিস জারি করা হয়েছে সেসব খুনীরা হলো- লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এ এম রাশেদ চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) আব্দুর রশীদ, লে. (বাধ্যতামূলক অবসর প্রাপ্ত) আবদুল মাজেদ, রিসালদার (অব.) খান মোসলেমউদ্দিন। মন্ত্রী জানান, জাতির পিতার খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ- কার্যকর করতে ২০১০ সালের ২৮ মার্চ আইনমন্ত্রীকে সভাপতি করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দ-প্রাপ্ত খুনীদের অবস্থান চিহ্নিত করা এবং দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে টাস্কফোর্স সর্বাত্মক কার্যক্রম গ্রহণ করে। তিনি জানান, ২০১৪ সালের জানুয়ারি মাসে বর্তমান সরকার নতুনভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই টাস্কফোর্সটি পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত টাস্কফোর্স ইতোমধ্যে একাধিক সভায় মিলিত হয়েছে। তিনি বলেন, টাস্কফোর্স জাতির পিতার হত্যা মামলায় দ-প্রাপ্ত খুনীদের অবস্থান চিহ্নিত করা এবং দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ইন্টারপোলের মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাজাপ্রাপ্ত খুনীদের ছবি সংবলিত তথ্য পাঠিয়ে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী আরও জানান, আসামি লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এ এম রাশেদ চৌধুরীর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং আসামি লে. কর্নেল (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরীর অবস্থান কানাডাতে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের আইনী জটিলতার কারণে তাদের বাংলাদেশে ফেরত আনতে বিলম্ব হচ্ছে।
×