ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাট পণ্য রফতানি এখনও এক শ’ কোটি ডলারের নিচে

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পাট পণ্য রফতানি এখনও এক শ’ কোটি ডলারের নিচে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারের নানামুখী তৎপরতার পরও; পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয় আটকে আছে বিলিয়ন ডলারের নিচে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নক্সায় বৈচিত্র্য এবং প্রয়োজনীয় গবেষণা না থাকায় সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী হয়েও প্রতিযোগিয়তায় পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। অথচ আমদানি নির্ভর হয়েও রফতানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। তাই এ খাতের উন্নয়নে নতুন করে ভাবার কথা বলছে সরকার। পাটের তৈরি এমন বহুমুখী ও বৈচিত্র্যময় পণ্যের কদর এখন কেবল দেশেই নয়, সারা বিশ্বেই পরিবেশবান্ধব এ পণ্যের প্রতি ঝুঁকছে মানুষ। তাই বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন ও রফতানি বাড়াতে গত ৫ বছর ধরে সরব হয়েছে সরকার ও উদ্যোক্তারা। তবে বিশ্বে পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও রফতানি ঝুড়িতে এখনও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেনি। হিসাব বলছে, ৩৭ বিলিয়ন ডলারের রফতানি ঝুড়িতে পাট ও পাটজাত পণ্যের অবস্থান তৃতীয় হলেও আয় ১ বিলিয়ন ডলারেরও কম। সবশেষ অর্থবছর এ খাত থেকে রফতানি আয় এসেছে ৯৬ কোটি ডলার। যা ৬ বছর আগেও ছিল একইরকম। তাই এ খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধির চাকা অনেকটা একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ থেকে কাঁচাপাট আমদানি করে বহুমুখী পণ্য রফতানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন ও ভারত। পাট ও পাটজাত পণ্যের প্রসার নিয়ে কাজ করা সরকারী প্রতিষ্ঠান জেডিপিসির মতে, বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে যে কাঁচামাল প্রয়োজন পুরনো মিলগুলোতে সে সক্ষমতা নেই। নজর দেয়া হয়নি গুণগত ডিজাইনেও। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, পুরনো উৎপাদন পদ্ধতি, শিল্পের সংস্কার না হওয়া, গবেষণায় ঘাটতি এমন নানা কারণে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় এখনও পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে অবস্থার পরিবর্তনে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। বিশ্বে ৫শ’ বিলিয়ন পিস শপিং ব্যাগের যে বাজার তা ধরতে ডিসেম্বর নাগাদ প্রতিদিন অন্তত ৪ লাখ পিস সোনালি ব্যাগ উৎপাদন করা হবে। এছাড়াও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উন্নয়ন ও গবেষণায় নতুন করে ভাবা হচ্ছে বলে জানালেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মির্জা আজম। মন্ত্রী জানান, বহুমুখী পাটপণ্যের রফতানি বৃদ্ধি ও নতুন বাজার তৈরি করতে আগামী ১ মাসের মধ্যে আফ্রিকার ৫ দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকারের প্রতিনিধি দল।
×