ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে রেলমন্ত্রী

রেলওয়েতে বৈদ্যুতিক ট্রেন সংযোজন করা হবে

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রেলওয়েতে বৈদ্যুতিক ট্রেন সংযোজন করা হবে

সংসদ রিপোর্টার ॥ মেট্রোরেলের পাশাপাশি বাংলাদেশ রেলওয়েতে বৈদ্যুতিক ট্রেন সার্ভিস চালু করবে সরকার। নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ইলেক্ট্রিক ট্রাকশন (ওভারহেড ক্যাটেনারি ও সাবস্টেশন নির্মাণসহ) প্রবর্তনের লক্ষ্যে একটি সমীক্ষা প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে। সমীক্ষা কার্যক্রম সম্পাদন শেষে তার আলোকে নারায়ণগঞ্জ হতে ঢাকা হয়ে জয়দেবপুর পর্যন্ত ইলেক্ট্রিক ট্রেন সার্ভিস চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরপর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। তিনি জানান, গত বছরের ১৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যায়ক্রমে বৈদ্যুতিক ট্রেন চালুর অংশ হিসেবে গাজীপুর-নারায়ণগঞ্জ বৈদ্যুতিক ট্রেন প্রথম চালু করতে হবে মর্মে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমলে রেলপথ ছিল সম্পূর্ণ অবহেলিত, ধ্বংসপ্রাপ্ত। বর্তমান সরকারের আমলে রেলপথের আমূল পরিবর্তন হয়েছে, অনেকদূর এগিয়েছে। ট্রেন এখন অনেক গতি পেয়েছে। রেলওয়ের আরও উন্নতি করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের কোন জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের বাইরে থাকবে না। সরকারদলীয় অপর সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে মোট দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। রেলপথ রক্ষণাবেক্ষণে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের রেলপথের জন্য একটি করে টিম রয়েছে, যা গ্যাং নামে পরিচিত। প্রতিটি গ্যাংয়ে একজন মেট, একজন কি-ম্যান ও রেলপথের ট্র্যাক কিলোমিটার অনুসারে রেলওয়ের ওয়ে এ্যান্ড ওয়ার্কস ম্যানুয়েল অনুযায়ী গ্যাংম্যানের সংখ্যা নির্ধারণ করা আছে। এ গ্যাংসমূহ প্রতিনিয়ত রেলপথ পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ রেলওয়েতে অরক্ষিত রেলপথ নেই। দুই হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার বিস্তৃত রেলপথে সাধারণ জনগণ অসতর্কভাবে রেললাইন পারাপার এবং অবৈধ ও আনম্যান্ড লেভেলক্রসিং গেটসমূহে সাধারণ জনগণ ও সড়ক যানবাহন অসতর্কভাবে পারাপারের ফলে কোন কোন সময় দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়ে থাকে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মুজিবুল হক জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি সেবামূলক সংস্থা। দেশের আপামর জনসাধারণকে স্বল্পমূল্যে নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যমূলক পরিবহন সেবা প্রদানের উদ্দেশ্য নিয়ে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশের ৪৪ জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত। অবশিষ্ট জেলাগুলোকে পর্যায়ক্রমে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত গত ৮ বছরে এক হাজার ৯১ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসন, ২৪৩ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ এবং প্রায় ২৪৯ কিলোমিটার মিটারগেজ রেললাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তর করা হয়েছে। এছাড়া তারাকান্দি হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে এবং ট্রেন চলাচল করছে।
×