ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যশোর ও বাগেরহাটে ১২ শতাধিক মন্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৫:১০, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

 যশোর ও বাগেরহাটে ১২ শতাধিক মন্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সার্বজনীন উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ভাদ্রের শেষে শরত শুভ্রতায় চারদিকে শুধু সাজ সাজ রবে উৎসবের আমেজ। শাস্ত্র মতে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দিনব্যাপী নানা ধর্মীয় মাঙ্গোলিক আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব। এরই আলোকে এ বছর যশোর জেলার ৮ উপজেলায় ৬৪২টি মন্দির ও মন্ডপে পূজার আয়োজন চলছে পুরোদমে। মন্দিরে ও মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত ভাস্কর শিল্পীরা। আয়োজকরাও বর্ণিল আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এখন শুধু অপেক্ষা সেই মাহেন্দ্রক্ষণের। জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্র জানায়, এ বছর জেলার ৮ উপজেলার সম্ভাব্য ৬৪২টি ম-পে শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। গত বছর যশোরে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ৬১৬টি মন্দির ও মন্ডপে। এ বছর সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ১৪২টি স্থানে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে যশোর পৌরসভায় অনুষ্ঠিত হবে ৪১টি মন্দির ও মন্ডপে। অভয়নগরে ১২২টি, মণিরামপুরে ৮৯টি, কেশবপুরে ৯০টি, বাঘারপাড়ায় ৮৩টি, ঝিকরগাছায় ৪৮টি, চৌগাছা উপজেলায় ৪১টি ও শার্শায় ২৭টি মন্দির ও ম-পে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট থেকে জানান, জেলার ৬০৬টি পূজাম-পে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠানের জোর প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ মন্ডপ নির্মিত হয়েছে বাগেরহাটের হাকিমপুরের শিকদার বাড়ির দুর্গাম-প। দেশ-বিদেশে সাড়া জাগানো এই মন্দিরে এবার ৬৫০টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। সত্য, ত্রেতা, দ্বাপর ও কলি যুগের নানা পৌরণিক কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। আঙ্গিক ও বৈচিত্র্যে রাঙ্গিয়ে তোলার কাজে ব্যস্ত ভাস্কর। ম-প সাজাতেও অন্য শিল্পীরা প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। এবার জেলার ৯ উপজেলা ও ৩টি পৌরসভার মধ্যে চিতলমারী উপজেলায় সব থেকে বেশি ১৩৯টি পূজাম-পে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শুভ মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এ বছর দেবী দুর্গা নৌকায় আগমন এবং ঘোড়ায় চড়ে গমন করবেন। পরবর্তীকালে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ২৯ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে ৫ দিনব্যাপী এ উৎসব। এ বছর জেলার বেশ কয়েকটি মন্দিরে শতাধিক প্রতিমার মন্ডপ তৈরি করছেন ভক্তরা। এদের মধ্যে চুলকাঠি বণিকপাড়া পূজামন্ডপ, ফকিরহাট মন্ডপ, কাড়াপাড়া সার্বজনীন পূজাম-প অন্যতম। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর পূজাম-পগুলোকে একটু বিশেষভাবে সাজানো হচ্ছে।
×