ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংসদে চুমকি গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতনের সুবিচার নিশ্চিত করবে সরকার

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সংসদে চুমকি গৃহকর্মীদের ওপর নির্যাতনের সুবিচার নিশ্চিত করবে সরকার

সংসদ রিপোর্টার ॥ গৃহকর্মীদের সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ নীতিমালায় সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কোন ক্রমেই গৃহকর্মীর প্রতি কোন প্রকার অশালীন আচরণ অথবা দৈহিক আঘাত বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না। গৃহকর্মীর ওপর কোন রকম হয়রানি ও নির্যাতনের ক্ষেত্রে সুবিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রচলিত আইনানুযায়ী সরকারের ওপর বর্তাবে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য একেএম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহের আফরোজ চুমকি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, গৃহকর্মী নির্যাতন বা হয়রানির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানা যেন দ্রুত ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে সে জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাফতরিক নির্দেশনা জারি করবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় গৃহকর্মীর প্রতি নির্যাতনের প্রতিকারে প্রয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার মাধ্যমে সরকারের কর্মকৌশল নির্ধারণ করতে পারবে। প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, কোন গৃহকর্মী শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। গৃহকর্মী কর্তৃক দায়েরকৃত যৌন হয়রানি, যৌন নির্যাতন কিংবা শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের মামলা সরকারী ব্যয়ে পরিচালিত হবে। গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ফৌজদারি মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না। তিনি জানান, দেশের প্রচলিত আইন ও নীতিমালার আলোকে নির্যাতিত গৃহকর্মীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায়পূর্বক বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি নিশ্চিতকল্পে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ জানান, নারীদের উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বর্তমান সরকার গত ৭ বছরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট অনুযায়ী নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ৬ষ্ঠ স্থানে। নারীর প্রশাসনিক ক্ষমতায়নের বিষয়টিও সর্বক্ষেত্রে দৃশ্যমান হচ্ছে।
×