ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চাল আমদানির ফলে কৃষককে সঙ্কটে পড়তে হবে না

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চাল আমদানির ফলে কৃষককে সঙ্কটে পড়তে হবে না

সংসদ রিপোর্টার ॥ চাল আমদানির ফলে কৃষককে কোন ধরনের সঙ্কটে পড়তে হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি আরও জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে ট্যারিফ কমিয়ে দেয়া হলেও আগামীতে উৎপাদনের পর তা পুনর্বহাল করা হবে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিসের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট মোঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে চলা অধিবেশনে এ সংক্রান্ত নোটিসটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নূরুল ইসলাম মিলন। নোটিসে তিনি বলেন, দেশের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় চাল আমদানির পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। অতিরিক্ত চাল আমদানি যাতে না করা হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন। কারণ দেশের উৎপাদিত চালের সঠিক মূল্য যাতে কৃষক পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে কোন খাদ্য সঙ্কট নেই। তবুও আপদকালীন সময়ের জন্য খাদ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলায় ১৫ লাখ টন চাল ও পাঁচ লাখ টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চালের সঙ্কট যাতে না হয় সেজন্য ট্যারিফ ২৮ শতাংশ থেকে প্রথমে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। পরে ২ শতাংশ করা হয়। শুধু হিসাব রাখতে এটা করা হয়েছে। এখন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারীভাবেও চাল আমদানি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এটা সাময়িক সময়ের জন্য করা হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন হলে আবার ওই ট্যারিফ বহাল করা হবে। বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে দেশের খাদ্য সঙ্কটের কথা তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের ফলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যে কারণে এবার আমরা চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য মজুদ করতে পারিনি। তাই চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্যার পর ফসল ভাল হয়। এবারও তাই হবে বলে আশা করছি। প্রধানমন্ত্রীরও নির্দেশনা রয়েছে, কোনভাবেই কৃষক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সে বিষয়ে আমরাও সতর্ক রয়েছি। তাই কৃষদের স্বার্থরক্ষায় আবারও চাল আমদানির ওপর পূর্বনির্ধারিত ট্যারিফ পুনর্বহাল করা হবে। বন্ধ বস্ত্রকলগুলো চালুর পরিকল্পনা দেশের বন্ধ বস্ত্রকলগুলো পুনরায় চালুর পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সরকারী দলের সাংসদ এম আবদুল লতিফের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, বেকার শ্রমিকদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন বন্ধ বস্ত্রকলগুলো পুনরায় চালু করা হবে। একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশী-বিদেশী যৌথ উদ্যোগে বা পিপিপির মাধ্যমে এসব বন্ধ বস্ত্রকল সচল রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিটিএমসির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিনি আরও জানান, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজেএমসির আওতায় ২৬টি পাটকল রয়েছে। সবকটি পাটকল বর্তমানে চালু রয়েছে।
×