ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁপাইয়ে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে তিন লাখ মে. টন

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চাঁপাইয়ে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে তিন লাখ মে. টন

ডি.এম তালেবুন নবী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ এবার জেলাজুড়ে আগাম রবি ফসল চাষের কর্মসূচী গ্রহণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। সর্বত্র বীজতলা তৈরির কাজও প্রায় শেষপর্যায়ে। এ বছর অর্থাৎ ২০১৭-১৮ (পুরো শীত কালে) রবিশস্য চাষের অর্থাৎ সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার ৭৩২ হেক্টরে। মূলত এখানে কৃষি সম্প্রসারণ আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাগার ও কল্যাণপুর হর্টিকালচার বিভিন্ন শাকসবজির বীজ ও চারা বিতরণ করে থাকে। এর মধ্যে উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাগার ৯০ প্রকারের সবজির চারা ও বীজ তৈরি করে। এছাড়াও জেলাজুড়ে প্রায় ৪৯টি দোকান শীতকালীন শাকসবজীর বীজ বিক্রি করছে। পিছিয়ে নেই কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টারও। সব মিলিয়ে জেলার পাঁচ উপজেলায় ১২ হাজার ৭৩২ হেক্টরে শাকসবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিন বছর আগে জেলায় প্রতি হেক্টরে সবজির ফলন ছিল ১৫.৩২ মে. টন। এবার তা বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে হেক্টরে ২০ মে. টন। এর মধ্যে টমেটো ও শিম সাড়া জাগিয়েছে বরেন্দ্র অঞ্চলে। গত বছর জেলায় ১৪৩৯ হেক্টরে টমেটো উৎপাদন করা হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছিল ৪৭ হাজার ৮৪৮ মে. টন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর বরেন্দ্র অঞ্চল লাগোয়া গোদাগাড়ী উপজেলা। দেশের সর্ববৃহৎ টমেটো উৎপাদনকারী এলাকা। গত বছর সাড়ে তিন হাজার হেক্টর হলেও এবার তা বেড়ে প্রায় চার হাজার হেক্টরে ঠেকবে। এবার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় দেড় লাখ মে. টন। অর্থাৎ প্রায় পাঁচ শ’ কোটি টাকার টমেটো বাণিজ্য হতে পারে। গোদাগাড়ী অঞ্চলে প্রায় সাতটি জাতের টমেটো চারা উৎপাদন শুরু হয়েছে। বীজতলাও তৈরি করেছে একাধিক স্থানে। ইতোমধ্যেই একাধিক বীজ কোম্পানির প্রতিনিধিরা স্থায়ীভাবে অবস্থান নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি গোদাগাড়ীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মার ওপারে ভারতের মুর্শিদাবাদ। এসব অঞ্চলের চোরাকারবারিরাও ভারতীয় বীজ বিক্রির উদ্দেশ্যে আসা-যাওয়া শুরু করেছে।
×