পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করবে বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ চুক্তিতে সই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রস্তাবের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এছাড়া বৈঠক ‘এয়ার সার্ভিসেস এগ্রিমেন্ট’র খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনকালে ‘ট্রিটি অন দ্য প্রহিবিটেশন অব নিউক্লিয়ার ওয়েপনস’ প্রস্তাবের খসড়ায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আগামী অধিবেশন চলাকালে সুবিধাজনক সময় চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতিসংঘের মহাসচিব এনতেনিও গুতেরেস। বাংলাদেশ রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ বিকাশে সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রূপপুরের মধ্য দিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুত উৎপাদন যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য ‘এয়ার সার্ভিসেস এগ্রিমেন্ট’র খসড়ায় অনুমোদ দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৮৮ সালের ২৩ মার্চ থেকে দুই দেশের মধ্যে এক চুক্তির মাধ্যমে বিমান চলাচল শুরু হয়, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী দুই দেশের সম্মতিতে কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৬, ২০০৭, ২০১১ সালে চুক্তি সংশোধন করা হয়। ২০১৭ সালের প্রস্তাবিত সংশোধন অনুযায়ী, চুক্তিটি বাংলা ও আরবি ভাষায় অনুবাদ করা হবে। দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ছাড়াও অন্য সংস্থাগুলোকে বিমান চলাচলে অনুমতি দিতে পারবে কর্তৃপক্ষ। চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে যে কোন দেশ চুক্তি বাতিল করতে পারবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, দুই দেশের বিমানমন্ত্রী সংশোধিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। এছাড়াও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সরকারের প্রস্তুতির বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব এসডিজির ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের এসডিজি বাস্তবায়নের কর্মপরিকল্পনা ভাল। ১৭টি লক্ষ্য সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান ভাল। বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনে ভাল করব। কারণ এ সম্পর্কে পৃথক একটি বই প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার, যা অন্য কোন দেশ করেনি। সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি পৃথক দফতর করেছে, যেখানে প্রধান সমন্বয়ক নিয়োগ করা হয়েছে। কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব ॥ মন্ত্রিসভায় স্বাধীনতাযুদ্ধের কণ্ঠসৈনিক আব্দুল জব্বারের মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান শফিউল আলম। গত ৩০ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কণ্ঠশিল্পী আব্দুল জব্বার। পাঁচ দশকের বেশি সময় বাংলাদেশের গানের ভুবনে আলো ছড়িয়েছেন আব্দুল জব্বার। তারা দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও তিনি হৃদযন্ত্র ও প্রোস্টেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। আব্দুল জব্বার স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পদ লাভ করেছেন।