ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ৩শ’ একর জমি পেল এসপিপিএল

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে ৩শ’ একর জমি পেল এসপিপিএল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রামের মহেশখালীর ধলঘাটায় সুপার পেট্রোকেমিক্যাল প্রাইভেট লিমিটেডকে (এসপিপিএল) ৩০০ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এসপিপিএল টি কে গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর ওই জমিতে পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি, পেট্রোলিয়াম পণ্য মজুদাগার, এলপিজি টার্মিনাল ও বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ করবে এসপিপিএল। গত রবিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে বেজা ও এসপিপিএল এর মধ্যে জমি বরাদ্দ সমঝোতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে বেজার নির্বাহী সদস্য হারুনুর রশিদ ও এসপিপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। টি কে গ্রুপের সঙ্গে এই জমিতে একটি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) টার্মিনাল নির্মাণ করবে দক্ষিণ কোরিয়ার এস কে গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এস কে গ্যাস। চুক্তি অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, এসপিপিএল বেসরকারী পর্যায়ে স্থাপিত দেশের বৃহত্তম পেট্রোলিয়াম এবং পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। এসপিপিএল বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জ্বালানি তেল উৎপাদন করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে (বিপিসি) সরবরাহ করছে। এ প্রতিষ্ঠান সরকারের অকটেন ও ডিজেলের আমদানি নির্ভরতা হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের অকটেন চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ পূরণ করে এসপিপিএল। এছাড়া আমদানি বিকল্প পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য জাইলিন ও টলুইন উৎপাদন করে; যা রং, মুদ্রণ কালি এবং এডহেসিভ উৎপাদনকারী বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বেজার সার্বিক সহযোগিতায় এসপিপিএল বিশাল বিনিয়োগে স্টেট অব আর্ট মেশিনারিজ স্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, সরকার মহেশখালী উপজেলাকে পাওয়ার এ্যান্ড হাব করার উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ জোনে বিশেষ করে বিদ্যুত, স্টিল, এলপিজি গ্যাস এর মতো ভারী শিল্প করা যাবে। এসব শিল্পকে ঘিরে চারলেন সড়ক, রেল সংযোগ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তিনি উল্লেখ করেন, এলএনজি টার্মিনাল, বড় ধরনের স্টিল মিল বা এ ধরনের ব্যবসা যেগুলোর জাহাজ চলাচলে সমুদ্রের বেশি গভীরতার প্রয়োজন হয়। এসব ব্যবসার জন্য মহেশখালী আদর্শ জায়গা হতে পারে। এই গুরুত্বটা বিবেচনা করেই আমরা এই জায়গাটা চিহ্নিত করেছি। দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত যে রেললাইন যাচ্ছে গুরুত্বের বিচারে ওই এলাকায়ও রেলের একটি লাইন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এসপিপিএল এ জোনে ৮-১০টি ইন্ডাস্ট্রি স্থাপন করবে। জানুয়ারি নাগাদ তাদের জমি হস্তান্তর করা হবে।
×