ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রদীপ মালাকার

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে বিদেশী ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে বিদেশী ষড়যন্ত্র

গত ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাত ও জাতীয় শোক দিবসে সুপ্রীমকোর্টের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা ) বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে অনেক রাঘববোয়াল জড়িত ছিল; কিন্তু আইনী দুর্বলতার কারণে তাদের ধরা যায়নি। প্রতি বছর আগস্ট মাস এলেই সরকারী দল ও নেতাকর্মীরা বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির জনকের শোকাবহ শাহাদাত দিবসটি পালন করে এবং সেইসঙ্গে বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর হত্যার বাদবাকি খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় বাস্তবায়নে সোচ্চার হয়। কিন্তু প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করেননি এবং আদালতের রায়েও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা উঠে আসেনি। অথচ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ছিল একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। আদালতের রায়ে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে সমগ্র সেনাবাহিনী জড়িত ছিল না। জড়িত ছিল সেনাবাহিনীর চাকরিরত ও চাকরিচ্যুত ১০-১২ জন মেজর পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ২টি ইউনিট এই বর্বরতায় অংশ নেয়। অন্যদিকে, এদেশীয় মূল চক্রান্তকারী বিশ্বাসঘাতক খন্দকার মোশতাক সরকার ও সরকারের বাইরে গুটিকয়েক মন্ত্রী এবং আমলা বঙ্গবন্ধু সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রে বিপথগামী সেনা কর্মকর্তাদের মদদ দেয়। আর স্বাধীনতাবিরোধী আন্তর্জাতিক চক্র তাদের এদেশীয় দোসররাই যে বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তৎকালীন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এবং পাকিস্তানের জুলফিকার আলী ভুট্টোর চক্র বাংলাদেশের স্বাধীনতারই শুধু বিরোধিতা করেনি, স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে বিশ্ব মানচিত্রে টিকে থাকতে না পারে তারও চক্রান্ত করেছিল। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার এবং পাকিস্তানের ভুট্টো যে বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিল এর প্রমাণ রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রবল প্রতাপশালী দেশের বিরোধিতা সত্ত্বেও মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায়। কিসিঞ্জারের সাবেক স্টাফ এ্যাসিস্ট্যান্ট রজার মরিস এক সাক্ষাতকারে বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবের প্রতি তার (কিসিঞ্জার) ঘৃণার কথা স্বীকার করেছেন। মরিস জানান, শেখ মুজিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যুদয়কে কিসিঞ্জার তার ব্যক্তিগত পরাজয় বলে মনে করতেন। কিসিঞ্জারের বিদেশী শত্রুর তালিকায় সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন- আলেন্দে, থিউ ও শেখ মজিব। এ তিনজন তার বিভিন্ন পরিকল্পনা ভ-ুল করে দেন। আমেরিকা ও তার অনুগ্রহভাজন পাকিস্তানকে সত্যিকারভাবে পরাজিত করে মুজিবের বিজয় ছিল আমেরিকার শাসকবর্গের পক্ষে অত্যন্ত বিব্রতকর- বাংলাদেশ দি আনফিনিশড রেভুলিউশন, লরেন্স লিফসুলজ (পৃষ্ঠা-১৩৬-১৩৮)। ১৯৭৯ সালে মার্কিন সাংবাদিক লরেন্স লিফসুলজ স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পেছনে সিআইএ’র হাত ছিল এবং মার্কিন সরকারের উচিত এটি তদন্ত করে দেখা। তিনি তার প্রতিবেদনে আরও বলেন, মুজিব হত্যায় সিআইএ সংশ্লিষ্টতার মার্কিন দলিলপত্রই এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিচ্ছে। ১৯৭২ সাল থেকে ফারুক নিয়মিতভাবে মার্কিন মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এমনকি ১৯৭৪ সালে তিনি মার্কিনীদের কাছে সরকার পরিবর্তনের পরিকল্পনা পেশ করেন। ১৯৯৩ সালে মার্কিন শিক্ষাবিদ ও লেখক স্টেনলি উলপার্ট তার জুলফি ভুট্টো অব পাকিস্তান বইয়ে লিখেছেন, পঁচাত্তরের ২২ মার্চ মিসরের আসওয়ান সফররত কিসিঞ্জারের কাছে একটি টেলিগ্রাম যায়। তার শিরোনাম সিআইএ এবং বাংলাদেশে একটি সম্ভাব্য অভ্যুত্থান। এর বিস্তারিত তথ্য জানতে পারিনি। কারণ, তা অবমুক্ত করা হয়নি বা মুছে ফেলা হয়েছে। এর দুইদিন আগে ২০ মার্চ ফারুক রহমান জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছিল। দেশের এবং বিদেশের রাজনৈতিক পণ্ডিতরা মনে করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে আমেরিকার নীরব সমর্থন থাকলেও মূল ভূমিকা পালন করে পাকিস্তান তথা তাদের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। মুক্তিসংগ্রাম চলাকালে আটক বঙ্গবন্ধুকে দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার অপরাধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচারে দ্বিতীয়বারের মতো খুব সম্ভব ডিসেম্বরের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট জে. ইয়াহিয়া খান জীবন্ত কবর দেয়ার ব্যবস্থা করে। তখন ভুট্টো খবর পেয়ে লাহোর থেকে রাওয়ালপিন্ডি ছুটে গিয়ে ইয়াহিয়াকে নিবৃত্ত করে এবং বলে, তাকে পাকিস্তানের মাটিতে নয়, তার দেশেই তার লোক দিয়েই কবর দেয়া হবে। আপনি কেন এই দায় নিজে এবং পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপাতে চান? ৯৩ হাজার সেনা ও তাদের পরিবার-পরিজন মিলে লক্ষাধিক ভারতের কারাগারে বন্দী আছে। মুজিবকে হত্যা করলে বাঙালীরা তাদের ছেড়ে দেবে না। তারপর ১৯৭৩ সালে ভুট্টো পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর দাওয়াত পেয়ে বিশাল লটবহর নিয়ে ঢাকা সফরে আসে এবং এই সফরসঙ্গীর অধিকাংশই ছিল আইএসআইয়ের লোক। আমাদের গোয়েন্দারা সফররত লোকজনের সন্দেহজনক গতিবিধির জন্য তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়। আমাদের দেশের গুটিকয়েক রাজনীতিবিদ ও দল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাকশাল চালু হওয়া অর্থাৎ বাকশালের ভালমন্দ যাচাই হওয়ার পূর্বেই বাকশালকে ‘সুন্দরবনের বাঘ’ বুঝিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে। তারা দাবি করে বাকশাল গঠন করার কারণেই নাকি বঙ্গবন্ধু হত্যাকা- সংঘটিত হয়। অথচ ভুট্টোর ঢাকা সফরের পর ১৯৭৩ সালের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। তখন তো বাকশাল ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৭ আগস্ট করাচী থেকে প্রকাশিত দৈনিক ডন পত্রিকায় রিপোর্টে প্রকাশিত হয়, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের পর এদিন সন্ধ্যায় রাওয়ালপিন্ডির সামরিক বাহিনীর হেডকোয়ার্টারে কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে তাদের ঢাকা মিশন সফলে আনন্দ-উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে মূলত দুটি চক্র কাজ করেছিল, একটি খন্দকার মোশতাকের নেতৃত্বে বেসামরিক রাজনৈতিক চক্র ও অন্যটি সামরিক। যেসব সামরিক ব্যক্তি মুজিব হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল ১৯৭৫-এর মার্চে কিংবা এপ্রিলের মধ্যে তাদের মোশতাকের মূল পরিকল্পনার আওতায় আনা হয়। মোশতাক চক্রের অন্যতম কুশীলব মাহবুব আলম চাষী দীর্ঘদিন ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্থায়ী প্রবাসী সরকারের মন্ত্রী মোশতাকের পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন। যার ফলে মোশতাকের সঙ্গে মার্কিন কূটনীতিক ও একাডেমিক সহকর্মীদের ঘনিষ্ঠতার ব্যাপারে পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতরের সম্যক ধারণা ছিল। বিদেশীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু হত্যায় সবচেয়ে বেশি উল্লসিত হন পাকিস্তানের ভুট্টো। ১৫ আগস্ট মুজিব হত্যার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তান বাংলাদেশের খুনী সরকারকে স্বীকৃতি দেয়। বঙ্গবন্ধু হত্যায় খুশিতে ডগমগ ভুট্টো তাৎক্ষণিকভাবে মীরজাফর মোশতাক সরকারকে ২ কোটি ডলার মূল্যের ৫০ হাজার টন চাল ও দেড় কোটি গজ কাপড় দেয়ার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু কিসিঞ্জার, ভুট্টোরা বাংলাদেশের খুনীদের দিয়েই হত্যাকাণ্ডটি ঘটায়। বিদেশী প্রভুদের মদদে খন্দকার মোশতাক গং ও সেনাবাহিনীর তৎকালীন উপ-প্রধান জে. জিয়াউর রহমানের লেলিয়ে দেয়া ফারুক-রশিদ-ডালিম-নূর চক্র বঙ্গবন্ধু পরিবার এবং তার স্বজনদের নির্মমভাবে হত্যা করে। গত প্রায় ৪১ বছরে যেসব তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যাচ্ছে তাতে দেখা যায়, সেনাবাহিনীর তৎকালীন শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকের ভূমিকাও স্বচ্ছ ছিল না। মুজিব হত্যার সবচেয়ে বড় বেনিফিশিয়ারি হলেন জে. জিয়া। জিয়া ছাড়াও জে. ওসমানী, খালেদ মোশারফ, কর্নেল তাহেরসহ পদস্থ আরও অনেকের ভূমিকাই ছিল সন্দেহজনক। তবে পাকিস্তান ফেরত সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ কেউ ১৫ আগস্টের ষড়যন্ত্রে বিশেষভাবে জড়িত ছিল। মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের ২ বছর সিনিয়রিটি দেয়া পাকিস্তান প্রত্যাগতরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনি। তাছাড়া তাদের জুনিয়র সফিউল্লাহ, জিয়া, খালেদের অধীনে চাকরি করাও তারা অপমানবোধ করতেন। পাকিস্তান প্রত্যাগতদের চাকরিতে পুনর্বহাল করা ছিল বঙ্গবন্ধু সরকারের একটি ভুল সিদ্ধান্ত। শাফায়াত জামিল তার গ্রন্থে লিখেছেন পাকিস্তান প্রত্যাগতরা কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের বিরুদ্ধে বারবার ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে। তবে তিনি বলেছেন, জে. জিয়া যে বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রের এদেশীয় হোতা তারও প্রমাণ রয়েছে। ১৫ আগস্ট ভোরে শাফায়াত জামিলের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর পেয়ে জিয়া ইংরেজীতে বলেন, তাতে কি হয়েছে? প্রেসিডেন্ট নেই, ভাইস প্রেসিডেন্ট তো রয়েছেন। এই একটি উক্তিই প্রমাণ করে হত্যা-ষড়যন্ত্রে তার যোগসাজশ। ঘাতক ফারুক, রশিদ ১৯৭৬ সালেই সানডে টাইমস ও বিদেশী টেলিভিশনে প্রদত্ত সাক্ষাতকারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জে. জিয়ার মদদ দেয়ার কথা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার ৯ দিনের মাথায় সেনাপ্রধান সফিউল্লাহকে বরখাস্ত করে খুনীচক্র জিয়াকে সেনাপ্রধান হিসেবে পদোন্নতি দেয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে লাভবান ব্যক্তি হচ্ছেন জে. জিয়া। রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা না করলে জিয়া কোনদিনই সেনাপ্রধান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি হতে পারতেন না। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সুপরিকল্পিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তিন মাসের মাথায় জিয়াকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনা হয়। জে. জিয়ার জীবিতকালে ফারুক, রশিদরা বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়ার জড়িত থাকার কথা বললেও তিনি কোনদিন এর প্রতিবাদ করেননি। অন্যদিকে জে. জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুধু বন্ধ রাখেননি, আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে চাকরি দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি খুনীদের ঘনিষ্ঠ দোসর ছিলেন। সেনাবাহিনীর উপ-প্রধান হিসেবে জে. জিয়া খুনীচক্রকে সহযোগিতা ও মদদ না দিলে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে কোনভাবেই হত্যা করা সম্ভব হতো না। কর্নেল শাফায়াত জামিল তার গ্রন্থে লিখেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ক’দিন পর কারও কোন অনুমতি না নিয়েই এরশাদ ভারতে তার ট্রেনিং শেষ না করেই দেশে চলে আসেন। ভারতে ফেরার পূর্বে জে. জিয়ার নিষেধ সত্ত্বেও বঙ্গভবনে গিয়ে খুনীদের সঙ্গে বৈঠক করেন এরশাদ। এটা এখন স্পষ্ট যে, শীর্ষ কর্মকর্তাদের ব্যর্থতার কারণেই কয়েকজন খুনী জাতির পিতাকে হত্যা করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ফারুক, রশিদ চক্র অসহায় অবস্থায় সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের বলতে থাকে ‘আমরা একটি ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছি। আপনারা পরিস্থিতি সামলান।’ যদি সেদিন শীর্ষ কর্তারা চেন অব কমান্ড রক্ষার মাধ্যমে সংবিধান সমুন্নত রাখতেন তাহলে মোশতাক, সায়েম, জিয়া, এরশাদ চক্র ১৫ বছর অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে পারত না। আদালতের রায়ে ফারুক, রশিদ, ডালিম গংদের সরাসরি হত্যা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের বিষয়টি উঠে আসলেও পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েও আলোচনা হয়। কিন্তু এদেশীয় মোশতাক, জিয়া গংদের ষড়যন্ত্র, ক্ষমতা দখলের কথা জনগণ জানলেও তাদের মুরব্বি ও মদদদাতা স্বাধীনতাবিরোধী আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীদের সম্বন্ধে দেশের জনগণ আজও অন্ধকারে। তাই সরকারের কাছে জনগণের দাবি, একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের মুখোশ জনগণের কাছে তুলে ধরা হোক। লেখক : নিউইয়র্ক প্রবাসী
×