ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্রিজের অভাবে দুই উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ব্রিজের অভাবে দুই উপজেলাবাসীর দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি, মাদারীপুর, ১০ সেপ্টেম্বর ॥ যখন নদীতে পানি ভরা মৌসুম থাকে তখন খেয়া ভাড়া একটু কমে, আবার যখন শীত মৌসুম আসে তখন নৌকার সংখ্যা কমে গিয়ে খেয়া ভাড়া রীতিমতো বেড়ে যায়। প্রতিবার স্থানীয়দের পার হতে লাগে জনপ্রতি ৫ টাকা আর অপরিচিতদের জনপ্রতি লাগে ২০ থেকে ৩০ টাকা। কিন্তু স্থানীয়দের এভাবে প্রতিদিন খেয়া পারাপার হতে মোট খরচ হয়ে সারাদিন প্রতিজন ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কারণ প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি কাজে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই ২০ থেকে ২৫ বার খেয়া পার হতে হয়। অনেক সময় মাঝিদের খেয়া ভাড়ার অভাবে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া নদী পার হন না নিম্নবিত্তরা। এ ছাড়াও কোন কারণে খেয়ার অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় সাধারণ মানুষের। কালকিনি উপজেলার রমজানপুর এলাকার চড়পালরদি নদীর খেয়াঘাটে এম দৃশ্য দেখা গেছে। কোন উপায়ন্তর না পেয়ে এভাবেই দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে কেটে যাচ্ছে বছরের পর বছর। কিন্তু ব্রিজ হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হচ্ছে না সাধারণ মানুষের। সব মিলিয়ে উভয় সঙ্কটে পড়েছে কালকিনি-গৌরনদী উপজেলার ২৫টি গ্রামের মানুষ। সরজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় তিন যুগের বেশি সময় ধরে চড়পালদি নদীর খেয়াঘাট দিয়ে দুই উপজেলার ২৫ গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। বেশ কয়েক বছর ধরে সাধারণ মানুষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বিভিন্ন সময় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি হিসেবে নদীতে সেতু নির্মাণ করার আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর সব ভুলে যান তারা। ভোট শেষ সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ও শেষ। এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলার রমজানপুর এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উত্তর রমজানপুর, দক্ষিণ রমজানপুর, কয়ারিয়া, সাহেবরামপুর, সিডিখান, ব্যস্ততম হাট-বাজার গৌরনদী বন্দর ও টরকীসহ প্রায় ২৫ গ্রামের হাজার-হাজার সাধারণ মানুষ-ব্যবসায়ীরা প্রতিদিনি ওই নদী দিয়ে খেয়া পারাপার হয়ে চলাচল করতে হয়।
×