ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মণিরামপুরের জলাবদ্ধ মানুষের ভিটায় ফেরা শুরু

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মণিরামপুরের জলাবদ্ধ মানুষের ভিটায় ফেরা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে মণিরামপুরের শ্যামকুড় ও চালুয়াহাটি ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়া মানুষেরা বাড়ি ফিরছেন। ঘরবাড়ি থেকে পানি সরে পড়ায় গত ৪-৫ দিন ধরে তারা বসতভিটায় ফিরতে শুরু করেছেন। আবার অনেকের বাড়িতে কিছুটা পানি জমে থাকলেও সড়কে বেপরোয়া যানের ভয়ে তারা টংঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। বসতঘরে এমনকী রাস্তায় কোমর পানি উঠে যাওয়ায় এই দুই ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ গত দেড় মাস ধরে রাস্তার ধারেসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। জলাবদ্ধতায় বসতঘর পড়ে যাওয়ায় যারা মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়েছেন, তাদের বাড়ি থেকে পানি সরলেও নতুন করে ঘর তৈরি করতে না পারায় অনেকে নিজ ভিটেয় পলিথিনের চালায় ঝুপড়ি বেঁধে বসবাস করছেন। রাস্তার পাশের টংঘর ভেঙ্গে রবিবার দুপুরের দিকে ভিটেয় ফিরতে দেখা গেছে হাসাডাঙ্গা গ্রামের যুবক আব্দুল জলিলকে। তিনি বলেন, ‘এখানে টংঘরে মা একা থাকত। আমি অন্য জায়গায় থাকতাম। বাড়ির উঠোনে কিছু পানি আছে। কিন্তু ঘর থেকে পানি নেমে পড়ায় বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি মাকে। তাছাড়া রাস্তার ধারে থাকা নিরাপদ না।’ওই গ্রামের সালমা বলেন, ‘নাতিপুতিসহ ছয়জন গত দেড়মাস ধরে এই রাস্তায় ছিলাম। ৫-৬ দিন হবে বাড়ির পানি সইরে গেছে। উঠোনে কাদা আছে, তাও ফিরতেছি। আর কয়দিন রাস্তায় থাহা যায়।’ নাগোরঘোপ গ্রামের গৃহবধূ রওশনারা বলেন, ‘৭-৮ দিন আগে একটা বাস এহিনে আইসে উল্টে গিল। অল্পের জন্যি সবাই বাঁইছে গেছে। রাস্তায় থাকতি ভয় করতিছে। কহন জানি কী হয়! বাড়ি এহনও কাদা আছে। কী করবো? তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। একই এলাকার জোনাব আলী জানান, রবিবার সকালে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। বৃষ্টিতে ঘর পড়ে যাওয়ায় এখন উঠানের কাদায় খাট পেতে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হচ্ছে। ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম জানান, পানিবন্দী হওয়ায় তার ওয়ার্ডের ৯৪ পরিবার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিল। ইতোমধ্যে ১৫-২০ পরিবার বাড়ি ফিরেছে। চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৮২ পরিবার রাস্তায় উঠেছিল। পানি সরে যাওয়ায় দুই-একটি পরিবার বাদে বাকিরা বাড়ি ফিরেছে।’
×