ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, বৃষ্টির কারণে না হওয়া ঢাকা আবাহনী-মুক্তিযোদ্ধা ম্যাচ আজ, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ০-২ চট্টগ্রাম আবাহনী

উপহার গোলে শীর্ষেই চট্টগ্রাম আবাহনী

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

উপহার গোলে শীর্ষেই চট্টগ্রাম আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উপহার গোলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে চট্টগ্রাম আবাহনী। রবিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ২-০ গোলে হারিয়েছে বন্দর নগরীর দল। চট্টগ্রাম আবাহনী প্রথম গোলটি পায় ব্রাদার্সের আত্মঘাতীর সৌজন্যে। কমলা জার্সিধারীদের বিদেশী ফুটবলার সিও জুনাপিও নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন। এরপর ম্যাচের শেষদিকে বিজয়ী দলের হয়ে আরেকটি গোল করেন ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। গতকাল দু’টি ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও ভারি বৃষ্টির কারণে একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম আবাহনী-ব্রাদার্স ইউনিয়ন ম্যাচটি হলেও স্থগিত করা হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ঢাকা আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচ। এই ম্যাচটি একই ভেন্যুতে আজ সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে। আজ এই একটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে। এই জয়ে আট ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ২২। সমান ম্যাচে মাত্র ৫ পয়েন্ট নিয়ে আগের দশম স্থানেই ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আট ম্যাচে গোপীবাগের দলের এটি পঞ্চম হার। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর জয় সাতটিতে। কোচ সাইফুল বারী টিটুর দল এখন পর্যন্ত শুধু একটি ম্যাচ ড্র করেছে। হারেনি একটিতেও। বৃষ্টিভেজা মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই চট্টগ্রাম আবাহনী আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে। প্রথম মিনিটে বামপ্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম আবাহনীর সুশান্ত ত্রিপুরার ক্রস ব্রাদার্স গোলরক্ষক লুফে নেন। চতুর্থ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মামুনুলের নেয়া ফ্রিকিক অল্পের জন্য সাইডপোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দশম মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে আসরের বর্তমান রানার্সআপরা। ডানপ্রান্ত দিয়ে মনসুরের পাসে ফাঁকা পোস্টে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন সবুজ। ১৪ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ব্রাদার্স। বিদেশী সিও জুনাপিওর বাড়ানো বলে ডি বক্সের মাথায় ফাঁকা পেয়েও শট নিতে দেরি করায় গোল পাননি মিডফিল্ডার মাসুদ রানা। ১৭ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করে আবাহনী। ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে আসা বলে প্রথমে মিস করেন সাখাওয়াত হোসেন রনি। এরপর ফাঁকায় বল পান তৌহিদুল আলম সবুজ। কিন্তু তার নেয়া শট বারপোস্টের ওপর দিয়ে বাইরে যায়। ২০ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে বাড়ানো মেসবাহর ক্রসে ব্যাকভলি করেন ব্রাদার্সের বিদেশী ফুটবলার ঘানার টম ফ্রাঙ্ক। তার প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোলবঞ্চিত হয় গোপীবাগের দল। ২৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারায় ব্রাদার্স। বামপ্রান্ত থেকে আসা ফ্রিকিকে ডি বক্সে বল পান ফরোয়ার্ড ফ্রাঙ্ক। কিন্তু ঠিকমতো তিনি বলে পায়ে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন। ৩৭ মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও ব্যর্থ হন আবাহনীর মাসুক মিয়া জনি। ৩৯ মিনিটে অবশেষে গোল পায় চট্টগ্রাম আবাহনী। মামুনুলের ফ্রিকিক থেকে আসা বলে ডি বক্সের মধ্যে ব্রাদার্সের দু’জন ক্লিয়ার করতে যান। প্রথমে অধিনায়ক আশরাফুল করিম হেড করেন। তবে ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন। এরপর বিদেশী সিও জুনাপিও ফের হেড করে ক্লিয়ার করতে যান। কিন্তু তার হেড আশ্রয় নেয় নিজেদের জালেই (১-০)। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে আবাহনীর আব্দুল্লাহ সহজ সুযোগ মিস করেন। সবুজের বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার হাতে তুলে দেন। বিরতির পর দু’দলই অগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে। তবে সময় গড়াতে থাকলে দু’দলের খেলাতেই গতি আসে। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ব্রাদার্সের ডিফেন্ডার আকরামুজ্জামান লিটনের জোরালো শট অল্পের জন্য বাইরে যায়। ফলে সমতায় ফেরা হয়নি তাদের। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে গোলের সুযোগ নষ্ট করে আবাহনীও। বামপ্রান্ত থেকে আসা ক্রসে সবুজের হেড বারপোস্টের ওপর দিয়ে যায়। ম্যাচের ৮১ মিনিটে জয় নিশ্চিত করা দ্বিতীয় গোল পায় আবাহনী। সংঘবদ্ধ আক্রমণে বামপ্রান্ত থেকে মনসুরের বাড়ানো ক্রসে পা ছুঁয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ (২-০)। এটি টুর্নামেন্টে সবুজের ষষ্ঠ গোল। ম্যাচের শেষদিকে ব্যবধান কমাতে কয়েকটি জোরালো আক্রমণ করলেও সফল হয়নি ব্রাদার্স। ফলে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
×