ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুই প্রকল্পে অর্থায়নে চীনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

দুই প্রকল্পে অর্থায়নে চীনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইসিটি খাতে চীনা অর্থায়নের দুটি প্রকল্পে কারিগরি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। প্রকল্পগুলো হলোÑ ডেভেলপমেন্ট অব আইসিটি ইনফ্রা নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গবর্নমেন্ট ফেজ-৩ (ইনফো-সরকার-৩) এবং মর্ডানাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেকটিভিটি (এমওটিএন) প্রকল্প। এ দুটি প্রকল্পে চীনের অর্থায়ন রয়েছে প্রায় তিন হাজার ৬৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে দুই দেশের সরকারের মধ্যে এ ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট (কাঠামোগত চুক্তি) স্বাক্ষর হয়। এতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম ও ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং সই করেন। শীঘ্রই ঋণচুক্তি হবে বলে এ সময় জানানো হয়। চুক্তি অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তথ্য ও যোগাযেগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় ইনফো-সরকার-৩ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীন ঋণ দিচ্ছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় এক হাজার ২৫২ কোটি টাকা)। অপরদিকে ডাক ও টেলিযোগাযেগ বিভাগের এমওটিএন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীন ঋণ দিচ্ছে ২৩ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় এক হাজার ৮৫২ কোটি টাকা)। সমঝোতা অনুযায়ী নমনীয় শর্তে এ ঋণের ফ্লাট সুদের হার ২ শতাংশ। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। কাজী শফিকুল আযম বলেন, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় যে সরকারী ২৭টি প্রকল্পে প্রায় ২২ বিলিয়ন ডলার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল, তার মধ্যে প্রথমবারের মতো এ দুটি প্রকল্পে কারিগরি চুক্তি হচ্ছে। আশা করা যায়, এর মধ্য দিয়ে অন্য প্রকল্পগুলোর চুক্তিও দ্রুত হবে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-চীনের ৪২ বছরের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হচ্ছে। আশা করছি চলতি অর্থবছরে আরও সাত প্রকল্পের চুক্তি হবে। অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মা মিং কিয়াং বলেন, মিয়ানমারে বিদ্রোহীদের হামলায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষ নিহত হওয়ার পর এখন সেখানে সহিংস ঘটনা ঘটছে। এটি সেখানকার অভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও ভুক্তভোগী হচ্ছে বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে চীনও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কেননা সেখানে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ রয়েছে। বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিসিআইএমের (বাংলাদেশ, চীন, ভারত, মিয়ানমার ইকোনমিক করিডর) বিষয়টি। দুটি দেশই আমাদের বন্ধু দেশ এবং ভাল সম্পর্ক রয়েছে। তাই আশা করছি দ্রুতই এ সহিংস পরিস্থিতির অবসান হবে। চুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এ দুটি প্রকল্প বিশেষ গুরুত্ব¡পূর্ণ। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সবগুলো মন্ত্রণালয়, জেলা ও উপজেলার সরকারী দফতর একটি নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
×