অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ। অনেকের টাকা থাকলেও শিল্পোদ্যোক্তা হতে চান না। শিল্পোদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান হয়। বঙ্গবন্ধু এমন শিল্পভিত্তিক বাংলাদেশই গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে হত্যা করে তার এ প্রচেষ্টাকে থামিয়ে দেয়া হয়। ২১ বছর পর তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। রবিবার নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় দেশবন্ধু ফুড এ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের বাণিজ্যিক উৎপাদন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
দেশবন্ধু গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দেশবন্ধু ফুড ও বেভারেজের প্রকল্প ব্যং ১৫০ কোটি টাকা। এখানে কর্মরত রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৫শ কর্মচারী। এখানে সেস্ট অব দ্যা আর্থ প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭৪ হাজার কোমল পানীয় উৎপাদন করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশে শিক্ষিতের হার ৪৭ থেকে ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলেই দেশে উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি হয়। মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তি না হলে বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না। উন্নয়ন ব্যাহত করতে শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নয়, এ ষড়যন্ত্র জাতির বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের সেই অপশাসকরা এখনও বাংলাদেশকে পিছিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির বিভিন্ন চক্রান্তের মাঝেও বর্তমান সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এর পেছনে এই এলাকার সংসদ সদস্যের ভূমিকা রয়েছে। বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচীর মধ্যে কামরুল আশরাফ খান নিজেই সার দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিয়েছেন। ফলে কৃষকরা ভাল ফলন পেয়েছেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় নরসিংদীতে কল কারখানা স্থাপিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশবন্ধু গ্রুপ এই এলাকার উন্নয়নে কাজ করছে। তবে এলাকার স্বার্থে তিনি জনগণকে চাকরির ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়ায় গুরুত্ব দেন তিনি। তিনি বলেন, এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হলে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজ এগিয়ে যাবে। সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম খান উদ্যোক্তা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। দেশবন্ধু গ্রুপের এমডি গোলাম রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রুপটির চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশারাফ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।