ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে সাময়িক আশ্রয় দেয়া হবে ॥ ত্রাণমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গাদের ঠেঙ্গারচরে সাময়িক আশ্রয় দেয়া হবে ॥ ত্রাণমন্ত্রী

সংসদ রিপোর্টার ॥ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবাইকে একখানে করে সন্দ্বীপের কাছে ঠেঙ্গারচরে সাময়িকভাবে আশ্রয় দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে সরকার থেকে ইতোমধ্যে সেখানে প্রায় ১০ হাজার একর জায়গা শনাক্ত করা হয়েছে। মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার আগ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সরকার থেকে খাদ্য, চিকিৎসা ও থাকার ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে বিশ্ববাসীকে জাগ্রত করে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ কামাল আহমেদ মজুমদারের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। তিনি এ ইস্যুতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এটা নিয়ে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা করবেন না। করে কোন লাভ হবে না। সবার উচিত এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া। সবাই প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করুন, ইনশাল্লাহ এ সঙ্কটও আমরা মোকাবেলা করতে পারব। মাত্র দু’দিন আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে গত ২৫ আগস্ট সৃষ্ট ঘটনার পর গত ১৫-১৬ দিনে স্রোতের মতো রোহিঙ্গা শরণার্থীরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে এসব শরণার্থীরা দেশটি থেকে এসেছে, তাদের করুণ অবস্থা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন জনগণের বন্ধু ছিলেন, তার কন্যা শেখ হাসিনাও জনগণের বন্ধু। এ কারণে মিয়ানমার থেকে যেভাবে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে, আমরাও যদি একই রকম আচরণ করতাম তখন কী হতো? তিনি বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন আমরা মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সাময়িক আশ্রয় দেব, খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করব। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের আপাতত কক্সবাজারের উখিয়ায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে দুই হাজার একর জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছে। পরে সন্দ্বীপের ঠেঙ্গারচরে সব রোহিঙ্গাদের একখানে করে ১০ হাজার একর জায়গায় সাময়িকভাবে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জোর কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের নাগরিকদের সেদেশে ফেরত পাঠানো হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, দীর্ঘ ৪ মাস ধরে চলা ভয়াবহ বন্যা সরকার সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। বন্যাকবলিত একজন মানুষও না খেয়ে থাকেনি। আমরা বন্যাদুর্গত মানুষদের খাদ্যসহ পুনর্বাসনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
×