ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পশ্চিমবঙ্গ থেকে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করা হবে না

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পশ্চিমবঙ্গ থেকে রোহিঙ্গাদের পুশব্যাক করা হবে না

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমার থেকে উৎখাত হওয়া যেসব রোহিঙ্গা ভারতে ঢুকেছেন, তাদের বের করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও রাজ্যগুলোকে সেই নির্দেশ মেনে চলতে বলেছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইনের। রাজ্য সচিবালয় নবান্নের সূত্র উল্লেখ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, উদ্বাস্তু রোহিঙ্গারা পশ্চিমবঙ্গে থাকতে চাইলে মানবিকতার খাতিরেই তাদের থাকতে দেয়া হবে। কোনভাবেই তাদের জোর করে ফেরত পাঠানো হবে না। রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গারা মুসলিম বলে কেন্দ্র এমন অবস্থান নিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র অমানবিক হলেও আমরা তা হতে পারব না। ভারতে ইতোমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে ১০ হাজার জম্মু লাগোয়া এলাকায় রয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি মিয়ানমারে গিয়ে তাদের সকলকে ‘পুশব্যাক’ করার নীতি ঘোষণা করে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা তেমন নয়। বনগাঁ-বসিরহাট সীমান্ত এবং উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি এলাকা দিয়ে কিছু রোহিঙ্গারা রাজ্যটিতে ঢুকে পড়েছেন। ধরা পড়ার পরে তাদের অনেকে এখন কারাগারে। অসম-দাঙ্গার পর উত্তরবঙ্গেও বেশ কিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতার নির্দেশে তাদের কাউকেই ‘পুশব্যাক’ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদিও কেন্দ্রের চাপে এ রাজ্যের বিভিন্ন হোমে বন্দী থাকা ২৩ জন মহিলা ও শিশুর পরিচয়পত্র বিতরণ বন্ধ রাখতে হয়েছে। ইউনাইটেড নেশন হাইকমিশন ফর রিফিউজিস রোহিঙ্গাদের জন্য বিশেষ পরিচয়পত্র দিচ্ছে। এ রাজ্যের হোমে বন্দীদেরও তেমন দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয়কুমার দেকে ধমক দিয়ে সেই পরিচয়পত্র বিতরণ বন্ধ করিয়েছেন। তবে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু অনেকটা খোঁচা দিয়ে বলেন, যাঁর মাথায় তোষামোদি ছাড়া আর কিছু নেই, তিনি তো রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানাবেনই। কিন্তু এর পরে যদি হাজার হাজার রোহিঙ্গা এ রাজ্যে ঢুকতে শুরু করে, মুখ্যমন্ত্রী সামলাতে পারবেন তো?’ যার উত্তরে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দেশের মধ্যে সবচেয়ে মানবিক। একটা মানবিক সরকারের পক্ষে যা করা উচিত, আমরা সেটাই করছি।’
×