ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা ইস্যু জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:০৭, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

জাতিসংঘে রোহিঙ্গা  ইস্যু জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুটি জোরালোভাবে উপস্থাপন করবে সরকার। রোহিঙ্গা নিয়ে সারাবিশ্বে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। আশা করি জাতিসংঘের ওই সভায় বিশ্বের অন্যান্য দেশও এই ইস্যুতে কথা বলবে। এ থেকে একটি সুষ্ঠু সমাধান বেরিয়ে আসবে। রবিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর (এডিপি) মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ এ সভার আয়োজন করে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এডিপির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রী বলেন, আমরাও মুক্তিযুদ্ধের সময় পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এখন রোহিঙ্গারা সহিংসতার শিকার হয়ে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। এটা মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে। সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে সাময়িকভাবে জায়গা দিয়েছে। তাদেরকে যদি থাকতে দেয়া না হতো, তাহলে তারা বঙ্গোপসাগরেই মারা যেত। এর আগে নির্ধারতি সভার শুরুতে মন্ত্রী জানান, বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে চলতি অর্থবছরে চালের উৎপাদন ৮ লাখ টন কম হবে। তিনি বলেন, এবার প্রায় পাঁচ-ছয় মাস ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও বন্যা ধানের ক্ষতি করেছে ব্যাপকভাবে। তাই চাল উৎপাদনের যে লক্ষ্য এবার ছিল তা পূরণ হবে না। আমাদের কাছে থাকা তথ্যমতে এবার এবার ৮ লাখ টন চাল কম উৎপাদন হবে। উল্লেখ্য, এবার চালের উৎপাদন লক্ষ্য তিন কোটি ৫০ লাখ টন ঠিক করা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা সামগ্রিকভাবে বর্তমানে ভাল অবস্থায় আছে। কোথাও মন্দাভাব নেই। এই বছর অর্থনীতির জন্য ভাল একটি বছর হবে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের এডিপি শতভাগ বাস্তবায়ন ও গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) এডিপি বাস্তবায়নের হার কিছুটা বেড়ে ৫ শতাংশ হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়ন হার ছিল ৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এবার দুই মাসে এডিপি বরাদ্দের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা, যা গতবারের একই সময়ের ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ। গত অর্থবছরে জুলাই-আগস্টে ব্যয় হয়েছিল ৪ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। সভায় জানানো হয়, অর্থবছরের দুই মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং সেতু বিভাগ এডিপির বিপরীতে বরাদ্দকৃত অর্থের একটি টাকাও খরচ করতে পারেনি। তাই তাদের বাস্তবায়ন হারও শূন্য। দেখা গেছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রকল্প সাহায্যের পরিমাণ ৮ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা এবং সেতু বিভাগের জন্য প্রকল্প সাহায্য বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৮ কোটি টাকা। সভায় বলা হয়েছে, বিগত বছরসমূহের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, প্রকল্প সাহায্য ব্যবহারের নিম্নহার সামগ্রিকভাবে এডিপি বাস্তবায়নের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর সামগ্রিক অগ্রগতির হার মোট সংশোধিত বরাদ্দের ৯০ শতাংশ ও প্রকল্প সাহায্য ৭৯ শতাংশ। উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এডিপি বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৬৪ হাজার কোটি ঢাকা।
×