ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, যানজট দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাজধানীতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, যানজট দুর্ভোগ

ভারি বর্ষণে চট্টগ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রবল বর্ষণে ফের ডুবে গেছে চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকাগুলো। শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এ বর্ষণ অব্যাহত ছিল। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪ দশমিক ৭ মিলিমিটার। এটি ২৪ ঘণ্টার রেকর্ড হলেও মূলত ভারি বর্ষণ হয়েছে মধ্যরাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে বর্ষা মৌসুম চলে যাওয়ায় বর্ষণ একটানা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রবিবার মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত একটানা ভারি বর্ষণে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম নগরীর নিচু এলাকা। বিশেষ করে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, ছোটপুল, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, শুলকবহর, হালিশহর, চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুড়তলা এবং এ ধরনের নিম্নাঞ্চলের সড়ক পানির নিচে চলে যায়। সকালে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘি্ণত হয়। ভোগান্তির মধ্যে পড়েন অফিস যাত্রী এবং স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। সড়ক ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বিপর্যস্ত হয়। রিক্সা এবং অটোরিক্সার ভাড়া গুণতে হয় দ্বিগুণ। রাজধানীতে বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা, যানজট দুর্ভোগ আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে মৌসুমি বায়ু। এক ঘণ্টার ভারি বর্ষণে রবিবার জলাবদ্ধতা ও যানজটের দুর্ভোগে পড়ে রাজধানীবাসী। নগরীর রাস্তাঘাট ও গলিপথ হয়ে ওঠে কর্দমাক্ত ও অস্বাস্থ্যকর। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতে হাল্কা-পাতলা আরও বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান। তবে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। সারাদেশেই এ কদিন বৃষ্টি হবে। এ বছর রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঈদের আগের দিন থেকে রাজধানীতে বৃষ্টির তেমন দেখা নেই। প্রায় দেড় সপ্তাহের খরা কাটিয়ে রবিবার দুপুরে নেমে এলো ভারি বর্ষণ। চলে ঘণ্টাখানেক। ৩৮ মিলিমিটারের মতো বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও পানিও জমে যায়। এরপর দিনের বাকি সময় নগরীর আকাশ মেঘে ভার হয়ে থাকে। তবে রোদ ও ভ্যাপসা গরমে অতীষ্ঠ নগরবাসী দুর্ভোগের মধ্যেও এ বৃষ্টিতে সাময়িক প্রশান্তি ফিরে পায়। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সেপ্টেম্বরে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। মাসের প্রথমার্ধে দেশের পূর্বাঞ্চলে স্বাভাবিক অপেক্ষা বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে এক থেকে দুটি মৌসুমি নিম্নচাপ। চলতি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ঢাকা বিভাগে ২৭৮ মিলিমিটার, ময়মনসিংহে ৩৫২ মিমি, চট্টগ্রামে ৩১৭ মিমি, সিলেটে ৪০৭ মিমি, রাজশাহীতে ৩১৫ মিমি, রংপুরে ৪১৭ মিমি, খুলনায় ২৭৬ মিমি ও বরিশালে ৩১৬ মিলিমিটার থাকতে পারে। অন্যদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, পর্যবেক্ষণাধীন ৯০টি নদ-নদীর পানি সমতল সেন্টারের মধ্যে রবিবার ৩৯টির পানি বৃদ্ধি এবং ৪৮টির হ্রাস পায়। আর বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল পাঁচটি নদীর পানি। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং সুরমা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে গঙ্গা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে।
×