ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অনলাইন পিটিশন খুলেছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল

রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন বিতাড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রাখাইনে রোহিঙ্গা নিধন বিতাড়নের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে

তৌহিদুর রহমান ॥ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, নিষ্ঠুর নির্যাতন ও নিজ ভূমি থেকে বিতাড়নের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের ওপর নানা ধরনের নির্যাতনের প্রেক্ষিতে গত দু’সপ্তাহের মধ্যেই বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সংস্থাও সোচ্চার হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, ইরান প্রভৃতি দেশ থেকে মিয়ানমারের প্রতি চাপ বাড়ছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা বন্ধে একটি অনলাইন পিটিশন খুলেছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এদিকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরতে চলতি সপ্তাহে কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে সরকার। সূত্র জানায়, মিয়ানমার সীমান্তে গত ২৪ আগস্ট নতুন করে সহিংসতার পর রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা ও সমর্থনের চেষ্টা চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এই সমস্যা দ্রুত সমাধানে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক চাপ দেয়ার জন্যও আহ্বান জানিয়েছে সরকার। কেননা সরকার মনে করছে, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চাপ দিলে, এ সমস্যার সমাধান মিলতে পারে। বাংলাদেশ চাইছে, বিভিন্ন দেশ এ বিষয়ে মিয়ানমারকে চাপ দিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতা ও সমর্থন প্রত্যাশা করেছেন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ছে বলে মনে করছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা। রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর অত্যাচার ও সহিংসতাকে নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচিকে এই মানবিক বিপর্যয় বন্ধের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রভাবশালী সিনেটর ডিক ডারবিন ও জন ম্যাককেইন সিনেটে একটি রেজ্যুলেশন উত্থাপন করেছেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়েস এক চিঠিতে এই বর্বরতা চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্র ও মিয়ানমার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। ডিক ডারবিন ও জন ম্যাককেইনের রেজ্যুলেশনে কো-স্পন্সর্ড হিসেবে আছেন সিনেটর ডিয়ানে ফিনস্টেইন, সিনেটর কোরি বুকার ও সিনেটর বব মেনেনডেজ। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে প্রস্তাবিত এই রেজ্যুলেশনে কোফি আনানের নেতৃত্বে গঠিত রাখাইন পরামর্শক কমিশনের প্রতিবেদনের পূর্ণ বাস্তবায়ন ও রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার দেয়ার আহ্বান জানানো হয়। রেজ্যুলেশনে বলা হয়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী নৃশংসভাবে ও অত্যন্ত ঠা-া মাথায় হেলিকপ্টার দিয়ে সাধারণ রোহিঙ্গার ওপর গুলিবর্ষণ করেছে। পেট্রোলবোমা দিয়ে গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের পালাতে বাধা দিয়েছে। রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের বহু ক্ষুদ্র জাতির একটি। রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংস হামলা ও বাস্তুহারা হওয়ায় আমরা নিন্দা জানাই। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে সব ধরনের শত্রুতামূলক ব্যবহার বন্ধের আহ্বান জানান তারা। রাখাইন রাজ্যের প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য জাতিসংঘের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং মিশনকে মিয়ানমারে কাজ করার অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রেজ্যুলেশনে বলা হয়, সব বাস্তুহারা ও আহতের সহায়তা দেয়ার জন্য সংস্থাগুলোকে কাজ শুরু করার অনুমতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতন বন্ধের ও বিভিন্ন জাতির মধ্যে সংহতি সৃষ্টির জন্য আউং সান সুচিকে তার ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়েস আউং সান সুচিকে লেখা এক চিঠিতে এই বর্বর ঘটনার জন্য যারা দায়ীদের বিচারের আওতায় আনারও আহ্বান জানিয়েছেন। চিঠির শুরুতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ঘটনায় চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে রয়েস বলেছেন, আপনার সরকার ও মিলিটারির ভূমিকা আছে জাতিধর্ম নির্বিশেষে মিয়ানমারের সব মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কারণে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। এদিকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে বলে মনে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার নোয়ার্ট। তিনি জানিয়েছেন, রাখাইন জনগণের ওপর কি ঘটছে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সচেতন রয়েছে। সেখানে যা ঘটছে তাতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি এ ব্যাপারে মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সংলাপ চালিয়েছে বলেও জানান হিদার নোয়ার্ট। এদিকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো গণহত্যা দ্রুত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাস হওয়া এক প্রস্তাবে এ আহ্বান জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলমানের ওপর গণহত্যা চালানোর কড়া নিন্দা করেছে পাকিস্তান। এদিকে মিয়ানমারে চলমান রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের প্রতিবাদ জানিয়েছে মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতে তিনি রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। রোহিঙ্গা ইস্যু কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মালদ্বীপ। মালদ্বীপ দেশ হিসেবে ছোট হলেও এই কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের বিষয়ে মিয়ানমারের প্রতি কিছুটা হলেও চাপ বাড়বে বলে মনে করছে সরকার। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নির্যাতন ইস্যুতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ সফর করেছেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি। তিনি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। এছাড়া তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোগান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুফোগলু বাংলাদেশ সফর করেছেন। তারা কক্সবাজারে গিয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে মিয়ানমার সরকারকে কড়া বার্তাও দিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা নির্যাতন ও অনুপ্রবেশের বিষয়ে ঢাকার বিদেশী কূটনীতিকদের ব্রিফ করবে সরকার। সেখানে রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি অবহিত করা হবে। এই বিষয়ে প্রস্তুতি চলছে। চলতি সপ্তাহে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হবে। এদিকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা বন্ধে একটি অনলাইন পিটিশন খুলেছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ‘মিয়ানমারের চলমান সহিংসতা বন্ধে সাহায্য করুন’ শীর্ষক এ পিটিশনে বলা হয়েছে, দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দেড় লক্ষাধিক রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা হত্যাকা- সম্পর্কিত প্রতিবেদনের বন্যা বইছে। স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবিতে একাধিক স্থানে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার চিত্র পাওয়া গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেকে মাছ ধরার নৌকায় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন। এদের মধ্যে শিশু এবং গুরুতর আহত ব্যক্তিও রয়েছেন। সব শরণার্থীই এটা নিশ্চিত করেছেন যে, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী দেশটিতে রোহিঙ্গাদের ওপর এসব হামলা চালাচ্ছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, রাখাইন রাজ্যের পাহাড়-পর্বতে অসহায় অবস্থায় অবরুদ্ধ দিনযাপন করছেন কয়েক হাজার মানুষ। তারা মৌলিক সাহায্য থেকে বঞ্চিত। কারণ বেসরকারী সংস্থা এবং মানবাধিকার সংগঠনকে সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকারের নিপীড়ন বন্ধে এই পিটিশনে স্বাক্ষরের আহ্বান জানিয়েছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। পিটিশনে যারা স্বাক্ষর করছেন তাদের জন্য টুইটারে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হলায়াংয়ের কাছে সরাসরি নিজেদের অভিমত লেখার একটি অপশন রাখা হয়েছে। যে কেউ চাইলেই তার কাছে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানাতে পারবেন। এর উদ্দেশ্য, পুরো দুনিয়া থেকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যেন মানুষ তার কাছে ব্যাপকভাবে আহ্বান জানানোর মাধ্যমে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন বলে জানিয়েছে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মিয়ানমারের চলমান সহিংসতায় উদ্বেগ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে চিঠিও দিয়েছেন। মিয়ানমার রাখাইন সমস্যার মূল কারণ অনুসন্ধানের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ চেয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। ওআইসির মহাসচিব ড. ইউসুফ আল ওথাইমিন জাতিসংঘের মহাসচিব ও মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচির নিকট এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটিতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই সঙ্কট সমাধানে সংস্থাটি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ডেসমন্ড টুটু রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আউং সান সুচিকে চিঠি দিয়েছেন। এদিকে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘে আহ্বান জানিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘবদ্ধ সহিংসতার অভিযোগ তুলে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসকে লেখা এক চিঠিতে মিয়ানমারের মুসলমানদের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘবদ্ধ সহিংসতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান। উল্লেখ্য, গত ২৪ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছেন। এর আগে গত বছর ৯ অক্টোবর মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলা ও নির্যাতনে প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছিল। এখনও প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায়। এই দফায় সব মিলিয়ে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের আশঙ্কা করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশ দীর্ঘ তিন দশক ধরে ৩৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। এছাড়া আগে থেকেই আরও চার লাখ রোহিঙ্গা এদেশে অবস্থান করছে।
×