ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটায় বিএনপি নেতাসহ আহত ৮

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কুয়াকাটায় বিএনপি নেতাসহ আহত ৮

নিজস্ব সংবাদদাতা কলাপাড়া থেকে জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেনের বহরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ মুসল্লি গুরুতর জখম হয়েছেন। এছাড়াও বালিয়াতলী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, কুয়াকাটা পৌর ছাত্রদল নেতা রিয়াজ কাজী, লতাচাপলী ইউনিয়ন ছাত্রদলের মিলনসহ উভয় দলের ৮ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। অপরদিকে হামলা-সংঘাতে কুয়াকাটা শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্বাস কাজীর ছেলে আল-আমিন কাজী গুরুতর জখম হয়েছে। তার এক হাত ভেঙ্গে গেছে বলে আব্বাস কাজীর অভিযোগ। শুক্রবার রাতে কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন সড়কে দুই দলের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘাতে শত শত পর্যটক আতঙ্কিত হয়ে সৈকত এলাকা ত্যাগ করে। গুরুতর আহত আব্দুল আজিজ মুসল্লি এবং আল আমিন কাজীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবিএম মোশাররফ হোসেন ব্যক্তিগত সফরে কুয়াকাটায় যায়। তিনি শতাধিক দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে রাত পৌনে আটটার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা দিয়ে সৈকতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্বাস কাজী রাস্তা অতিক্রম করতে যান। বিএনপি দলীয় লোকজনের মধ্য থেকে এক সমর্থক আব্বাস কাজীর মাথায় ঘুষি মেরে পথরোধ করে গালাগাল দেয় বলে আব্বাসের অভিযোগ। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালায়। সংঘাত বাধে। ততক্ষণে উভয় দলের অন্তত আট নেতাকর্মী আহত হন। এবিএম মোশাররফ হোসেন জানান, কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী নয়। ব্যক্তিগত সফরে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগের অফিস থেকে আকস্মিক লোকজন বের হয়ে তাদের ওপর হামলা করেছে। আওয়ামী লীগ নেতা ও কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ-গোল শুনে আমি বের হয়ে উভয় দলের লোকজনকে সরাতে চেষ্টা করেছি।
×