ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ৯ সেপ্টেম্বর ॥ কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের চরম যাত্রী ভোগান্তি আর অনিশ্চয়তার মেঘ কেটে গেছে। পদ্মায় ড্রেজিং করে নাব্য সঙ্কটের সমাধান হওয়ার এক সপ্তাহ পর শনিবার সকাল ৯টা থেকে স্বাভাবিক হয়েছে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল। ফলে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের মনে। জানা গেছে, শনিবার সকাল থেকে ২০টি ফেরিই লোড-আনলোড করে যানবাহন পারাপার করছে। একই সঙ্গে সব ধরনের নৌযান চলাচলে অনুমতি দিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ১ সেপ্টেম্বর থেকে পদ্মা নদীর লৌহজং, কবুতরখোলা ও হাজরা টার্নিং পয়েন্টে নাব্য সঙ্কট সৃষ্টি হলে ভারি যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিআইডব্লিউটিএ। ফলে যানবাহন পারাপারে রুট পরিবর্তন হওয়ায় চাপ বাড়ে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া ঘাটে। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীতে নাব্য ফিরিয়ে আনা হলে স্বাভাবিক হয় কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট। এতে স্বস্তি ফিরে এসেছে যাত্রী ও যানবাহন চালকদের মধ্যে। এ সংবাদে সকাল থেকেই চাপ বেড়েছে কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে। একই সঙ্গে ঈদ শেষে আজও ঢাকামুখী যাত্রীদের ¯্রােত দেখা গেছে লঞ্চ ও স্পীডবোটে। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে অনেকেই লঞ্চ ও স্পীডবোটে উঠছেন।এসব নৌযানে যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সে জন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে লঞ্চ ও স্পীডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ এখনও পাওয়া যাচ্ছে। স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে দীর্ঘ ১০ দিন পর সচলতা ফিরছে। শনিবার এই রুটে ৩টি রো রো, ৫টি কে-টাইপ, ৩টি মিডিয়াম, ৬টি ডাম্প ফেরিসহ ১৭টি ফেরি দিয়ে যান পারাপার করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেলে লৌহজং টার্নিং থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে ওয়ানওয়ে রুট করে বিকেল থেকে ১৩টি ফেরি চালানো হয়। পরে শনিবার সকাল থেকে রো রো ফেরিসহ ১৭টি ফেরি চালানো হচ্ছে। শিমুলিয়া প্রান্তে ট্রাক ছাড়া পারাপারের অপেক্ষায় গাড়ি ছিল কম। এতে ঘাট এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
×