ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম স্বীকার করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাকিস্তানে জঙ্গী সংগঠন লস্কর ও জইশের আস্তানা রয়েছে

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পাকিস্তানে জঙ্গী সংগঠন লস্কর ও জইশের আস্তানা রয়েছে

পাকিস্তান বুধবার এই প্রথম স্বীকার করল যে, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ঘোষিত লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মোহাম্মদের মতো জঙ্গী সংগঠনগুলো দেশটিতে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ এ সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া। আসিফ জিও নিউজকে বলেছেন, লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি) ও জইশ-ই-মোহাম্মাদের (জেইএম) মতো গ্রুপগুলোর কর্মকা-ের ওপর আমাদের কড়াকড়ি আরোপ করা উচিত যাতে করে আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে দেখাতে পারি যে, আমরা আমাদের অবস্থান ঠিক রেখেছি। ব্রিকস ঘোষণায় উল্লিখিত দুটি গ্রুপসহ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার জবাবে ওই কথা বলছিলেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাস প্রশ্নে এর সহযোগীদের কাছে পরীক্ষা দিতে আর সমর্থ নয়। চীনের মতো সহযোগীদের প্রতিবার পরীক্ষা করা উচিত নয় বিশেষ করে এ পরিবর্তিত বৈশ্যিক প্রেক্ষাপটে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী খুররম দস্তগীরের মতো ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র দফতর মাত্র একদিন আগে ব্রিকস ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে। মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র দফতর বলেছেন, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসীদের কোন নিরাপদ স্থান নেই। পররাষ্ট্র দফতর আসলে বলেছে, পাকিস্তান নিজে সন্ত্রাসের শিকার। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ বলেছেন, আমি কোন রাজনৈতিক বিবৃতি দিচ্ছি না। আমাদের দেশে এ সংগঠনগুলোর কর্মকা-ের প্রতি আমাদের চোখ বন্ধ রাখতে পারি না। আমরা তা অব্যাহত রাখলে আমাদের এ ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে সব সময়। আসিফ স্বীকার করেন যে, পাকিস্তান অতীতে ভুল করেছে। তিনি বলেন, জিয়াউল হকের শাসনামলে আফগানিস্তানে প্রক্সি যুদ্ধে অংশ নেয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না এ দেশের। অতীত থেকে স্পষ্টভাবে বেরিয়ে আসা আমাদের জরুরী প্রয়োজন। পাকিস্তান ১৯৭৯ সালে একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং পরবর্তী দশকে একটা প্রক্সির মতো কর্মকা- চালিয়েছে। ৯/১১-এর পর আমরা আবারও ভুল সিদ্ধান্ত নেই এবং একটা যুদ্ধকে অবলম্বন হিসেবে গ্রহণ করি যে, যুদ্ধ আমাদের ছিল না কখনও। এ যুদ্ধে অগণিত জীবন ও সম্পদ হারিয়েছি আমরা। তিনি বলেন, পাকিস্তানের এ মিথ্যা ভাবমূর্তি থেকে মুক্ত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে দেশটির।
×