ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরোজ মান্না

বেতবুনিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বেতবুনিয়া থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এখন আকাশ থেকে আসবে ৪০ ধরনের বার্তা। বিশ্ব আরও ছোট হয়ে হাতের মুঠোয় চলে আসবে। সময়ের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশ এগিয়ে চলেছে। দেশে আজকে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশ ঘটেছে এটা একদিনের ইতিহাস না। এর পিছনের ইতিহাস দেশের বয়সের প্রায় সমান। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই তথ্যপ্রযুক্তির গোড়া পত্তন করেন ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি স্থাপনের মধ্য দিয়ে। এই ভূ-উপগ্রহের মাধ্যমে বিনা তারে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন হয়। স্বাধীনতা-উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠনে যোগাযোগে এর অবদান ছিল অপরিসীম। এরপর দীর্ঘ সময় চলে গেলেও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে তেমন কোন কর্মকা- করা হয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দেশে একের পর এক সামরিক শাসন চলে। রাজাকার আলবদর আলশামসরা রাজনীতিতে আবার পুনর্বাসিত হয়। দেশকে পিছিয়ে দেয়ার যত রকমের অপকর্ম ছিল সব চলতে থাকে জিয়া মোস্তাক গংয়ের সময়। বহু বছর কেটে যাওয়ার পর বর্তমান সরকার মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর। এটা যে দেশের জন্য কত বড় অর্জন তা গভীরভাবে ভেবে দেখার বিষয়। পৃথিবীর মাত্র ৪৪টি দেশের স্যাটেলাইট মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাদের কাছ থেকে বিশ্বের সব দেশ সহযোগিতা নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তরুণ প্রজম্ম ‘বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির প্রাণ কেন্দ্রের ইতিহাস হয়তো জানে না। বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে দৃষ্টিপাতের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরছি। বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র মূলত কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে শক্তিশালী এন্টেনার মাধ্যমে ওভারসিস সিগন্যাল গ্রহণ করে বহির্বিশ্বের সঙ্গে টেলিফোন ডাটা কমিউনিকেশন, ফ্যাক্স, টেলেক্স আদান প্রদানের জন্য রাঙ্গামাটির পাহাড়ে এক শ’ একর সমতল ভূমিতে স্থাপন করা হয়। এটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গত শতকে আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর ব্যয়বহুল স্থাপনা। শুরুটা হয়েছিল ১৯৭০ সালের ৩ জানুয়ারি। ৭০ এর নির্বাচন, পাকি শাসকদের ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তালবাহানার বিরুদ্ধে গোটা জাতি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গড়ে তোলে আন্দোলন। এরপর ১৯৭১ সালে শুরু হয় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাসের পর অনেক ত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু নানা উদ্যোগ হাতে নেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক অঙ্গণে যতগুলো সংগঠন ছিল তার সবগুলোর সদস্যপদ নেন। বাংলাদেশে বৈদেশিক কল গ্রহণ ও পাঠানোর একমাত্র মাধ্যম কাউখালীর বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র। যা বৈদেশিক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বহির্বিশ্বের টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান সরাসরি অথবা রেকর্ড করে দর্শকদের দেখানোর ব্যবস্থা ও বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশের টেলিযোগাযোগ স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক ট্রাঙ্ক এক্সচেঞ্জ কাজে ব্যবহৃত হয় এটি। দেশের বর্তমানে ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র রয়েছে ৪টি। এ গুলো হচ্ছে বেতবুনিয়া (রাঙ্গামাটি)-প্রথম তালিবাবাদ (গাজীপুর)-দ্বিতীয়, মহাখালী (ঢাকা)-তৃতীয় এবং সিলেট-চতুর্থ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত দেশের প্রথম ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র বেতবুনিয়া এখন নানা সমস্যায় জর্জরিত। আংশিক চালু এই কেন্দ্রটি এখন কোনমতে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যে অবস্থায় বর্তমানে কেন্দ্রটি চালু রয়েছে তা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এর কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে জাতির জনকের স্মৃতি বিজড়িত এই কেন্দ্রটিকে পূর্ণোদমে চালু করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন সদ্য স্বাধীনপ্রাপ্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে উদ্বোধন করেছিলেন বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের। সে সময় একটি সদ্য স্বাধীনপ্রাপ্ত দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন এবং স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নত যোগাযোগ স্থাপনের জন্য চালু করা হয় দেশের প্রথম এই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটির। ১৯৭০ সালে এই কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এই কেন্দ্রটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার এবং কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নানা চেষ্টা হলেও জাতির জনকের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে কেন্দ্রটি বেতবুনিয়াতেই থেকে যায়। রাঙ্গামাটি কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া নামক স্থানে রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের পার্শ্ববতী এলকায় ১২৮ একরের বিশাল জায়গার ওপর স্থাপিত এই কেন্দ্রটিতে ৩৫ হাজার ৯০০ কিলোমিটার উর্ধমুখী আকাশে অবস্থিত কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্রুত তথ্য আদান প্রদানের কাজ পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মিত্র শক্তি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জাতির জনককে ভারতের ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির কাজ সম্পাদনের কথা বললেও সেই সময় জতির জনক এই আহ্বান বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি নিজ দেশে স্বাধীনভাবে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনার মাধ্যমেই স্বাধীন দেশে এই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটি চালু করেন। তবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারের হত্যাকা-ের পর ক্ষমতায় আসীন পরবর্তী সরকার এবং ৯০-এর পরবর্তীতে দু’দফায় দেশ পরিচালনায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত এই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রটিকে কার্যত অচল করে দেয়ার চেষ্টা চলে। কিন্তু কোন অপচেষ্টাই সফল হয়নি। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে সরকারে এসেই দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের জন্য নানা কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা শুরু করেন। এর মধ্যে সব বড় প্রকল্প হাতে নেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি মহাকাশে বিচরণ করবে। আগামী বছরের এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে গ্রাউন্ড স্টেশন নির্মাণ। গ্রাউন্ড স্টেশনের নির্মাণ কাজও শতকরা ৮৮ ভাগ শেষ হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে। এই স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও বেতারসহ ৪০ ধরনের সেবা পাওয়া। এতে ব্রডকাস্টিং থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগের সব সেক্টরেই বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। তখন আর বিদেশী স্যাটেলাইটের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। অন্যদিকে স্যাটেলাইটের অব্যবহৃত তরঙ্গ ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব হবে। শনিবার টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলি ও আতিয়া ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র পরিদর্শনকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ কথা বলেন। একই দিনে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সেখানে তিনি প্রেসক্লাবের আইটি রুম পরিদর্শন করেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগসহ অন্যান্য সেক্টর উন্নত দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে যাবে। স্যাটেলাইটের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। এ জন্য সরকার প্রকল্পটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বাস্তবায়ন করছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর কার্যক্রম শুরু হলে আশপাশের বেশ কয়েকটি দেশ টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা দেয়ার জন্য জিয়োসিক্রোনাস স্যাটেলাইট সিস্টেম (৪০টি ট্যান্সপন্ডার, ২৬ কেইউ ব্যান্ড, ১৪ সি ব্যান্ড) এর গ্রাউন্ড সিস্টেমসহ সব ধরনের সেবা পাওয়া যাবে। এতে দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। গাজীপুরের টেলিযোগাযোগ স্টাফ কলেজের পাশেই ৪০ একর জমির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন। বর্তমানে হংকং ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক স্যাটেলাইটগুলো প্রতি বছর ১২ কোটি টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে। এই ভাড়া থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পাবে। বরং নিজস্ব স্যাটেলাইট দিয়ে অনেক বেশি টাকা আয় করা সম্ভব হবে। চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করা হবে বলে ডাক ও টেলিযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান। এটি একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে আমেরিকার আবহাওয়া এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে ডিসেম্বরে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে কি হবে না। আমেরিকার ফ্লোরিডায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ ৮৮ ভাগ শেষ হয়েছে। সেখানে যদি আবহাওয়াজনিত কোন সমস্যা না হয় তাহলে, নির্ধারিত দিনে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের জন্য আমরা শতভাগ প্রস্তুত রয়েছি। এই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের কাজ ৮৮ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ নবেম্বরের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। গ্রাউন্ড স্টেশনের যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামোগত কাজ ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে। জেনারেটর ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ প্রায় এক শ’ ভাগ হয়েছে। ১০ টন ওজনের এ্যান্টিনা স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। দুটি এ্যান্টিনা স্থাপন করা হয়েছে। রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি রুমের কাজও শেষ। চলছে এনওসিসি (নেটওয়ার্কিং ব্রটকাস্টিং রুমের) কাজ। আগামী অক্টোবরেই গ্রাউন্ড স্টেশনের কাজ সম্পন্ন হবে। এ স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণের আগে নবেম্বরে পরীক্ষামূলক কাজ করা হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পর আগামী এপ্রিল হতে আনুষ্ঠানিকভাবে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে স্যাটেলাইট কোম্পানি। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ব্রডকাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতা কমানো এবং দুর্গম এলাকায় সেবা বিস্তারের জন্য সরকার মহাকাশের কক্ষপথে বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট স্থাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। স্যাটেলাইটটি চালু হলে দেশে তথ্য যোগাযোগ, ই-লার্নিং, ই-ফার্মিং, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নতি হবে। আমরা এখন মহাকাশ জয় করার অপেক্ষায় আছি। মহাকাশে বাংলাদেশ থাকবে এটা একটা অন্যরকম বিজয়। মহাকাশের স্যাটেলাইটটি ১১৯ ডিগ্রীতে স্থাপন করা হবে। তবে ৩৬ হাজার কিলোমিটার ওপর দিয়ে স্যাটেলাইটটি পৃথিবী প্রদক্ষিণ করবে। ১০৪ ডিগ্রী নর্থ ইস্ট দিয়ে স্যাটেলাইটটি ঘুরবে। এ বছরই আমরা মোবাইল নাম্বার পোটেবুলিটি (এমএনপি) ও ফোর জি চালু করব। জনগণ যাতে উন্নত সেবা পান তা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। লেখক : সিনিয়র রিপোর্টার [email protected]
×