ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

একুশ শতক ॥ খবর নেই ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

একুশ শতক ॥ খবর নেই ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের

॥ দুই ॥ সরকারের প্রস্তাবনা : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ এবং ৫ মার্চ ২০১৪ শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে দুটি সভা করে তাতে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণাটি নিয়ে আলোচনা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার খসড়া আইনটিও অনুমোদিত হয়। সেটি নানা স্তর পার হয়ে ২৯ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চরিত্র কি হবে এবং তার কাঠামো, শিক্ষাপদ্ধতি, বৈশিষ্ট্য সেসব কি হবে; তার খসড়া বিবরণ এখন আমাদের হাতে আছে। জানা গেছে যে, বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন শিক্ষাবিদদের সঙ্গে কথা বলেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়টি সম্পর্কে চূড়ান্ত খসড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে প্রথম উদ্যোক্তা হলেও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সঙ্গে সেই পর্যায়ে কমিশন কোন কথা বলেনি। অবশ্য সুখের বিষয় যে শেষ সময়ে হলেও অন্তত আমরা এই বিষয়ে কিছুটা আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি। সরকারী ধারণাপত্র : ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৪ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় যখন যোগ দিলাম তখন পেলাম এর কার্যপত্র। এতে যা বলা ছিল তা হচ্ছে ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গাজীপুর সফরকালে ওই জেলায় একটি ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। সেই মোতাবেক এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ৩১/০৩/১৪ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে একটি চিঠি লেখা হয়। মঞ্জুরি কমিশন ২ জুন ২০১০ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি আইন ২০১১ নামে একটি খসড়া প্রস্তুত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ২৪ জুন ১০ আইনটি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়। সেই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য আবদুল হামিদকে সভাপতি করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির খসড়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৩ নবেম্বর ১০। সেই সভায় ধারণাপত্রটি আবার প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই ধারণাপত্র পাবার পর ১১ ফেব্রুয়ারি ১২ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রকল্প যাচাই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৭২ কোটি টাকার ব্যয় প্রাক্কলন করে জানুয়ারি ১৩ হতে জুন ১৬ পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়। ১৬ জুন ১৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা। সেই সভায় ১৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয় যাদেরকে ‘পরিষ্কার ও সুস্পষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, গাইডলাইন, প্রয়োগিক গাইড লাইন, প্রয়োগিক পদ্ধতি এবং এর পরিধি, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা প্রদর্শন ও কৌশল, পাঠদান ও শিক্ষা পদ্ধতি এবং এর পরিধি, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কর্ম কৌশল ও অবয়ব ইত্যাদি বিষয়ে মতামত ও কৌশলগত পরামর্শ প্রদানের’ দায়িত্ব দেয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৪ সেই কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৫ মার্চ এর দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই দুটি সভার কার্যপত্র থেকে আরও জানা যায় যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রকল্প ব্যয় হবে ৩৭২ কোটি টাকা। গাজীপুর জেলার গোয়াল বাথান মৌজার ৫০ একর জায়গায় এটি হবার কথা। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক জায়গা পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ১২তলা ভবন, ছাত্রাবাস, আবাসিক স্থল ইত্যাদি স্থাপনের কথা বলা হয়েছে। কার্যপত্রে একটি প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়েছে, যাতে বলা আছে; টেকনিক্যাল কমিটির প্রতিবেদন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড মোঃ মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারের সভাপতিত্বে চার সদস্যবিশিষ্ট টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হলেও কমিটির প্রতিবেদন প্রেরণ না করে ড মোঃ মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার স্বাক্ষরিত প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনের সারবস্তু নিম্নরূপ: একবিংশ শতাব্দীতে শিক্ষা ব্যবস্থার প্যারাডাইমের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। বর্তমানে মুখস্থ পদ্ধতির চেয়ে চিন্তন, যুক্তি ও সমস্যা সমাধান পদ্ধতির ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়। এই প্যারাডাইম আয়ত্বের জন্য শিক্ষার মূল ধারায় আইসিটিকে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরী। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত অভিব্যক্তি, অভিজ্ঞতা ও ব্যাখ্যা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে আইসিটি ব্যবহার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বলতে বোঝায় এমন একটি সমন্বিত প্লাটফর্মকে যেখানে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার/মাল্টিমিডিয়া ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে সকল শ্রেণী কার্যক্রম সম্পন্ন করে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে পারবে এবং যেখানে বিশেষজ্ঞ চিন্তা ও জটিল যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা গড়ে তোলার মাধ্যমে ব্যক্তিক ও সমষ্টিক উন্নয়ন ও আর্থিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকগণ শিক্ষাথীদের চিন্তনে উৎসাহিত করে সমস্যা সমাধানে যোগ্য করে গড়ে তুলবে। এক্ষেত্রে আইসিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এক কথায় প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন প্যরাডাইম প্রতিষ্ঠায় খুবই সহায়ক। ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন : ক) ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কিং খ) পেপারলেস পরিবেশ গ) অফিস অটোমেশন ঘ) দক্ষ একাডেমিক ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞ প্রযুক্তিবিদ ইত্যাদি। প্রতিবেদনে ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকারিতাও বর্ণনা করা হয়েছে। এগুলো হলো; ক) নতুন প্যারাডাইম প্রতিষ্ঠায় সহায়ক খ) সময় বাঁচায় ও সময়ের সদ্ব্যবহারে সহায়ক গ) আইসিটিতে পশ্চাদপদতা হ্রাস করে ঘ) শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করে ইত্যাদি। প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিখন পদ্ধতি নিশ্চিত করার ধাপসমূহ নিম্নরূপভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে: ক) শিক্ষার্থীদের মুখস্থ না করিয়ে কোন সমস্যা উপস্থাপন করতে হবে এবং সমস্যা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করতে দিতে হবে। খ) শিক্ষার্থীগণ প্রশ্ন করবে এবং তাদের চিন্তাকে প্রকাশ করবে। গ) শিক্ষার্থীরা দলীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করবে। উল্লেখ্য, প্রতিবেদনটিতে শিক্ষার লক্ষ্য, প্যারাডাইম, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা ইত্যাদি উল্লেখ করা হলেও কোন সুপারিশ করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে যে ধারণাপত্রটি দেওয়া হয়েছে সেটি এরকম: ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্য বিষয়াদির প্রতি সবিশেষ গুরুত্বারোপের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে দ্রুত অগ্রসরমান বৈশ্বিক সর্বাধুনিক জ্ঞানভা-ারের সঙ্গে বাংলাদেশকে অঙ্গীভূতকরণ এবং বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থী ও গবেষকগণের এই দেশে অবস্থান করিয়া জ্ঞানার্জন ও জ্ঞানসৃষ্টি করিয়া জ্ঞানভা-ার সমৃদ্ধকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ স্থাপন করা সমীচীন। কোরিয়া এডভান্সড ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি (কাইস্ট), ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি), ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইএসসি) এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (এনইউএস) সংশ্লিষ্ট দেশের বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে প্রশংসনীয় অবদান রাখিয়াছে। এই সকল উদাহরণ দ্বারা উদ্বুদ্ধ হইয়া অনুরূপ অনুকরণীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ‘ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিকে বেগবান করিবার লক্ষ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিশেষ করিয়া সর্বজনীন ও ব্যয়-সাশ্রয়ী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অর্জিত সর্বাধুনিক জ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে শিক্ষাসহ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে উৎকর্ষ সাধন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উদ্ভুত সমস্যাসমূহের কার্যকর ও ব্যয়-সাশ্রয়ী সমাধান উদ্ভাবন করিবার উদ্দেশ্যে একটি দক্ষ গবেষকদল তৈরি, একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার জাতীয় লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করিতে একটি অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ স্থাপন করা অত্যাবশ্যক। যাহার মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ হইবে নিম্নরূপ : ক্স বর্তমান সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ধারণ করিয়া এই বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল প্রযুক্তি অভিনব ও বহুবিধ ব্যবহারের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান কিভাবে তার স্বচ্ছলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হইবে তার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ। ক্সবিশ্ববিদ্যালয়টি হইবে একটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, শিক্ষক, ও গবেষকগণের জন্য এমন একটি স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো থাকিবে, যেন দেশী-বিদেশী শিক্ষক/গবেষকগণকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আকৃষ্ট করা সম্ভব হয়। ক্স পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের জন্য প্রশাসনে অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তিনজন শিক্ষাবিদের একটি প্যানেল চ্যান্সেলরের নিকট উপস্থাপন করিবেন। চ্যান্সেলর এ প্যানেল হইতে একজন শিক্ষাবিদকে চার বছর মেয়াদের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগদান করিবেন। তবে কোন ব্যক্তি একাদিক্রমে বা অন্যভাবে দুই মেয়াদের বেশি সময়কালের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর পদে নিয়োগলাভের যোগ্য হইবে না। ক্স বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে যে কারণে ও যে পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক অপসারণ করা যায়, সেই কারণ ও পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক অপসারণ করা যায়, সেই কারণ ও পদ্ধতি অনুসরণ ব্যতিরেকে ভাইস-চ্যান্সেলরকে তাঁহার পদ হইতে অপসারণ করা যাইবে না। ক্স এই বিশ্ববিদ্যালয়টি হইবে একটি গঁষঃরফরংপরঢ়ষরহধৎু গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালিত গবেষণাকর্ম দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তাৎপর্যপূর্ণ অবদানের মাধ্যমে জাতীয় অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকিবে। ক্স এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার গুণগত মানোন্নয়ন, প্রশাসনিক দক্ষতা নিশ্চিতকরণ, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়িয়া তোলার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করার জন্য একটি উপদেষ্টা কমিটি থাকিবে। ক্স বিশ্ববিদ্যালয়টি হইবে সকল অত্যাবশ্যক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একটি পরিপূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়। ক্স এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সর্বনিম্ন পদ হইবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পিএইচডি/ সমমান ডিগ্রীধারী সহকারী অধ্যাপক। ক্স দেশী ও বিদেশী স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার ব্যাপক লিংক প্রোগ্রাম থাকবে। ক্স এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত সকল শিক্ষক ও গবেষক একটি চলমান মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার অধীনে থাকিবেন যে কোন পর্যায়েই তাহাদের জ্ঞান আহরণ, জ্ঞান বিতরণ ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির উদ্যোগ থামিয়া না যায়। ক্স বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা ও এ জাতীয় অন্যান্য কাজ হইবে সত্যিকার অর্থেই প্রযুক্তিনির্ভর। ক্স এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পাঠাগার সর্বাধুনিক ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন হইবে। ক্স বিশ্ববিদ্যালয়টি হইবে মূলত একটি স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান। তবে প্রয়োজনে স্নাতক পর্যায়ে পাঠদানের সুযোগও সৃষ্টি করা হইবে। ক্স স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য আবাসিক সুযোগ-সুবিধাসহ সম্মানজনকহারে বৃত্তি ও ভাতার ব্যবস্থা থাকিবে। ক্স বিশ্ববিদ্যালয়টি তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক উভয় গবেষণার ওপর সমগুরুত্বারোপ করিবে। ক্স এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়সমূহ সবিশেষ গুরুত্বারোপসহ পাঠদান এবং তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক বিষয়ে সমগুরুত্বের সঙ্গে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হইবে।’ (আগামী রবিবার সমাপ্য) ঢাকা ॥ ১৯ জুলাই, ১৭ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার এর জনক [email protected],
×