ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সীমা বৌদ্ধ বিহারের সৌন্দর্য বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সীমা বৌদ্ধ বিহারের সৌন্দর্য বেড়েছে

কলাপাড়ার মিশ্রিপাড়া রাখাইন পল্লীতে দেশের অন্যতম বৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তিটি দেখতে পর্যটক-দর্শনার্থীর ভিড় ক্রমশ বাড়ছে। গৌতম বুদ্ধের ধ্যানমগ্ন মূর্তি স্থাপিত জীর্ণদশার সীমা বৌদ্ধ বিহারটি সংস্কারের ফলে নিরাপত্তা নিয়ে রাখাইনদের শঙ্কা কেটে গেছে। বিহারটির চারদিকে পাকা দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। ইন্দোচীনের সৌকর্যের আদল রেখে বিহারটির সংস্কার করায় সৌন্দর্য আরও বহুগুণে বেড়েছে। প্রতিদিন এখানে শত শত দর্শনার্থীর আগমন ঘটছে। পর্যটক-দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত থাকছে মিশ্রিপাড়া রাখাইন পল্লীসহ বৌদ্ধ বিহার এলাকা। প্রায় এক শ’ তেত্রিশ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এ বিহারটি সিডর আইলায় বিধ্বস্ত হয়। টিনের বেড়া এবং চাল ল-ভ- হয়ে যায়। ৩২ ফুট উঁচু বিশালকায় গৌতম বুদ্ধের ধ্যানমগ্ন বৌদ্ধ মূর্তিটির ওপরে বৃষ্টিতে পানি পড়ত। বৌদ্ধ বিহারের দরজা, জানালা ভাঙ্গা ছিল। ছিল না বিহার এলাকার বাউন্ডারি। কুয়াকাটায় আসা পর্যটকরা বৃহৎ এ মূর্তিটি দেখতে গিয়ে হতাশা ব্যক্ত করতেন। রাখাইনরা নির্বিঘেœ প্রতিদিনকার ধর্মীয় আচার পালন করতে পারতেন না। এখন সেসব দুরাবস্থা কেটে গেছে। বিহারাধ্যক্ষ উত্তম ভিক্ষু জানান, প্রায় ১৩০ বছর আগে রাখাইন মিশ্রি মং চৌধুরী সীমা বৌদ্ধ বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ৩২ ফুট উঁচু এ বৌদ্ধ মূর্তিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মূর্তি বলে রাখাইনদের দাবি। প্রায় দু’একর জায়গা নিয়ে সীমা বৌদ্ধ বিহার এলাকা নির্দিষ্ট করা রয়েছে। বৌদ্ধ-বিহার এলাকায় রয়েছে পানি সংরক্ষণের একটু দৃষ্টিনন্দন কুয়া। বাউন্ডারি ঘেরা ফুলের বাগান। সকাল-বিকাল পাড়ার রাখাইন নারী-পুরুষরা বিহার অঙ্গনে ধর্মীয় প্রার্থনা করে আসছে। বিহার এলাকায় করা হয়েছে সবশ্রেণীর শিশুদের জন্য একটি পাঠশালা করেছেন বিহারাধ্যক্ষ। তিনি জানান, গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই শ’ পর্যটক-দর্শনার্থী বিহার এলাকা দর্শন করেন। বর্তমানে ২২টি রাখাইন পরিবারের আবাসস্থল মিশ্রিপাড়া এখন আগের চেয়ে দর্শনার্থীর কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে আছে। মেজবাহউদ্দিন মাননু, কলাপাড়া থেকে
×