ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার বাংলাদেশের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা মিশন

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

এবার বাংলাদেশের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা মিশন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ। ১-১ সিরিজ ড্র হয়েছে। প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছে। দ্বিতীয় টেস্টে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার বাংলাদেশের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা মিশন অপেক্ষা করছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শেষ হলেও খুব বেশি বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। শুক্রবার ঢাকায় ফিরে দুই একদিন বিশ্রাম পাবেন। এরপর তিন-চারদিন অনুশীলন শেষে ১৭ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে দেশ ছাড়তে হবে। সেখানে গিয়ে দুই টেস্ট, তিন ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এই মাসের ২৮ তারিখেই সিরিজ শুরু হবে। সেদিন পোচেফস্ট্রমে প্রথম টেস্ট দিয়ে সিরিজ শুরু হবে। এরপর ৬ অক্টোবর ব্লুমফন্টেইনে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে। টেস্ট সিরিজ শেষে ১৫ অক্টোবর প্রথম, ১৮ অক্টোবর দ্বিতীয়, ২২ অক্টোবর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৬ অক্টোবর প্রথম ও ২৯ অক্টোবর দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটি দিয়েই মূলত পূর্ণাঙ্গ সিরিজের মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ দল। এরপর ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেও ১২ অক্টোবর একদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, তামিমরা। দুই ম্যাচেরই প্রতিপক্ষ দলটি হচ্ছে সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) আমন্ত্রিত একাদশ। বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটা থেকে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো শুরু হবে। প্রথম টি২০ ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত দশটায়। আর দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। ২০০৮ সালের পর প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই সফরে ভাল কিছু করার আশাতেই আছে বাংলাদেশ দল। ভাল কিছু উপহার দেয়ার চেষ্টাও করবে দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে এমনটিই জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। তিনি বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে আমরা এবার খেলতে যাব। সেখানে ভিন্ন কিছু অপেক্ষা করছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভিন্ন কন্ডিশনে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। এবারের মতো অবস্থা তৈরি হলে আমরা উতরে যাওয়ার চেষ্টাই করব। কারণ এই সিরিজ থেকে আমরা অনেক কিছুই শিখেছি।’ মুশফিক আরও যোগ করেন, ‘এই সিরিজটা ছিল টিম গেম। আমার সতীর্থরা সত্যিই দারুণ করেছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কেউ কেউ নিজেদের পূর্ণভাবে মেলে ধরতে পারেনি। সাকিব আর তামিম নিজেদের সেরাটা দিয়েছে, যা আমাদের জন্য ইতিবাচক পথ দেখাচ্ছে। আমি আশাবাদী দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভাল কিছুই উপহার দিতে পারব।’ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জেতার পরই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে। এরপর দ্বিতীয় টেস্টে গিয়ে দল খারাপ করেছে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা। আর তাই হার হয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজে হারেনি বাংলাদেশ। এটি অনেক বড় প্রাপ্তি মিলেছে। সেই প্রাপ্তি অবশ্য মিলেই চলেছে। টানা তিনটি সিরিজে বাংলাদেশ ড্র করল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করার পর অসিদের বিপক্ষেও একই রেজাল্ট হয়েছে। সবাই মনে করছেন, সিরিজে আরেকটি টেস্ট থাকলে ভাল হতো। তাতে করে সিরিজে ফয়সালা হতে পারত। মুশফিক অবশ্য আরও উন্নতি করতে হবে বলেই মনে করছেন। তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়াকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা জানতাম তারা ম্যাচে ফিরে আসতে চাইবে। কারণ তারা শক্তিশালী একটি দল। আমরা প্রথম ইনিংসে ৩৫০ রানের মতো চেয়েছিলাম। সেটা করতে না পারার খেসারত দিতে হয়েছে। ম্যাচ জেতা বা হারার মাঝখানে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে। আরও প্রয়োজন।’ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে এখন সেই উন্নতি দেখতে পারলেই হয়। অসিদের বিপক্ষে যে ভুলগুলো হয়েছে তা শুধরে নেয়া গেলেই হয়। বাংলাদেশের সামনে এখন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার মিশনই সামনে অপেক্ষা করছে।
×