ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আইনের আশ্রয় নেবে রাজ্জাক পরিবার

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আইনের আশ্রয় নেবে রাজ্জাক পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সদ্য প্রয়াত নায়ক রাজ্জাকের জীবনী নিয়ে বই প্রকাশে আইনী ব্যবস্থা নেবে রাজ্জাক পরিবার। চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি এই শিল্পী ২১ আগস্ট চলে যান না ফেরার দেশে। এরই মধ্যে দেশের বেশ কয়েকজন নায়করাজের জীবনী নিয়ে বই প্রকাশেরও উদ্যোগ নিয়েছে। বিষয়টি অতি বাড়াবাড়ি বলে মনে করছে রাজ্জাকের পরিবার। চলচ্চিত্র পরিচালক ছট্কু আহমেদ নায়করাজের জীবনী নিয়ে আগামী একুশে বই মেলায় একটি বই প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে আরও বেশ ক’জন নায়করাজকে নিয়ে বই প্রকাশের উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানা যায়। বিষয়টির দৃষ্টি আকর্ষণ করে নায়করাজের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে পরিবারের প্রায় সবাই বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নায়করাজ রাজ্জাকের ছোট ছেলে খালিদ হোসেন সম্রাট জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা রাজ্জাক পরিবার বা আমাদের মধ্য থেকে কেউই আব্বাকে নিয়ে কোন বায়োগ্রাফি লিখবার কোন রকম অনুমতি দেইনি। আব্বা জীবিত থাকতে আব্বার সঙ্গে দু’একজন কথা বলেছিলেন। আব্বা বলেছিলেন ঠিক আছে তৈরি করে আমাকে আগে দেখাও। এছাড়া আমার জানামতে কোন রকম চূড়ান্ত অনুমতি কাউকেই দেয়া হয়নি। সুতরাং কেউ বা কোন প্রকাশনী রাজ্জাক পরিবারকে অবগত না করে কোন রকম কোন কিছু প্রিন্টে যায় তাহলে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিব। অনেকেই হঠাৎ করে আব্বাকে নিয়ে বায়োগ্রাফিক্যাল লেখা প্রকাশের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন, আমি বুঝতে পারছি না তারা কারা। আমি আমার আব্বার সব রকম কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। তিনি কখন কোথায় কী করবেন, না করবেন, যেখানে যাবেন তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন হবে, কখন যাবেন, কখন ফিরবেন-সবকিছু আমিই সিদ্ধান্ত নিতাম। তাই আব্বার সবকিছুই ছিল আমার জানার মধ্যেই। তাই আমার কাছে আব্বা তার বায়োগ্রাফি লেখার জন্য কাউকে অনুমতি দিয়েছেন এমন কোন তথ্য নেই। এদিকে চলচ্চিত্র পরিচালক ছট্ আহমেদ বলেন, নায়করাজের জীবনী নিয়ে বইটির নামকরণ করা হয়েছে- ‘নায়করাজ রাজ্জাক টালিগঞ্জ থেকে ঢালিউড।’ বিডি পাবলিকেশন বইটি আগামী একুশে গ্রন্থমেলায় আনবে। ছট্কু বলেন, বইটিতে রাজ্জাক সাহেবের শৈশব, উত্থান, ক্যারিয়ারের বাঁকবদল, সে সময়ের রাজনৈতিক অবস্থায় তার অবস্থানসহ নানা বিষয় নিয়ে লেখা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস, নতুন প্রজন্মের জন্য রাজ্জাক সাহেবের জীবনীবিষয়ক এই বইটি পাথেয় হয়ে থাকবে। সেই ভাবনা থেকেই বইটি লেখার চেষ্টা করেছি। তিনি আরও বলেন, রাজ্জাক সাহেব বেঁচে থাকতেই এর কাজ শুরু করেছিলাম। এরই মধ্যে চল্লিশ শতাংশ লেখা শেষ হয়েছে। রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। তার অনুমতি ছিল আমার এ লেখায়। চলচ্চিত্রে এমন শক্তিশালী অভিনেতা হয়ত আমরা আর পাব না।নায়করাজ রাজ্জাক অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্রছিল বাপ্পারাজ পরিচালিত ‘কার্তুজ’।
×