ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

১৩ বছরেও গ্রেনেড হামলার বিচার শেষ হলো না

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

১৩ বছরেও গ্রেনেড হামলার বিচার শেষ হলো না

২০০৪ থেকে ২০১৭-এর ২১ আগস্ট পুরো ১৩টি বছর চলে গেল- আজও বঙ্গবন্ধু এভিনিউর গ্রেনেড হামলাকারী ঘাতকদের বিচার হলো না। কোথায় আটকে আছে? কেনই বা এই দীর্ঘসূত্রতা? কারা এই দীর্ঘসূত্রতার জন্য দায়ী। কারা এত শক্তিশালী যে, বঙ্গবন্ধুুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১২টি গ্রেনেড হামলা (বিস্ফোরণ) করা হলো। একটি গ্রেনেড পড়েছিল শেখ হাসিনার পাশে ট্রাকের ওপর। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কি রহমত ওই গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত হয়নি। হলে শেখ হাসিনাসহ একজন শীর্ষ নেতাও বাঁচতেন না। তারপরও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন তিন শতাধিক। আহত কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আবদুর রাজ্জাক, ঢাকা সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত দীর্ঘদিন গ্রেনেডের স্পিøন্টারের যন্ত্রণা সয়ে সয়ে পরপারে চলে গেছেন। এখনও স্পিন্টারের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন আমির হোসেন আমু, শেখ সেলিম, মায়া, ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক শামীম প্রমুখ। কি ভয়াবহ ছিল ২০০৪-এর ২১ আগস্টের সেই বিকেলটি। এখনও বঙ্গবন্ধু এভিনিউ বা আশপাশ দিয়ে যাবার সময় রক্তের ওপর ভাসমান অনেকগুলো মৃতদেহের সঙ্গে বেগম আইভি রহমানের নিথর দেহটি চোখের সামনে ভাসে। ইচ্ছে করলেও দৃষ্টির আড়াল করা যায় না। সেই অপরূপ সুন্দর মুখ, শরীরের রং-এর সঙ্গে ম্যাচ করে শাড়ি পোশাক আভিজাত্যের এক অনন্য উদাহরণ। সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই বিয়ে হয় এবং স্বামীর পাশাপাশি স্বাধীনভাবে রাজনীতি শুরু করেন। মূলত আওয়ামী লীগের নারীকর্মীদের ছিলেন প্রিয় আইভি আপা। সাংবাদিকদেরও আইভি আপা। দেখা মাত্র কাছে ডেকে চকোলেট খেতে দিতেন। আওয়ামী লীগের জনসভায় বিশাল বিশাল মিছিল নিয়ে আসতেন কিন্তু কোনদিন সভা মঞ্চে উঠতেন না। মঞ্চে বসতেন না। সামনে মেয়েদের সঙ্গে মাটিতে বসতেন। তার সৌজন্যবোধ বা পরিমিতিবোধ এতবেশি ছিল যে, স্বামী যেহেতু শীর্ষ নেতৃত্বের একজন এবং মঞ্চে থাকতেন তাই তিনি মঞ্চে বসবেন না। স্বামী জিল্লুর রহমান অভিজাত পরিবারের সন্তান ছিলেন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা- এই দুই আওয়ামী লীগ সভাপতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গ্রেনেড সেই জীবনটি কেড়ে নিল। কেবল আইভি রহমানই নন, বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পুরো চত্বরটি রক্তে ভাসছিল এবং এখানে-সেখানে নিথর মানবদেহ, ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল মানুষের হাত-পা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। এই ভয়াবহ দৃশ্যটিও প্রথম দিকে দেখার সুযোগ হয়নি। সমাবেশটি ছিল ২০০১-এর অক্টোবর নির্বাচনের পর রেজাল্ট আউট হওয়ার পর থেকে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসী জোট দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অর্থাৎ নৌকায় যারা যারা ভোট দিয়েছে বা দিতে পারে তাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। মানুষের হাত-পা কেটে দেয়, হাত-পায়ের রগ কেটে দেয়, চোখ উপড়ে ফেলে, পুকুরের মাছ, গোয়ালের গরু লুট করে, বিশেষ করে হিন্দুদের দেশত্যাগে বাধ্য করে। হাত নেই, পা নেই, চোখ নেই, সেই মানুষেরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এই সন্ত্রাসীরা ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার টার্গেট করে গুলি, বোমা, গ্রেনেড হামলা করেছে। কোটালিপাড়ার ৭৬ কেজি দুটি ল্যান্ডমাইন পুঁতে রাখা হয়েছিল- যদি এর একটি বিস্ফোরিত হতো শেখ হাসিনা ও আমাদের বহনকারী হেলিকপ্টার ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত। দুটি হেলিকপ্টারের একটিতে প্রধানমন্ত্রী অপরটিতেই (আমরা) সাংবাদিকরা সম্ভবত বেলা ১০টার দিকে কোটালিপাড়ায় একটি টেম্পোরারি হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। সেখান থেকে অল্প দূরেই শেখ লুৎফুর রহমান ডিগ্রী কলেজ। শেখ হাসিনাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি যেখানে অবতরণ করেছিল তার ২-৩ ফুটের মধ্যেই একটি ল্যান্ডমাইন এবং জিপে করে শেখ লুৎফুর রহমান কলেজের পাশে গিয়ে যেখানে পা রেখে কলেজে যাবেন সেই পায়ের নিচেই আরেকটি বোমা পোঁতা ছিল। মনে হয় আল্লাহ পাক রহমতের ফেরেশতা পাঠিয়েছিলেন। কলেজের পাশে খাল এবং খালের অপর পাড়ে এক ভদ্রলোকের চা-এর দোকান। ভোরে দোকানের কর্মচারী (১০-১২ বছরের কিশোর) চা’র কাপ-পিরিচ ধোয়ার জন্য খালপাড়ের ঘাটে যায়। সেখানে লাল রঙের একটি তার সে দেখতে পায়। সে তাতে টান দিলে দেখে ওপারে মাটির ভেতর চলে গেছে। ছেলেটি সঙ্গে সঙ্গে তার দোকান মালিককে জানায়, মালিক পুলিশকে খবর দেয়। এভাবে মাইনগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং প্রধানমন্ত্রী প্রাণে বেঁচে যান। এই বোমা হামলার প্রধান হোতা মুফতি হান্নানের (সে এ রকম অনেক হামলা পরিকল্পনাকারী) বিচারে ফাঁসি হয়েছে। আরও কয়েকজনের শাস্তি হয়েছে। মুফতি হান্নানের প্রসঙ্গ টানলাম এ জন্য যে, শুনেছি ২১ আগস্ট হামলার ব্যাপারে তিনি যে তথ্য দিয়েছে তা হলো এর পরিকল্পনা হয়েছিল হাওয়া ভবনে বসে এবং সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান (লন্ডনে পলাতক), হারিছ চৌধুরী, আবদুস সালাম পিন্টু, মুফতি আবদুল হান্নান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এরা সবাই যেমন খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠজন ছিলেন, তেমনি ছিলেন তারেক রহমান, বরং তারেকের বেশি ঘনিষ্ঠ এবং তাদের দিয়েই তারেক যত অপকর্ম করতেন। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার একটু বিবরণ দিতে চাই এখানে। সেই ২১ আগস্ট তৎকালীন শেরাটন হোটেলে সাফমা-সাউথ এশিয়ান ফ্রি মিডিয়া এ্যাসোসিয়েশনের একটি সেমিনার চলছিল। এ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে আমিও তাতে অংশ নেই। এদিকে ওই দিন বিকেলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচীর ছিল দেশব্যাপী হত্যা, সন্ত্রাস, বোমাবাজির প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ এবং সমাবেশ শেষে শান্তি মিছিল। আমাদের সেমিনার সাড়ে ৪টায় শেষ হওয়ার কথা। এদিকে মিছিল শুরু করার সময়সূচী বিকেল ৫টা। শান্তি মিছিলপূর্ব সমাবেশ তাই কোন মঞ্চ বানানো হয়নি। একটি ট্রাকের ওপর শেখ হাসিনা ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। সাড়ে ৪টায় শেরাটন থেকে বেরিয়ে মরহুম আলতাফ মাহমুদকে পাশে বসিয়ে নিজের গাড়ি ড্রাইভ করে প্রেসক্লাবের দিকে আসছিলাম, ক্লাবে গাড়ি রেখে মিছিলে অংশ নেব। পথিমধ্যে আমার এলাকার কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন সেলফোনে জানাল নেত্রীর ট্রাকে বোমা মেরেছে। দ্রুত গাড়ি চালিয়ে প্রেসক্লাবে রেখে দৌড়ে জিরো পয়েন্টে গিয়ে থমকে দাঁড়ালাম। আর এগোতে পারলাম না- টিয়ারশেলের ধোঁয়ার পুরো এলাকা আচ্ছন্নÑ কিছুই দেখা যাচ্ছে না। কয়েক মিনিট পর দেখলাম নেত্রীর জিপটি আবদুল গণি রোড দিয়ে চলে যাচ্ছে। আশ্বস্ত হলাম নেত্রী বেঁচে আছেন। কিছু সময় পর ধোঁয়া কেটে গেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখলাম পুরো এলাকা তাজা রক্তে ভাসছে, তার মধ্যে এখানে-ওখানে ছিন্নভিন্ন হাত-পা, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কি ভয়াবহ। একজন বললেন, জানেন আইভি আপার দুটি পা উড়ে গেছে, তিনিও বেঁচে নেই। বেঁচে নেই ‘আদা চাচা’Ñ পুরান ঢাকার বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ পাগল ষাটোর্ধ্ব এক প্রৌঢ়। একটি সভা-সমাবেশও তার বাদ যেত না এবং এসেই আমাদের কয়েক টুকরা আদা হাতে দিত। আদাটা ছিল ভীষণ সুস্বাদু- সিদ্ধ করে প্রসেস করে কিভাবে যেন বানাতেন ভদ্রলোক। প্রথমদিকে একবার তাকে কিছু টাকা দিতে চেয়ে অপ্রস্তুত হয়েছিলাম। টাকা দেখে বলেছিলেন, আমি গরিব মানুষ নই, আওয়ামী লীগ করি আর আদা দিয়ে সেবা করি। কারণ, আপনারা কষ্ট করেন। এখনও সেই আদা চাচার কথা মনে পড়ে। ১৩ বছর চলে গেল জাতি গ্রেনেড হামলার বিচার পেল না। বরং খালেদা ও তার জোট এতই হিংস্র এবং হৃদয়হীন যে, গ্রেনেড হামলার পর তারা বললেনÑ শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে গিয়েছিলেন। সেগুলোই বিস্ফোরিত হয়েছে। এক রাজাকার যখন এই কথাটি বলছিলেন তখন খালেদা টেবিল চাপড়ে তাকে সমর্থন করছিলেন, আনন্দ প্রকাশ করছিলেন। খালেদা জিয়ার কাছে এরচেয়ে বেশি কিছু জাতি আশা করে না- তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস ক্যান্টনমেন্টে মুক্ত জীবনযাপন করেছেন। এমনকি ক্যান্টনমেন্টে পরিচিত পাকি মিলিটারি জাঞ্জুয়া মারা গেলে তিনি সকল প্রোটোকল ভঙ্গ করে শোকবাণী পাঠিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া তখন প্রধানমন্ত্রী এবং জাঞ্জুয়া একাত্তরের শত্রু একজন সামান্য মিলিটারি অফিসার। কূটনৈতিক রীতিনীতি কোনভাবেই তা এলাউ করে না, তবু কি এমন সম্পর্ক যে রীতিভঙ্গ করে শোক বিবৃতি দিতে হলো? ২১ আগস্টের পর বিচারের নামে অনেক প্রহসনও করা হয়েছে। জজ মিয়া নামক এক সাধারণ দিনমজুরকে অর্থের বিনিময়ে ফাঁসিয়ে খালেদা তারেক বাঁচার পথ খুঁজেছিলেন কিন্তু তাও বুমেরাং হয়ে গেল। কোন ফল দিল না। একজন বিচারপতি জয়নুল আবেদীনকে দিয়ে একটি তদন্ত কমিশনও গঠন করা হয়েছিল কিন্তু বিচারপতিরাও যে কত নিচে নামতে পারেন তার উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। শুনেছি তিনি নাকি বলেছেন, ভারত থেকে এসে গ্রেনেড হামলা করা হয়। কিন্তু ১৩ বছরেও গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারকার্য শেষ হলো না। জানা যায়, মামলার চার্জশীটে ৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে জামায়াতের (আলবদর) আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায়। অভিযুক্তদের মধ্যে ১৯ জন এখনও পলাতক। তাদের মধ্যে তারেক রহমান লন্ডনে, কায়কোবাদ সৌদি আরবে, হানিফ কলকাতায়, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আমেরিকা, লে. কর্নেল (অব.) জোয়ারদার কানাডা, মাওলানা তাজুল ইসলাম দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং হারিছ চৌধুরীও ভারতের পূর্বাঞ্চলে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি কয়েকটি প্রশ্নÑ ১. যে কোন ভিআইপি সভা-সমাবেশে প্রচুরসংখ্যক পুলিশ থাকে, এখানেও ছিল। তারা কি একটি আলামতও উদ্ধার করতে পারেনি যা দিয়ে বিচারের দীর্ঘসূত্রতা কমানো যাবে, ২. গ্রেনেড বিস্ফোরণ বিকট শব্দ হয় এবং ৩৬টি টুকরা একেকটি বুলেট হয়ে মানুষকে বিদ্ধ করে, যা বিষাক্ত, গ্রেনেড বিস্ফোরণ হলে কোন ধোঁয়া বেরোয় না, তবে কেন ধোঁয়া দিয়ে পুরো এলাকা আচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছিল। জানা গেছে, ওই ধোঁয়া ছিল টিয়ারশেল বিস্ফোরণের। এর লক্ষ্য ছিল আহতদের যাতে দ্রুত হাসপাতালে না নেয়া যায় এবং সন্ত্রাসী গ্রেনেড হামলাকারীরা যাতে নিশ্চিন্তে নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারে। এগুলো বোঝার জন্য ক্রিমিনোলজির ওপর লেখাপড়া করতে হয় না। সাধারণ জ্ঞানেই তো বোঝার জন্য যথেষ্ট। হাওয়া ভবনে কি আলাপ হয়েছিল তারেক আর হারিছ চৌধুরীকে বিদেশে থেকে এনে পুলিশি কায়দায় জিজ্ঞাসাবাদ করলেই তো সব বেরিয়ে যায়। বলা হয় তারেক রহমান ফিউজিটিভি (ফেরারি) অথচ প্রতিনিয়ত লন্ডনে বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছে। ইতিহাস বিকৃত করে চলেছে। খালেদা জিয়া নিজেই এখন লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে আছেন বেশ কিছুদিন ধরে। বলা হচ্ছে চিকিৎসার জন্য গেছেন। তা যান, বার্ধক্যে অনেক কমপ্লিকেশনের জন্ম দেয়। বিএনপির নেতারা বলছেন তিনি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন। লন্ডনে তিনি নিশ্চয়ই ওইসব গ্রেনেড হামলা, জিয়া অরফানেজ মামলা সম্পর্কে পুত্রের সঙ্গে আলোচনা করে থাকতে পারেন। দেশে এসে কি বলবেন সেটি এখন দেখার বিষয়। ঢাকা ॥ ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×