ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

 ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আপীল কোর্ট রায় দিয়েছে, সে দেশে বসবাসরত নাগরিকদের পিতা-মাতামহ বা অন্যান্য ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। যুক্তরাষ্ট্রের আপীল আদালতের নবম সার্কিট কোর্ট এই রুলিং দেয়, যা ট্রাম্প প্রশাসনের প্রতি আরেকটি আঘাত বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সম্প্রতি সুপ্রীমকোর্ট সরকারের সঙ্গে সমঝোতার অংশ হিসেবে শর্তসাপেক্ষে অভিবাসীদের সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ওয়াশিংটন পোস্ট। নবম সার্কিট কোর্টের বিচারকগণ তাদের রুলিংয়ে উল্লেখ করেন, অভিবাসীদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা না হলে পুনর্বাসন সংস্থাগুলো নানাবিধ ক্ষতি ও সমস্যার মধ্যে পড়বে। একইভাবে যে মার্কিন নাগরিক তার শাশুড়ি অথবা স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হতে চায় সেও ঝামেলায় পড়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের যে নিয়োগদাতা তার কর্মচারী নিয়োগ করবে, ইউনিভার্সিটিতে বিদেশী ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে এবং বিদেশী প-িত ব্যক্তিকে যদি তার লেকচার শোনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানো হয় তবে পুনর্বাসন সংস্থাগুলোর জন্য এই রায় সুবিধাজনক ও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। বিচারকগণ তাদের রায়ে বলেন, এই আদেশ পাঁচদিন অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে কার্যকর হবে। এটিই এই কারণে তাৎপর্যপূর্ণ যে, সাধারণত কোন রায় কার্যকরের জন্য ৫২ দিনের সময় দেয়া হয়। এর কারণ হিসেবে বিচারকগণ আশ্রয় প্রার্থী অভিভাসীদের দুর্দশা ও অবহেলিত অবস্থার কথা উল্লেখ করেন। সরকারী হিসেবে এসব অভিবাসীর সংখ্যা ২৪ হাজারের মতো। জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বলেন, এর আগে সুপ্রীমকোর্ট নিম্ন আদালতের ভুলভ্রান্তি সংশোধন করেছে এখন আমরা জাতিকে রক্ষা করার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের যথার্থতা প্রমাণে সুপ্রীমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এই রুলিংয়ে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অবৈধ কিনা সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এ সংক্রান্ত যুক্তিতর্ক আগামী মাসে কোর্টে উপস্থাপন করার কথা রয়েছে। তখন ছয়টি আরব আফ্রিকান নাগরিকদের ওপর আরোপিত ৯০ দিনের সাময়িক ব্যবস্থা এবং অন্যান্য দেশেরা নাগরিকদের জন্য ১২০ দিনের সময়সীমার কার্যকর নিয়ে যুুক্তিতর্ক উত্থাপিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আপীল বিভাগের নবম সার্কিট কোর্টে এ ব্যাপারে যৌক্তিকভাবে যুক্তিতর্ক উত্থাপিত হয়েছে, গত জুন মাসে বিচারকরা সীমিত আকারে অভিবাসী নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের যে রুল জারি করেছিলেন, সে অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশের সময় কাদের আটকানো বা বহিষ্কার করা হবে। এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের ব্যাখ্যা হচ্ছে, সরকারী কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের কোন নাগরিকের সঙ্গে যথার্থ ও বিশ্বাসযোগ্য সম্পর্ক থাকা কাউকে বহিষ্কারের আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারেনি বলে বহিষ্ককারযোগ্য অভিবাসীর সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত করা হলো। নবম সার্কিট কোর্টের বিচারকগণ তাদের রুলিংয়ে বলেন, সরকার, আমেরিকান নাগরিকদের পিতামহ বা অন্যান্য কাছের আত্মীয়দের ঘনিষ্ঠ নয় তা বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে। জবাবে সরকার পক্ষ যুক্তি দেখিয়েছিল, তারা অভিবাসী আইনের ধারা অনুযায়ী তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আদালত তাদের সব যুক্তি উপেক্ষা করে এই রুলিং দেয়।
×