ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুচির নোবেল কেড়ে নিতে ৩ লাখ ৬০ হাজার আবেদন

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সুচির নোবেল কেড়ে নিতে ৩ লাখ ৬০ হাজার আবেদন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সকল নাগরিক রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী আউং সান সুচি। বৃহস্পতিবার এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে গণতন্ত্রপন্থী নোবেলজয়ী নেত্রী সুচি এই দাবি করেন। গত দুই সপ্তাহে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তবে সাক্ষাতকারে রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে কোন কথা বলেননি সুচি। খবর, এএফপি, আলজাজিরা ও ওয়েবসাইটের। এদিকে রোহিঙ্গাদের রক্ষায় কোন পদক্ষেপ না নেয়ার সুচির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে চলা সমালোচনার মধ্যে তার শান্তিতে পাওয়া নোবেল কেড়ে নেয়ার দাবি উঠেছে। বৃহস্পতিবার নোবেল কমিটির কাছে অন্তত ৩ লাখ ৬০ হাজার শান্তিকামী এই দাবি জানায়। এতে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার রক্ষায় সুচি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। অনলাইনে পাঠানো ওই আবেদনে আরও বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সর্বোচ্চ নেত্রী আউং সান সুচি রোহিঙ্গাদের ওপর চলা নৃশংস নির্যাতন বন্ধে কার্যত কোন পদক্ষেপ নেননি। তাই সুচির নোবেল পদক কেড়ে নেয়া উচিত। অবশ্য এ বিষয়ে নরওয়ের নোবেল কমিটি বলেছে, তাদের এ বিষয়ে কিছুই করার নেই। এ বিষয়ে নোবেল ইনস্টিটিউটের প্রধান ওলাভ নলস্টাড বলেছেন, কোন নোবেল জয়ীর কাছ থেকে পদক কেড়ে নেয়া অসম্ভব। ওদিকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটেনের বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন। বৃহস্পতিবার বিবিসির উর্দু বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে ব্রিটিশ লেবার পার্টির নেতা করবিন বলেন, আমরা ম্যাডাম আউং সান সুচির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তার (সুচির) উদ্দেশে আমার বার্তা হলোÑআমরা আপনাকে পছন্দ করি- বহু বছর আপনি যখন গৃহবন্দী ছিলেন, আমরা আপনাকে সমর্থন করেছি। আমরা আপনার সমর্থনে মিছিল করেছি, মানবাধিকারের প্রতি আপনার অঙ্গীকারকে আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি। এরপর সুচিকে উদ্দেশ করে করবিন বলেন, বর্তমানে রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি সেই মানবাধিকারের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরুন। তারা যাতে মিয়ানমারের ভেতর পূর্ণ নাগরিকত্ব পায়। আপনি (সুচি) সেটা নিশ্চিত করুন। তাদের নিজের দেশ থেকে তাদের জায়গা জমি আর ঘরছাড়া যাতে না করা হয়Ñসেটা নিশ্চিত করুন। এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে দেয়া বৃহস্পতিবারের ওই সাক্ষাতকারে আউং সান সুচি আরও বলেন, আমাদের নাগরিকদের দেখভাল আমাদেরই করতে হবে। যারা আমাদের দেশে আছে তাদের প্রত্যেকের দেখভাল করা আমাদের দায়িত্ব, তারা আমাদের নাগরিক হোক বা নাই হোক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মিয়ানমার সফরকালে সুচির সাক্ষাতকারটি নেয়া হয়। এতে সুচি বলেন, আমাদের সম্পদের সীমাবদ্ধতা রয়েছ। তবুও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি, যাতে সবাই আইনের সুরক্ষা পায়। জাতিসংঘের হিসাব অনুয়ায়ী, গত দুই সপ্তাহে দুই লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
×