ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম বন্দরে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় সিজিয়াম বোঝাই কন্টেনার আটক

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

চট্টগ্রাম বন্দরে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় সিজিয়াম বোঝাই কন্টেনার আটক

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দরে আটক করা হয়েছে উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় সিজিয়াম বোঝাই একটি কন্টেনার। এটি রফতানির জন্য কলম্বো অভিমুখী একটি জাহাজে উঠানোর পর গোয়েন্দা সূত্রের খবরের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তা আটক করে নামিয়ে ফেলে। বিষয়টি সপ্তাহখানেক আগের। পরে নিশ্চিত হয়ে এটি জব্দ দেখানো হয়। বৃহস্পতিবার কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি স্বীকার করেছে। কাস্টমস সূত্রে জানানো হয়, কন্টেনারটি সিলগালা করে রাখা হয়েছে। এটি সিঙ্গাপুর হয়ে চীনে যাওয়ার কথা ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। চট্টগ্রাম কাস্টমস এবং চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সিজিয়াম নামের এ তেজস্ক্রিয় বেশ উচ্চমূল্যের। সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এ তেজস্ক্রিয় পদার্থ ব্যবহার করে থাকে। চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জিংক অক্সাইড ঘোষণা দিয়ে এটি রফতানি করা হয়েছিল। কন্টেনারটি প্রথমে কলম্বো এবং পরবর্তীতে সিঙ্গাপুর হয়ে চীন পর্যন্ত ছিল গন্তব্য। আটকের পর এটি এটমিক এনার্জি সেন্টারে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বেরিয়ে আসে আসল রহস্য। অর্থাৎ এটি সিজিয়াম-১৩৭। কাস্টম সূত্রে জানানো হয়, সিজিয়ামের বিকিরণ মাত্রা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এটিকে পরবর্তী পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, তৈরি পোশাক রফতানির নামে বিষাক্ত এ সিজিয়াম রফতানির চেষ্টা চলেছে। তবে এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে এ বন্দরের প্রথমবারের মত কোকেনের একটি চালান ধরা পড়েছিল। সূর্যমুখী তেলের সঙ্গে মিশিয়ে এ চালান আসার পর দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে মামলা চলছে। চার্জশীটও দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আদালত এ মামলার পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এ অবস্থায় বিষাক্ত ও উচ্চমাত্রার তেজস্ক্রিয় সিজিয়াম বোঝাই কন্টেনার আটকের ঘটনাটি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য চোরাপথে পণ্য পাচারের ক্ষেত্রে নতুনমাত্রা যুক্ত হল। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রে আরও কঠোর নজরদারি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে পণ্য খালাস ও জাহাজীকরণের পদক্ষেপ নেয়ার মত ব্যক্ত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এএএম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। সহসা এর আদ্যোপ্রান্ত উদ্ঘাটিত হবে বলে তিনি আশা করছেন।
×