ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট

সাত দিনেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সাত দিনেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ৭ সেপ্টেম্বর ॥ পদ্মায় নব্য সঙ্কটের কারণে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস কার্যত অচল হয়ে পড়েছে। গত সাত দিনেও পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। কবে নাগাদ ফেরি সার্ভিস পুরোদমে চালু হবে তা নিশ্চিত করে কেউ বলতে পারছেন না। তবে চ্যানেল মুখের প্রায় সাড়ে ৩শ’ ফুট এলাকা জুড়ে ৬টি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসরণের কাজ করা হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান হয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও পাঁচ দিন সময় লাগবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। লৌহজং, কবুতরখোলা ও হাজরা টার্নিং পয়েন্টের ডুবোচর অপসারণে গত সাতদিন ধরে ৬টি ড্রেজার রাতদিন ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। চ্যানেল মুখের নব্যতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিংয়ের কাজে পদ্মা সেতুর বড় হাইড্রোলিক ড্রেজারও ব্যবহার করা হচ্ছে। ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারি যানবাহন ও যাত্রীবাহী দূরপাল্লার পরিবহন পাটুরিয়া-দৌলদিয়া নৌরুট ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এ নৌ রুটে চলাচলরত ২০ ফেরির মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩টি বন্ধ রয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় কাঁঠালবাড়ি ঘাটে আটকে পড়েছে ৩ শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন। বর্তমানে ছোট ছোট ৭টি ফেরি দিয়ে বিপুলসংখ্যক যানবাহন পদ্মা পাড় করতে বেসামাল হয়ে পড়েছেন কর্তৃপক্ষ। চলছে ছোট ৮ ফেরি স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটের নাব্য সঙ্কটের ফেরি চলাচলে প্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ২১টি ফেরির মধ্যে ছোট আকারের ৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপারের চেষ্টা চলছে। এখন অল্প পানিতে কমসংখ্যক যান নিয়ে ওজন কমিয়ে চলাচল করছে ছোট আকারের ফেরি কেতকী, করবী, কিশোরী, কামিনী, কাকলী, ঢাকা, ফরিদপুর ও কুমিল্লা। বিআইডব্লিউটিএ ইতোমধ্যে ভারি যানবাহনকে বিকল্প পথে চলাচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে। শিমুলিয়ায় শতাধিক যানবাহন পরাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাটে মাওয়া চৌরাস্তার পর গাড়ি ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ঘাটের অস্বাভাবিক অবস্থা এড়াতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ তবে ছোট আকারের এবং জরুরী যানগুলোকে যেতে দেয়া হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচলে অচলতায় উভয়পাড়েই যানজট আর মানুষের ভোগান্তি। ঈদে কমস্থলে ফেরা মানুষের কষ্টের যেন শেষ নেই।
×