ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সূচির নীতিকে মোদির সমর্থনে রিজভী বিস্মিত

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সূচির নীতিকে মোদির সমর্থনে রিজভী বিস্মিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুসলমানের কি কোন মানবাধিকার থাকবে না? এমন প্রশ্ন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, রোহিঙ্গারা ঈদের দিন নাফ নদীর তীরে শুয়ে ছিল। এক টুকরো মাংসের জন্য এক শিশু তার মায়ের কাছে আকুতি জানিয়েছিল। মাংস তো দূরে থাক তার মা এক ফোঁটা পানিও দিতে পারেনি। ফোরাত নদীর তীরে যেভাবে কারবালা অবরোধ করে রাখা হয়েছিল, ইমাম বাহিনীর সন্তানদের যেভাবে পানি দেয়নি, সেই নতুন কারবালা তৈরি হয়েছে নাফ নদীর তীরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদে মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, মুসলমানরা কি নিজ বাড়িতে বসবাস করতে পারবে না? তাদের কোন অধিকার নেই? তারা রাখাইন রাজ্যে থাকতে পারবে না, তারা গুজরাটে থাকতে পারবে না, ফিলিস্তিনে নিজ এলাকায় থাকতে পারবে না। তাদের কি মানবাধিকার নেই? বেঁচে থাকার অধিকার নেই? তাদের সন্তানরা পঙ্গুত্ব বরণ করবে, হয় চলে যাও দেশ ছেড়ে না হয় হত্যার শিকার হও এমন হুমকি সহ্য করতে হবে। ভারত সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, যারা বিশ্বের অন্যতম প্রধান গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দাবি করেন, তারা আউং সান সূচির নীতিকে সমর্থন করলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমর্থন করলেন। আমরা বিস্মিত হয়েছি, হতবাক হয়েছি। আমরা হতবাক হয়ে গেলাম। সকলের প্রতি রোহিঙ্গাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রিজভী। তিনি বলেন, আউং সান সুচি এক সময়ে বিশ্ববাসীর কাছে একটি মডেল ছিল। কিন্তু সুচি ম্যান্ডেলার মতো আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন সুপরিকল্পিত। এদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে রিজভি বলেন, বাংলাদেশে লাখ লাখ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটলেও সঙ্কট সমাধানে সরকার জোরালো কূটনীতিক তৎপরতা নিচ্ছে না। এ্যাম্বাসেডরকে ডাক দিয়ে বলছেন, দুই-একটা কথা বলে ছেড়ে দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তিনি আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টির জন্য অনেক দেশকে বলছেন। কিন্তু কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিতে মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ এ জেডএম জাহিদ হোসেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খান, সহ-সভাপতি আবুল হোসেন প্রমুখ।
×