ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এক মাসে ২৩ কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

এক মাসে ২৩ কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শেয়ারবাজার ২০১৭ সালের জুন মাসের মাঝ থেকে টানা উত্থানের মধ্যে রয়েছে। এরই মধ্যে সূচক কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠে এসেছে। একইসঙ্গে অসংখ্য কোম্পানির শেয়ার দরও বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। এতে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের শঙ্কা বাড়ছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। দেখা গেছে, গত ১ মাসে (৭ আগস্ট-৭ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময়ে ২৩ কোম্পানির শেয়ার দর অস্বাভাবিক বেড়েছে। যেসব কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ার পেছনে কোন কারণ নেই বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তদন্তে উঠে এসেছে। এদিকে অস্বাভাবিকভাবে শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়া ২৩ কোম্পানির মধ্যে ৪টি নিয়ে ডিএসই কর্তৃপক্ষ একাধিকবার তথ্য প্রকাশ করেছে। অপরদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৩ কোম্পানির অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে তদন্তে নেমেছে। অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো হলোÑ সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, এপেক্স স্পিনিং, হাক্কানি পাল্প, উসমানিয়া গ্লাস, লীগ্যাসি ফুটওয়্যার, ঝিলবাংলা সুগার মিল, ইমাম বাটন, শ্যামপুর সুগার মিল, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, দুলামিয়া কটন, সমতা লেদার, ইনটেক অনলাইন, মন্নু সিরামিক, বিবিএস কেবল, জিকিউ বলপেন, জেএমআই সিরিঞ্জ এ্যান্ড ডিভাইস, পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, মন্নু স্টাফলার্স, রূপালি ব্যাংক, কে এ্যান্ড কিউ, নর্দার্ন জুট ম্যানুফ্যাকচারিং এবং মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। অস্বাভাকাবিক দরবৃদ্ধি নিয়ে একাধিকবার তথ্য প্রকাশ করা কোম্পানিগুলো হলোÑ সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, দুলামিয়া কটন ও মুন্নু সিরামিক। এদিকে অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধির কারণে ৩ কোম্পানি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসইসি। কোম্পানিগুলো হলোÑ বিবিএস কেবলস, মন্নু সিরামিক ও স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, কারণ ছাড়া যখন কোন কোম্পানির দর বৃদ্ধি পায় তখন অবশ্যই ঝুঁকির সৃষ্টি করে। এতে বিনিয়াগকারীরা লোকসানের কবলে পড়তে পারে। আর এক মাসে ২৩ কোম্পানির অস্বাভাবিক দরবৃদ্ধি পাওয়া ছোট বিষয় না। এটা শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোর একটি বড় অংশ। তিনি আরও জানান, বিনিয়োগকারীদের সচেতন করানোর জন্যই অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলো নিয়ে তথ্য প্রকাশ করা হয়। তাই এক্ষেত্রে ক্ষতির ঝুঁকি কমাতে বিনিয়োগকারীদের সচেতন হতে হবে। এএফসি ক্যাপিটালের সিইও মাহবুব এইচ মজুমদার বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের ইতিবাচকতার প্রভাব শেয়ারবাজারে পড়ছে। এই সুযোগে কিছু জাঙ্ক ও মৌলভিত্তিহীন শেয়ারের দরও বাড়ছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ও লোকসানের শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এমতাবস্থায় শেয়ার দর বাড়ার কোন কারণ নেই বলে স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে গতানুগতিকভাবে তথ্য প্রকাশ না করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। একইসঙ্গে এই লোকসানের শঙ্কা থেকে বাঁচতে জাঙ্ক শেয়ারে বিনিয়োগ থেকে দূরে থাকা উচিত।
×