ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশে মোবাইল সেট উৎপাদন কারখানা স্থাপনে নির্দেশনা

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

দেশে মোবাইল সেট উৎপাদন কারখানা স্থাপনে নির্দেশনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে মোবাইল সেট উৎপাদন ও সংযোজন কারখানা স্থাপনে নির্দেশনা জারি করল টেলিকম খাতের নিয়ন্ত্রক সংখ্যা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি এই নির্দেশনা জারি করে। বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়, দেশে মোবাইল ফোন সেট উৎপাদন ও সংযোজনের জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুই ধরনের তালিকাভুক্তি সনদ দেয়া হবে। ‘এ’ ক্যাটাগরির সনদের ফি ৫০ লাখ টাকা। সঙ্গে যোগ হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। একই সঙ্গে তাদের মানসম্মত লে-আউটের মাধ্যমে নিজস্ব একটি টেস্টিং ল্যাব করতে হবে। এসব ল্যাবে প্রয়োজনীয় সব টেস্টিং সুবিধাসম্পন্ন বিভিন্ন বিভাগ বা শাখা থাকতে হবে। অন্যদিকে যারা ‘বি’ ক্যাটাগরির সনদ নেবে তাদের লাগবে ১০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে তাদের নিজেদের টেস্টিং ল্যাব না থাকলেও চলবে। তবে তাদের ‘এ’ ক্যাটাগরির সনদধারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে তাদের হ্যান্ডসেট উৎপাদন বা সংযোজনের যাবতীয় টেস্ট সম্পন্ন করাতে হবে। ‘বি’ ক্যাটাগরির তালিকাভুক্তি সনদপ্রাপ্তরা বিটিআরসির নির্ধারিত টেস্টিং সুবিধা বা যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ নিজস্ব ল্যাব স্থাপন করতে সক্ষম হলে তারা তাদের সনদ ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করাতে পারবে। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো নিজেদের ল্যাব স্থাপনের আগ পর্যন্ত সংযোজিত সেটগুলোর ন্যূনতম ৫ শতাংশ পরিমাণ হ্যান্ডসেট আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোন টেস্টিং ল্যাব থেকে কারিগরি ও গুণগত মান যাচাই করে তার সনদ বিটিআরসিতে জমা দিতে হবে। বিটিআরসির সূত্র মতে, দেশে প্রতিবছর আড়াই কোটি থেকে তিন কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি হচ্ছে। এর ফলে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। অথচ এই হ্যান্ডসেট স্থানীয়ভাবে উৎপাদন বা সংযোজনের ব্যবস্থা হলে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি দেশে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। তৈরি হবে কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন সুদক্ষ জনবল। বাড়বে বিদেশী বিনিয়োগ। দেশের ক্রেতারা পাবে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যের স্মার্টফোন। একই সঙ্গে বাড়বে ইন্টারনেট গ্রাহক, দেশের আর্থসামাজিক উন্নতি ত্বরান্বিত করবে। এই বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে নির্দেশিকাটি প্রদান করা হয়েছে। বিটিআরসির নতুন নির্দেশনায় মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীদের বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ জন্য কমপক্ষে ঢাকায় চারটি, চট্টগ্রামে তিনটি, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে দুটি এবং সব জেলা শহরে একটি করে সার্ভিস সেন্টার চালু করতে হবে।
×