ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সাতক্ষীরায় স্কুলে দফতরি নিয়োগ পরীক্ষার আগেই লেনদেন

প্রকাশিত: ০৬:১২, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সাতক্ষীরায় স্কুলে দফতরি নিয়োগ পরীক্ষার আগেই লেনদেন

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ আশাশুনি উপজেলার ৩৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি-কাম প্রহরী পদে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে নিয়োগের বিপরীতে প্রার্থীদের কাছ থেকে মাথাপ্রতি ছয় লাখ টাকা থেকে আট লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত এই পরীক্ষায় এই অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে কম বেশি আড়াই কোটি টাকার বাণিজ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে একজন প্রার্থী হাবিবুল্লাহ গাজী জেলা প্রশাসক বরাবর বুধবার একটি আবেদনে এই অভিযোগ তুলে ধরে প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন। এতে তিনি নিয়োগে চরম দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরেন। এদিকে বুধবার বিকেলে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে হাজীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরি পদপ্রার্থী তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, চাকরির জন্য নিয়োগ কমিটির সদস্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বকুল গাজী আওয়ামী লীগের প্রত্যয়নপত্র ও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। দিতে না পারায় ওই পদে সাতক্ষীরা ৩ আসনের সংসদ সদস্যের প্রতিনিধি শম্ভুজিত ম-ল ছয় লাখ টাকা নিয়ে সেলিম বৈদ্যকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাসেম মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ সত্য হলে নিয়োগও বাতিল করা হবে। জানা গেছে, বুধবার উপজেলার ৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট ২৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হবে। এরই মধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে নিয়োগের কথা বলে নির্ধারিত পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে আগাম টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী প্রার্থীরা জানান, নোয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসাদুল ইসলাম, পাইথলি সরকারী প্রাথমিকে গোপাল চন্দ্র গুহ, উত্তর চাপড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাইফুল্লাহ গাজী, মধ্যম চাপড়ায় আবদুর রাজ্জাক, হাজীপুর সরকারী প্রাথমিকে সেলিম বৈদ্যকে নিয়োগ দানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।তারা জানান, এসব প্রার্থীর কাছ থেকে আগাম টাকা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অন্য পরীক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন।
×