ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডাঃ ইব্রাহিম ছিলেন সফল চিকিৎসক, শিক্ষক গবেষক ও মানবহিতৈষী

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ডাঃ ইব্রাহিম ছিলেন সফল চিকিৎসক, শিক্ষক গবেষক ও মানবহিতৈষী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইব্রাহিম ছিলেন একজন সফল চিকিৎসক, শিক্ষক, গবেষক ও মানব হিতৈষী। চিকিৎসাবিজ্ঞান চর্চা ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে নিরন্তর গবেষণাকে তিনি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। গতানুগতিকতার বাইরে অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে, নিত্যনতুন পন্থা পদ্ধতি প্রক্রিয়া অনুধাবন অনুসরণে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নয়নে তিনি ছিলেন সদাসচেষ্ট ও নিবেদিত নিষ্ঠাবান। চিকিৎসক ও সমাজকে গ্রন্থিত করে তিনি মেডিক্যাল সোস্যাল ওয়ার্ক এবং চিকিৎসা নৃ-বিজ্ঞান এবং ব্যবহারিক চিকিৎসা নৃ-বিজ্ঞান শাস্ত্রের পঠন-পাঠন এবং গবেষণার স্কুল তৈরি করেছিলেন। বাংলাদেশে এটি ছিল অত্যন্ত বৈপ্লবিক একটি পদক্ষেপ। তার গড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি আজ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। সহমর্মিতা ছাড়া চিকিৎসা হয় না- এই শিক্ষা দিয়ে গেছেন তিনি। দেশবাসী তাকে ও তার কর্মকে আজীবন স্মরণে রাখবে। জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও সেবা দিবস উপলক্ষে বুধবার বারডেম হাসপাতালের মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, এমপি। স্মৃতিচারণ করেন সাবেক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত জামিল মজিদ, বারডেমের বোর্ড অব ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান ডাঃ সারওয়ার আলী, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক নীলুফার বেগম প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডায়াবেটিক সমিতিরি মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইব্রাহিম ছিলেন একজন আধুনিক মানুষ। তিনি ছিলেন একজন সফল চিকিৎসক, শিক্ষক, গবেষক ও মানব হিতৈষী। সময়জ্ঞানের বিষয়ে তিনি সব সময় সচেতন ছিলেন। তার গড়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানটি আজ চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবার অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। সহমর্মিতা ছাড়া চিকিৎসা হয় না- এই শিক্ষা দিয়ে গেছেন তিনি। দেশবাসী তাকে ও তার কর্মকে আজীবন স্মরণে রাখবে। নীলুফার বেগম বলেন, ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বলেন, চিকিৎসাসেবা ও আর্ত মানবতার সেবায় জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইব্রাহিম এক বিশেষ স্থান দখল করে রেখেছেন। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন একাধারে একজন সফল চিকিৎসক, সমাজসেবক ও শিক্ষক। তিনি নিজেকে মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে গেছেন। রোগী দেখার ক্ষেত্রে তার মধ্যে কোন বৈষম্য কাজ করেনি। তিনি প্রত্যেক রোগীকে সমান দৃষ্টি দিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতেন। তার জীবনের গুণগুলো অনুসরণ করলে সমাজ, দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় আত্মনিয়োগের পাশাপাশি সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার মাধ্যমেই জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ইব্রাহিমের আদর্শ ও শিক্ষা সমুন্নত রাখতে এবং তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে পারি। তিনি নিজেই একটি বিশাল প্রতিষ্ঠান। চিকিৎসা জগতের বাইরেও তিনি মহান সামাজিক দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
×