ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে সরে যেতে হবে ॥ ফখরুল

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে সরে যেতে হবে ॥ ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিকেলে উত্তরার বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফখরুল বলেন, একটি নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ আলোচনা প্রয়োজন। গণতন্ত্রের জন্য তা জরুরী। কারণ নির্বাচনকালে কোন সংঘাতময় পরিস্থিতি আমরা চাই না। আমরা সংঘাত এড়িয়ে চলতে চাই। তাই জনগণের কল্যাণের জন্য আমাদের সংলাপে বসতে হবে। আর দাম্ভিকতা পরিহার করতে হবে সরকারকে। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। আমাদের চাওয়া সেটাই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সহায়ক সরকার আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার একই কথা। নামটি বড় কথা নয়। আমরা চাই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার। ফখরুল বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে হলে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই তার পদ থেকে সরে যেতে হবে। তিনি বলেন, এদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের দৃষ্টান্ত নেই। আর প্রধানমন্ত্রীর মতো একজন ক্ষমতাশালী ব্যক্তির পক্ষে নির্বাচনের সময় চুপ থাকা সম্ভব হবে এটি অবিশ্বাস্য। তাই আমরা শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন না করার কথা বলছি। বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে হঠাৎ করে আবারও জঙ্গী ইস্যু সামনে চলে এসেছে। আমার কেন জানি মনে হয়, দেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সরকার একবার বলছে আমরা জঙ্গী নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছি। আবার জঙ্গী ইস্যুকে টিকিয়েও রাখা হচ্ছে। জঙ্গী ইস্যুকে কেন টিকিয়ে রাখা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। জঙ্গী হিসেবে যাদের ধরা হচ্ছে তাদের জবাবদিহি না করে হত্যা করে ফেলা হচ্ছে। যা কোন সমাধান নয়। এ বিষয়ে দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত দরকার। ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারকে জাতিসংঘের সহযোগিতা চাওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, মিয়ানমারকে চাপ দিতে হবে আন্তর্জাতিকভাবে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের সঙ্গে আলাপ করতে হবে। দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে। কিন্তু রোহিঙ্গা ইসু্যুতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালে আমাদের ওপর যখন পাকিস্তানী বাহিনী আক্রমণ করেছিল, তখন ভারত আমাদের আশ্রয় দেয়ায় বেঁচে গেছি। আর আমরা এখন রোহিঙ্গাদের দিকে গুলি তাক করে আছি, যেন তারা আসতে না পারে। এটা ঠিক নয়। মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া উচিত। আর আন্তর্জাতিকভাবে মায়ানমারকে চাপে ফেলে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা উচিত। ফখরুল বলেন, আমরা তো এ সরকারকে সবচেয়ে বেশি অগণতান্ত্রিক মনে করি। আওয়ামী লীগের দাবি বঙ্গবন্ধু ছিলেন সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আমি আহ্বান জানাবো বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি ভাল করে পড়ার জন্য। কারণ তিনি বইতে উল্লেখ করেছেন, তার প্রতি কি অত্যাচার করেছিল পাকিস্তান সরকার। তবুও তিনি সবার সমান অধিকারে বিশ্বাস করতেন। তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক।
×