ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাতিল হচ্ছে ড্রিমার্স প্রোগ্রাম

অনিবন্ধিত শরণার্থী বহিষ্কারের উদ্যোগ ট্রাম্প প্রশাসনের

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অনিবন্ধিত শরণার্থী বহিষ্কারের উদ্যোগ ট্রাম্প প্রশাসনের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনালড ট্রাম্প দেশটিতে বসবাসরত হাজার হাজার অনিবন্ধিত শরণার্থীর সন্তানদের বহিষ্কারের পথ সুগম করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি বাতিল করতে চলেছেন ‘ড্রিমার্স’ নামে একটি জনপ্রিয় কর্মসূচীর। কর্মসূচীটি বাতিল করার হলেও এর ছয় মাসের জন্য এর বাস্তবায়ন স্থগিত থাকবে বলে রবিবার পলিটিকো সাময়িকী জানিয়েছে। এএফপি। যে কর্মসূচী বলে অনিবন্ধিত শরণার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রে বহিষ্কার এড়াতে পারছে সেটি বাতিলের পরিকল্পনা তৈরি করতে কংগ্রেসকে বলা হয়েছে বলে অনলাইন সংবাদ পোর্টাল পলিটিকো জানিয়েছে। ড্রিমার্স নামে পরিচিত কর্মসূচীটি অনেক রিপাবলিকানও সমর্থন করেন। ট্রাম্প প্রশাসন শরণার্র্থীদের গ্রেস পিরিয়ড পার হওয়ার আগেই কর্মসূচীটি প্রতিস্থাপন করতে চায়। মঙ্গলবার ট্রাম্পের সিদ্ধান্তটি ঘোষণার কথা রয়েছে। তবে তিনি এরই মধ্যে মনস্থির করে ফেলেছেন বলে পলিটিকো জানিয়েছে। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা রবিবার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করেছেন। ডিএসিএ (ডেফার্ড এ্যাকশন অন চাইল্ডহুড এ্যারাইভাল) নামে কর্মসূচীটি এর আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১২ সালে চালু করেছিলেন। এর ফলে বয়স ১৬ বছর হওয়ার আগে যারা অভিবাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে তারা বহিষ্কার এড়াতে পেরেছে। লেখাপড়া অথবা কাজ এর কোন একটি ভিত্তি করে তারা দুবছর যুক্তরাষ্ট্রে তাকার সুযোগ পেয়েছে, এই দুই বছর তাদের জন্য গ্রেস পিরিয়ড যা নবায়ন করার সুযোগ তারা পেয়েছে। নির্বাচনী প্রচারাভিযানের সময় থেকেই ট্রাম্প অভিবাসী বিরোধী বক্তব্য দিয়ে এসেছেন। নির্বাচনে জিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি এ বিষয়ে কিছুটা নমনীয় হয়েছেন। পলিটিকো জানিয়েছে, এ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস কংগ্রেসকে দিয়ে ডিমার্স কর্মসূচী বাতিলের কাজটি করার জন্য ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি চেয়েছেন অভিবাসী আইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনের পরিবর্তন নির্বাহী আদেশে না হয়ে কংগ্রেসের মাধ্যমে হোক। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পীকার রিপাবলিকান দলীয় পল রায়ান অবশ্য কর্মসূচীটির পক্ষে। শুক্রবার একটি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, এই শিশু কিশোরগুলোর অন্য কোন দেশ নেই। তারা শৈশবে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল। এদের যাওয়ার অন্য কোন জায়গা নাই। এ কারণে এ বিষয়ে নির্দিষ্ট আইন থাকা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্য এবং সিসকো, ইবে, ফেসবুক, ম্যারিয়ট ও মাইক্রোসফটের মতো বৃহৎ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউসের উদ্দেশে লেখা যৌথ চিঠিতে কর্মসূচীটি বাতিল না করার অনুরোধ করেছেন। তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আইনটি পরিবর্তন করা হয়ে অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
×