ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কিশোরগঞ্জে হাওড়ে নৌকাডুবি ॥ দুই কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কিশোরগঞ্জে হাওড়ে নৌকাডুবি ॥ দুই কৃষকের মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ৪ সেপ্টেম্বর ॥ জেলার ইটনা উপজেলার চিলনি হাওড়ে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিহতের স্বজনেরা দুর্ঘটনাস্থল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চিলনি হাওড় থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা হলো-উপজেলার মৃগা গজারিয়া গ্রামের মৃত আঃ গণি মিয়ার ছেলে ইব্রাহীম মিয়া (৫৫) ও আইন্দার বড়বাড়ী গ্রামের মৃত আঃ মন্নাফের ছেলে মজিদ মিয়া (৪০)। সূত্র জানায়, ইটনার মৃগা ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের ৫ জন মৌসুমি ব্যবসায়ী কোরবানির চামড়া সংগ্রহ করে শনিবার সন্ধ্যায় বিক্রির জন্য একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে করিমগঞ্জের চামটাঘাটে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বগাদিয়া এলাকায় পৌঁছলে হঠাৎ প্রচ- ঢেউয়ের কবলে পড়ে তাদের নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা মাঝিসহ ৫ জন হাওড়ের পানিতে নিখোঁজ হয়। একপর্যায়ে ইটনার মৃগা গজারিয়া গ্রামের আলী আকবর (৪০), আজিজ (৫৫) ও রূপ মিয়া (৪০) সাঁতরে তীরের কাছাকাছি একটি গাছের ডালে অবস্থান নিয়ে বেঁচে যায়। এ সময় মৃগা গজারিয়া গ্রামের ইব্রাহীম মিয়া (৫৫) ও মৃগা আইন্দার বড়বাড়ী গ্রামের মজিদ মিয়া (৪০) নামে অপর দুই ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়। নিহত ইব্রাহীমের ভগ্নিপতি মমিন মিয়া জানান, রবিবার সকালে বেঁচে যাওয়া তিনজন বাড়িতে গিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা জানালে ওইদিন একাধিক নৌকা নিয়ে স্বজনেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দিনব্যাপী অনেক চেষ্টা করেও নিখোঁজ দুইজনের সন্ধান পায়নি। সোমবার সকালে আবারও স্থানীয়দের সহযোগিতায় চেষ্টা চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ইটনার চিলনি হাওড়ের কলমিতলা গাছের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ভৈরবে দুই শ্রমিক নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব থেকে জানান, সোমবার সকালে ভৈরবে নৌকাডুবির ২ দিন পর ২ শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো নওগাঁর পতœীতলার নান্দাশ গ্রামের অসরথ পাহানের পুত্র গোবিন্দ্র চন্দ্র দাস (৫২) ও সাতক্ষীরার অরুন ব্যানার্জী (৩০)। নিহতদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয় প্রশাসন। মরদেহ সৎকারের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা এবং ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, নিহতরা একটি ইটভাঁটিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। ঈদের দিন বিকেলে কাজ শেষে ৮-১০ শ্রমিক একটি খেয়া নৌকা করে আগানগরের লুন্দিয়া বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য রওনা হয়। কিন্তু নৌকাটি মেঘনা নদীর হাওড়ে পৌঁছলে হঠাৎ প্রচ- বাতাসে ডুবে যায়। এ সময় অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠলেও ওই ২ জনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে রবিবার ময়মনসিংহ থেকে একটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় উদ্ধার কাজ শুরু করে। সোমবার চরপাড়া এলাকায় মরদেহ দুটি নদীতে ভেসে উঠলে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নওগাঁয় শিশু নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, মান্দায় নৌকাডুবি ও ভিমরুলের কামড়ে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এরা হলো উপজেলার চকরাজাপুর বাগপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের পুত্র স্বাধীন (১২) ও ছোটবেলালদহ গ্রামের আজাদ আলীর পুত্র আমিনুল ইসলাম (১০)। জানা গেছে, স্বাধীন সপরিবারে ঈদের পরদিন রবিবার দুপুরে গোবিন্দপুর মাস্টারপাড়া গ্রামে ফুফা আব্দুল করিমের বাড়ি ঈদের দাওয়াত খাওয়ার জন্য যাচ্ছিল। তারা একটি ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে চকরাজাপুর চুনারবিল পার হওয়ার সময় হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় পানিতে ডুবে যায় স্বাধীন। পরে বেড়জাল নামিয়ে স্বাধীনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। নিহত স্বাধীন গোটগাড়ী শহীদ মামুন হাইস্কুল ও কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। অন্যদিকে রবিবার বিকেলে উপজেলার ছোটবেলালদহ গ্রামের আজাদ আলীর ছেলে আমিনুল ইসলামকে কয়েকটি ভিমরুলে কামড় দেয়। তাকে উদ্ধার করে মান্দা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু ঘটে। সে ব্র্যাক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
×