ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিনোদন কেন্দ্রে প্রাণের ছোঁয়া

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিনোদন কেন্দ্রে প্রাণের ছোঁয়া

খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল ॥ পবিত্র ঈদ-উল-আযহার তৃতীয় দিনেও (সোমবার) বরিশাল শহরের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে নেমেছে মানুষের ঢল। ঈদের দিন বিকেল থেকেই নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের উপচে পড়া ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে শিশুদের পদচারণায় মুখর বিনোদন কেন্দ্রগুলো। নগরীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র কীর্তনখোলার তীর ত্রিশ গোডাউন, বঙ্গবন্ধু উদ্যান, শিশুপার্ক ও মুক্তিযোদ্ধা পার্কে সকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। রং বেরঙের পোশাকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণীর মানুষ ছুটে আসছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ছবি তোলা, প্রিয়জনের সঙ্গে হাঁটা, নৌকায় ঘুরে বেড়ানো নিয়ে যেন মেতে উঠেছে সকল বয়সের বিনোদনপ্রেমীরা। পানিতে পা ডুবিয়ে কেউ চলছে কীর্তনখোলার নতুন পানিতে নৌকা ভ্রমণে। আবার আদরের ছোট্ট সন্তানটিকে নিয়ে এসেছেন মন মাতানো দৃশ্য দেখাতে। বরিশালের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র ত্রিশ গোডাউন এলাকায় দেখা যায় উৎসবপ্রেমীদের ঢল। অনেকদিন ব্যস্ত থাকার পর পরিবার পরিজনদের নিয়ে বেড়ানোর সুযোগ পেয়ে আনন্দের অনুভূতি জানালেন বিনোদনপ্রেমীরা। কীর্তনখোলার পাড়ে অবকাশে বেড়াতে আসেন এম. মিরাজ হোসাইন ও তার পরিবারের সদস্যরা। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে মিরাজ হোসাইনের স্ত্রী উম্মে রুম্মান ময়না বলেন, আমার অনেক ভাল লাগছে নদীর ধারে বেড়াতে এসে। আমরা সপরিবারে কীর্তনখোলায় নৌকা ভ্রমণ করেছি। নগরীর শিশুপার্কে ছিল বিনোদনপ্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। পছন্দের রাইড আর মন মাতানো আকর্ষণ দেখতে বিকেল হতে না হতেই লাইন লেগে যায় টিকিটের জন্য। ওই শিশুপার্কে বেড়াতে আসা তানভির আহমেদ অভি বলেন, গত ঈদে বরিশালে ছিলাম না। এবার আসতে পেরে অনেক ভাল লাগছে। প্রাণ ফিরে পেয়েছে রাজশাহীর বিনোদন কেন্দ্র স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, ঈদের ছুটিতে রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে উৎসবপ্রেমীদের ভিড় শুরু হয়েছে ঈদের দিনের বিকেল থেকেই। বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের ঢল নামছে সব সময়। বিশেষ করে তরুণ-তরুণী ও শিশুদের পদচারণায় মুখর বিনোদন কেন্দ্রগুলো। নগরীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র পদ্মা নদীরপার, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা এবং জিয়া শিশু পার্কে সকাল থেকেই মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। রং-বেরঙের পোশাক পরে পরিবার-পরিজন, তরুণ-তরুণী ও শিশু-কিশোরসহ সকল শ্রেণীর মানুষ ছুটে আসছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। ঈদের দুই দিন পর সোমবার নগরীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ঘুরে বেড়ানো, ছবি তোলা, প্রিয়জনের সঙ্গে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো নিয়ে মানুষ যেন মেতে উঠেছে। পানিতে পা ডুবিয়ে কেউ চলেছে ভরা পদ্মার নতুন পানিতে নৌকা ভ্রমণে। রাজশাহীর প্রধান বিনোদন কেন্দ্র বড়কুঠি পদ্মারপার ও বিজিবি’র সীমান্ত অবকাশ নোঙ্গর এলাকায় দেখা যায় উৎসবপ্রেমীদের ঢল। অনেকদিন ব্যস্ত থাকার পর পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বেড়ানোর সুযোগ পেয়ে আনন্দের অনুভূতি জানালেন তারা। না’গঞ্জে উপচেপড়া ভিড় মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, সোনারগাঁয়ের জাদুঘরের লেকের নৌকায়, নাগরদোলা ও চরকাসহ নানার ধরনের হাতে চালিত রাইডসে চড়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছে বিনোদন প্রিয়াসী লোকজন। ঈদের দিন থেকে শুরু করে ঈদের তৃতীয় দিন সোমবারও নানা বয়সী লোকজন বিনোদনের জন্য ছুটে আসে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে। শুধু লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনই নয় নারায়ণগঞ্জ নগরীর খানপুর, সোনারগাঁও, ফতুল্লার পঞ্চবটি ও রূপগঞ্জের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদ-উল-আযহার ছুটিতে আনন্দ উপভোগ করতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে। দিনভর শিশু, কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী দর্শনার্থী ঈদের আনন্দে ছিল ব্যস্ত। বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন সাজে সাজানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য র‌্যাব, ট্যুরিস পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল। মুন্সীগঞ্জে মানুষের ঢল স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া পদ্মার পার, মাওয়া রিসোর্ট, পদ্মা রিসোর্ট, চালতাতলা এমজে হলিডে রিসোর্ট, মুক্তারপুর সেতুতে পর্যটকদের কোলাহলে মুখরিত হয়েছে। পদ্মা আর ধলেশ্বরী নদীর নির্মল পরিবেশ দেখতে সববয়সী নারী-পুরুষ ভিড় জমায়। পদ্মা পারের মুক্ত বাতাস আর ধলেশ্বরী নদীর সুউচ্চ এই সেতু থেকে নৌকা, লঞ্চ, চাঁদের আলো এবং সূর্যাস্তের নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে কার না ভাল লাগে। তাইত দূরদূরান্ত থেকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় এ সকল পর্যটন কেন্দ্র। ঈদের আনন্দ উপভোগ ছাড়াও প্রায় প্রতিদিনই সন্ধ্যায় এমন ভিড় পড়ে সদর উপজেলার মুক্তারপুর সেতুতে। বিকেল থেকেই মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকার মানুষের পদচারণা শুরু হয়। সন্ধ্যায় এই ভিড় যায় আরও বেড়ে। সেতুটির ফুটপাথ ছাপিয়ে ভিড় চলে আসে যানচলার স্থানেও। তবে ঈদের ছুটিতে আশপাশের বিনোদনের কোন স্থান না থাকায় এই ভিড় বেড়ে যায় মুক্তারপুর সেতুতে। এদিকে মাওয়া পদ্মা পারেও ছিল পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের দিন বিকেল হতে পদ্মার পারে মানুষের ঢল নামে। মাওয়া রিসোর্ট, পদ্মা রিসোর্টেও পর্যটকদের উপচে পড়া আনাগোনা।
×