ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাকিস্তানী মদদপুষ্ট জঙ্গীদের বিরুদ্ধে যৌথ বিবৃতি

ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের কূটনৈতিক বিজয়

প্রকাশিত: ০৩:১১, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের কূটনৈতিক বিজয়

চীনে অনুষ্ঠিত ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন গত সোমবার চীনের জিয়ামিনে শুরু হয়েছে। এতে পাকিস্তান ভিত্তিক জিহাদী জঙ্গী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করায় এটিকে ভারতের বড় ধরনের কূটনৈতিক বিজয় বলে গণ্য করা হচ্ছে। এনডিটিভি, পিটিআইর। কারণ এর আগেও বহুবার জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে পাকিস্তানে আশ্রয় পুষ্ট বিভিন্ন জিহাদী গ্রুপগুলোর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণে চীন বরাবরই বাধা দিয়ে এসেছিল। এমনকি গত বছর ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের উত্থাপিত নিন্দা প্রস্তাবে চীন বাধা দেয়। কিন্তু এবার চীনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে এ ধরনের নিন্দা প্রস্তাব ভারতীয় কূটনীতি বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদি কূটনৈতিক দক্ষতার পরিচয় বহন করে। জঙ্গী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে যদিও স্পষ্ট করে পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি কিন্তু বিবৃতিতে যেসব জঙ্গী-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে- সেগুলোর প্রায় সবাই পাকিস্তানের মদদে তাদের সহিংস তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এসব সংগঠনের মধ্যে তালেবান ইসলামিক স্টেট জঙ্গী সংগঠন দায়েশ, আল কায়দা, হাক্কানী নেট ওয়ার্ক, লঙ্কর-ই-তৈয়্যেরা, জয়শ-ই-মোহাম্মদ, হিজবুত তাহরীর টিটিপি-এর নাম উল্লেখযোগ্য। জয়শ-ই-মোহাম্মদকে জাতিসংঘ ২০০১ সালে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। কিন্তু চীন বরাবরই জয়শের প্রধান মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) নেতৃত্ববৃন্দ আলোকচিত্র সাংবাদিক ও মিডিয়া কর্মীদের বহর নিয়ে সোমবারের আগেই সম্মেলন স্থলে পৌঁছেন। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্মেলন স্থলে পৌঁছলে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং উষ্ণ কর্মদনের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান। দু’দেশের মধ্যে সীমান্তসংলগ্ন ভূ-খ- দোকলাম নিয়ে দীর্ঘ দু’মাস ধরে বিরাজমান অচলাবস্থা নিরসনের পর দুই নেতার মধ্যে এই প্রথম মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত ২৮ আগস্ট উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতার পর সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মঙ্গলবার ব্রিকসের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের পাশাপাশি এই দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন বলে জানা গেছে। শি জিন পিং গত রবিবার ভারতের সঙ্গে দোকলাম সীমান্ত সংশ্লিষ্ট সমস্যা নিয়ে সরাসরি কিছু না বলে সারা বিশ্বে শান্তি ও উন্নয়নের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, যেহেতু সারা বিশ্বের মানুষ সংঘাত ও সহিংসতার বিরুদ্ধে তাই আমাদের পারস্পরিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করা উচিত। নরেন্দ্র মোদিকে স্বাগত জানানোর পর শি জিন পিং পর্যায়ক্রমে ব্রাজিল, রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকান নেতাদেরও অভ্যর্থনা জানান।
×