মাসিক-পূর্ব যন্ত্রণার উপশমের উপায়
৮০% মহিলাই মাসিকের পূর্বে তলপেটে ব্যথা বেদনায় ভুগে থাকেন
মাসিক-পূর্ব যে হাল্কা তলপেট যন্ত্রণা বা ফাঁপার ১০ উপশম-
১. বেশি লবণযুক্ত খাদ্য ও কফি পরিহার করুন। বেশি বেশি ফল ও আঁশযুক্ত খাবার খান মাসিক-পূর্ব সপ্তাহে।
২. আরও ব্যায়াম করুন।
৩. ভিটামিন খান, ‘বি-৬’ এবং ভিটামিন ‘ই’ খান। প্রমাণ আছে এরা ভাল কাজ করে।
৪. আদা বেশি করে খান। আদা চা উপকার দিতে পারে।
৫. আপনার স্ট্রেস কমানোর দিকে দৃষ্টি দিন। বেশি করে ঘুমান। ঘুমহীনতা আরও যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেবে।
৬. হাল্কা বেদনানাশক খান। এন এস এ আইডি যেমন আইবুপ্রুফেন বড়ি খান।
৭. জন্ম নিয়ন্ত্রক কম ডোজের বড়ি খান। ওষুধের মতো কাজ করে।
৮. আপনার চিকিৎসককে বলুন, আপনি মানসিক হতাশা মুক্তির ওষুধ খেতে পারেন কিনা।
৯. প্রস্রাব বেশি হওয়ার বড়ি ডাইইউরেটিক্স খান। কমে যেতে পারে।
১০. মাসিক-পূর্ব যন্ত্রণার একটি চার্ট করুন। দেখুন আপনি আবার হতাশায় ভুগছেন কিনা।
নবজাতকের জন্ডিস
১. শতকরা ৮০ ভাগ নবজাতকই কমবেশি জন্ডিসে ভুগে থাকে।
২. এ জন্ডিস আর বড়দের জন্ডিস এক জিনিস নয়।
৩. লিভার এনজাইমের কমতির জন্যে এ রকম হয়ে থাকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে।
৪. বেশি না হলে চিন্তা করার দরকার নেই।
৫. বেশি করে বুকের দুধ খাওয়ান।
৬. না, রোদে দেয়াার দরকার নেই। রোদে উল্টো ক্ষতি হতে পারে। চোখের ক্ষতি হতে পারে।
৭. বেশি হলুদ মনে হলে আপনার কাছের ডাক্তারকে দেখান।
৮. বেশি হলে বিলিরুবিন পরীক্ষা করে নিন। অনেক সময় তার ফটো থেরাপি চিকিৎসা লাগতে পারে।
মোশন সিকনেস বা ভ্রমণকালীন অসুস্থতা
১. মোশন সিকনেস সাধারণত বাস, কার, জাহাজ বা উড়োজাহাজে যাত্রাকালীন অসুস্থতাকে বোঝায়।
২. বমি বমি ভাব, বমি কিংবা মাথাঘোরা ভাব, ঘেমে যাওয়া ইত্যাদি প্রকাশ পেতে পারে।
৩. যাত্রাকালীন খাদ্য ও পানীয়র দিকে লক্ষ্য রাখুন। অতিরিক্ত ফ্যাটি খাদ্য ও মসলাযুক্ত খাদ্য পরিহার করুন। যে খাবার ও পানীয় খেলে আপনার খারাপ লাগে তা পরিহার করুন।
৪. অতি গন্ধযুক্ত খাদ্য পরিহার করুন।
৫. যে আসনে আপনার কম ঝাঁকুনি হয় সেরকম একটি আসন আপনার জন্যে বেছে নিন।
৬. কখনও যাত্রাপথের গতির বিপরীতে তাকাবেন না।
৭. গাড়ির সামনের আসনে বসুন
৮. পড়তে যাবেন না, যদি আপনার যাত্রাকালীন অসুস্থতার ইতিহাস থাকে।
৯. যখন নৌকা বা মোটর গাড়িতে ভ্রমণ করছেন তখন আপনার দৃষ্টি নির্দিষ্ট রাখুন সামনের দিকে।
১০. খোলা বাতাসে বসুন সম্ভব হলে।
১১. যারা ভ্রমণ কালীন অসুস্থতায় ভুগে থাকেন তাদের থেকে একুট দূরে থাকুন। কারণ তাদের অসুস্থতার কথা শুনলেও আপনি অসুস্থ হতে পারেন।
১১. সঙ্গে মেক্লেজিন জাতীয় বমির ওষুধ নিন আগে থেকে।
শীর্ষ সংবাদ: