ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝলক

আমেরিকায় যখন মানুষ আসে আমেরিকা মহাদেশে মানুষের আগমনের সময় নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্কের শেষ নেই। এবার বুঝি সেই বিতর্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকে মোড় নিচ্ছে। মেক্সিকোর একটি গুহায় প্রাচীন যুগের কঙ্কাল আবিষ্কৃত হওয়ার পর বিজ্ঞানীরা আমেরিকায় মানুষের আদি বসবাসের ওপর নতুন ধারণা পেয়েছেন। কারণ এটি মহাদেশটিতে মানুষের বসতি স্থাপনের প্রথম দিকের একটি অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। প্রাচীন মানুষের এই দেহাবশেষের আইসোটোপ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে প্লেইস্টোসিন যুগের শেষের দিকে মহাদেশটিতে প্রথম মানুষের আগমন ঘটে। মেক্সিকোর তুলুম অঞ্চলের চ্যান হোল গুহায় পাওয়া কঙ্কালটি প্রায় তেরো হাজার বছর আগের কোন মানুষের। ইউক্যাটান উপদ্বীপের গুহাটিতে কয়েক হাজার বছরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। সমুদ্রের উচ্চতা বেড়েছে, উপদ্বীপটি কয়েকশ’ মিটার ছোট হয়ে এসেছে, কঙ্কালের ওপরও তার প্রভাব পড়েছে। এতে লোকটির মৃত্যু সময় নির্ধারণে গবেষকদের ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। কঙ্কালের ইউরেনিয়াম, কার্বন, অক্সিজেনের আইসোটোপ ও মেরুদ-ের নিচের দিকের অস্থিকাঠামোর ক্ষয় বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলেন, যখন গুহার মেঝে শুকনা ছিল, তখনই লোকটির মৃত্যু হয়েছে। তবে কঙ্কালটি পুরুষ না মহিলার, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গবেষকদের ধারণা, কঙ্কালটি তরুণ বয়সী কোন মানুষের হবে। সবকিছু বিবেচনা করে বিশ্লেষকরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেন যে, ওই লোকটির তেরো হাজার বছর আগে মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকায় মানুষের বসবাস প্লেইস্টোসিন যুগ থেকেই। -মেইল অনলাইন নতুন ৩৮১ প্রাণী ও উদ্ভিদ কেবল দুই বছরের গবেষণায় আমাজনে ৩৮১ নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। বিজ্ঞানীরা গড়ে প্রতি দুই দিনে নতুন একটি প্রজাতি আবিষ্কার করেছেন। ব্যাপক গাছ উজাড়ের দরুন আমাজনে মানুষের তৎপরতা নিষিদ্ধ অঞ্চলগুলোতে নতুন এসব প্রাণী ও উদ্ভিদের সন্ধান পেয়েছেন তারা। এর আগে ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি নতুন প্রজাতির খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৪-১৫ সালে নতুন এই গবেষণা হয়েছে। বৃষ্টিপ্রধান ক্রান্তীয় অঞ্চলের আমাজন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনভূমি। ডব্লিউডব্লিউএফ ব্রাজিল আমাজন কর্মসূচীর সমন্বয়ক রিকার্ডো মেলো বলেন, কয়েকশ’ নতুন প্রজাতি আবিষ্কারের পর এটাই সত্যি যে আমাদের ওই অঞ্চলে আরও বেশি করে কাজ করতে হবে। উদ্ভিদ ও প্রাণী রক্ষায় সচেতন হতে হবে। মেলো সতর্ক করে বলেন, খামার স্থাপন ও গাছ উজাড় করাসহ মানুষের নানারকম ধ্বংসাত্মক তৎপরতা আমাজনের উদ্ভিদ ও প্রাণীকূলের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এমন এক অঞ্চলে এসব প্রাণী ও উদ্ভিদের খোঁজ মিলেছে যেখানে মানুষ ইতিমধ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। আমাদের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অর্থনৈতিক কর্মতৎপরতায় প্রতিনিয়ত প্রাণী ও উদ্ভিদেরা বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। কখনও কখনও যা আমরা ঘূণাক্ষরেও টের পাই না।- বিবিসি অনলাইন
×